
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় আদালতে জাকির খানের বিরুদ্ধে দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এদিন আদালতে দুই জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষীরা হলেন, মামলার ৯ নম্বর সাক্ষী মো: শফিক ও ১০ নম্বর সাক্ষী মো: আমিন। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের প্রায় পৌনে ১ঘন্টা সময় ধরে জেরা করেন। পরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন আসামী পক্ষে আইনজীবী হুমায়ূন কবির। তিনি সাক্ষীদের জেরা বিষয়ে তিনি বলেন, আজ সাব্বির হত্যা মামলায় দুই জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছে। তারা হলো মো: শফিক ও আমিন। তারা বলেছেন, ঘটনার সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। হত্যাকান্ডের সময় তারা কেউ উপস্থিত ছিলেন না, তারা কেউ এ হত্যাকান্ড ঘটতে দেখেনি এবং কিভাবে তারা এ মামলার সাক্ষী হলেন, সেটাই তারা জানেন না। একই বিষয়ে আরও জানতে চাইলে আসামী পক্ষের সহকারি আইনজীবী রাজীব মন্ডল বলেন, মামলার ৯ নম্বর সাক্ষী মো: শফীক আদালতকে জানিয়েছে মামলার সর্ম্পকে তিনি কিছুই জানেন না। ঘটনার সর্ম্পকেও তিনি কিছু জানেন না। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। সবচেয়ে বড় কথা এ মামলায় যে ওনাকে সাক্ষী করা হয়েছে, এটা তিনি নিজেও জানতেন না। যখন কোর্ট থেকে তাকে ডাকা হয়েছে, তখন তিনি জানতে পারেন এ মামলায় তাকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর আগে তিনি পুলিশের কাছে কোন জবানবন্দি দেন নাই বলেও আদালতকে তিনি জানিয়েছেন। আর মামলার ১০ নম্বর সাক্ষী আমিন আদালতকে প্রায় একই কথা জানিয়েছে। তিনিও বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। ঘটনার সময়ও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। জাকির খানের চিকিৎসার বিষয়ে কোন আবেদন করা হয়েছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট রাজীব আরও বলেন, এর আগেও আমরা জাকির খানের চিকিৎসার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত তখন জাকির খানকে চিকিৎসা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ সেটা বাস্তবায়ন করেনাই। তাই আজও তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগে জাকির খানকে কি কি চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, কারাকর্তৃপক্ষের কাছে তার প্রতিবেদন চেয়েছেন আদালত। মামলার পরবর্তি তারিখ ১৬ই জুলাই। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে জাকির খানকে আদালতে হাজির করা হয়। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে জাকির খানতে আদালতে হাজির ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এসময় পুলিশের পাশাপাশি জাকির খানেরও বিপুল সংখ্যক কর্মীসমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারী আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়। মামলার প্রধান আসামী গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেয়ায় মামলার বাদি তৈমূর আলম খন্দকার সিআইডির দেয়া চার্জশীটের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারী আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। নারাজি পিটিশনে তৈমুর আলম বলেন, গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকান্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি গোজাঁমিলের চার্জশীট দাখিল করেছেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯