আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১০:৩৮

ফতুল্লায় আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ডান্ডিবার্তা | ২৮ জুন, ২০২৪ | ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লার উত্তর কাশিপুরে ইট-বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা সুরুজ মিয়া (৬৫)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার দুই ছেলেসহ চার জন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কাশিপুর আলীপাড়া এলাকায় মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সুরুজ মেম্বার ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও ছিলেন। আহতরা হলেন- সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০) এবং অটোরিকশা চালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)। নিহত সুরুজ মিয়ার ভাগিনা নুর হোসেন লিখন ও আহত জনির ভাতিজা রিয়াজ উদ্দিন জানান, তাদের বাড়ি ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া গ্রামে। তাদের অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু ও আলাউদ্দিন হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এ ছাড়া, সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মানাধীন ভবনে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদা দাবি করে। ওই ভবনের মালিক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এটি নিয়ে সুরুজ মিয়া হিরা ও সালুকে শাসন করেন। তারা আরও জানান, এর জের ধরে এলাকার মসজিদে যোহরের নামাজ পড়তে গেলে সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু, হিরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুরুজ মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আঘাত করে সন্ত্রাসীরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত সুরুজ মিয়ার মাথা, হাতসহ শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া রাজু, জনি, রাসেল শাকিলের হাতসহ শরীরে আঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ফতুল্লা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা যায় যে, ইট-বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। নিহতের আত্মীয় সাব্বির হোসেন বলেন, ‘সাল্লু ও তার ভাই হীরাসহ তাদের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে। তাদের অস্ত্রের কোপে আমার তালইয়ের (সুরুজ মিয়া) আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওরা সন্ত্রাসী, এলাকায় খুব উৎপাত করে। যেকেনো বাড়ি বানালেও ওদের চাঁদা দিতে হয়, ওদের কাছ থেকে ইট, বালু কিনতে বাধ্য করে। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর হামলা চালায়।’ গত বছরের ৬ এপ্রিল হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, মারামারিসহ নানা অভিযোগে ১৬ মামলার আসামি আফজাল হোসেনকে (৪২) রাস্তার উপর কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায়ও সালাউদ্দিন ওরফে সাল্লুর জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এদিকে, দুপুরে হামলার ঘটনার পর থেকে এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে অধিকাংশ দোকান-পাট বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় এক মুদির দোকানি আবুল কাশেম বলেন, ‘আতঙ্কে লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। আবারও হামলা বা মারামারি হয় কিনা সে ভয়ে লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে কম। তবে রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

ই-৪ পি-১ কলাম-২ (ছবি-৪ কলাম




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা