আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১০:৩৮

বয়কটের কবলে বন্দর উপজেল্ াচেয়ারম্যান

ডান্ডিবার্তা | ২৮ জুন, ২০২৪ | ১০:১১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে বয়কট করেছেন বন্দরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বন্দর উপজেলার আওতাধীন ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদকে স্থানীয় এমপির অহযোগিতার কারণে বয়কট করেছেন বন্দর উপজেলাধীন সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্দর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের প্রথম সভা বয়কট করেছেন বন্দর উপজেলাধীন সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ নিয়ে পুরো উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। শপথ নেওয়ার পর উপজেলায় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় প্রথমবারের মতো যোগদান করেন চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। এরআগে, বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে বহিরাগতদের নিয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গনে শোডাউন দিয়ে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় যোগদান করেন তিনি। উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় অনুপস্থিত থাকার কারণ হিসেবে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সত্যি বলতে আমি মূলত ব্যস্ততার কারণে সেখানে উপস্থিত হতে পারিনি। ওইদিন আমি এমনিতেও সেখানে যেতাম না। আর অন্য কোন কারণ নেই। ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেন, আমার কিছু জরুরী কাজ ছিল। ঠিক সে কারণেই আমি ওই সভায় উপস্থিত থাকতে পারিনি। এদিকে, মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম কোন মন্তব্য করেননি। হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, বন্দর উপজেলাধীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদের সভায় অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে ব্যস্ততার কথা বললেও আদৌতে তারা সেখানে উপস্থিত হননি ভিন্ন কারণে। অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু কারণ থাকলেও সবচেয়ে বড় যে কারণ তা হলো; মাকসুদ হোসেন রাজাকারপুত্র। তার সাথে একই টেবিলে বসে কোনভাবেই সভা পরিচালনা করলে ব্যপক সমালোচনা হওয়ার সুযোগ তৈরী হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯টি গ্রাম জ্বালিয়ে কমপক্ষে ১৫ জন বাঙালিকে জবাই করে হত্যা করেছিল চেয়ারম্যান মাকসুদের বাবা কুখ্যাত রাজাকার রফিক হোসেন ও তার তিন ভাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে দালাল আইনে রাজাকার রফিকসহ তার ১৮ জন দোসরের যাবজ্জীবন সাজা হলেও খুনি খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা দখলের পর তাদের সাজা মাফ করেছিল। ব্যস্ততার কথা বলে আপাতত তারা বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যান। কিন্তু বন্দরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে বয়কট করেছেন।
ই-৬ পি-৪ কলাম-২




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা