আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৯:০৬

আ’লীগের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

ডান্ডিবার্তা | ১৮ আগস্ট, ২০২৪ | ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশের জনগণকে বিষিয়ে তুলেছিল। গুম, হামলা ও গায়েবী মামলার স্ট্রিম রোলারে চুপ ছিল দেশের সমস্ত সেক্টর। মিডিয়া মুখ খুলে কিছু বলতে পারেনি। যখনই বলতে গেছে তখনই মিডিয়ার টুটি চেপে ধরা হয়েছে। জেলে দেয়া হয়েছে অনেক ভিন্নমত পোষনকারীকে। দেশটাকে কুক্ষিগত করে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করে রেখেছিল। এভাবে আওয়ামীলীগ জালেম সরকারে পরিনত হয়েছে। দীর্ঘ দেড় দশক ধরে নির্যাতন এতটাই বেড়ে গিয়েছে আর সহ্য করার মত ছিল না। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে স্পাইওয়ের ব্যবহার করে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মোবাইল ফোন নজরধারী করত। পেগাসাস নামক সফটওয়ের দিয়ে ফোনের আড়িপাতার কাজ করা হতো বলে জানা গেছে। আর ফোনে আড়ি পেতে ধরা হতো সরকার বিরোধী বা সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা লোকদের। যাদের ধরা হতো তাদের প্রথমে কথিত আয়নাঘরে নিয়ে নানা ভাবে নির্যাতন করে কথা আদায় করত। অনেকে নির্যাতনের কারণে মারা গেলে তাদের লাশও গুম করে ফেলা হতো। আর এই আড়িপাতা সফটওয়ের কিনেছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। এ আড়িপাতার মাধ্যমে বিরোধীমতের কন্ঠরোধ করা হয়। দেশ থেকে হারিয়ে যায় বাক স্বাধীনতা। যা একটি স্বাধীনদেশের কাম্য নয়। দীর্ঘ দিনের অন্যায় অবিচার আর দুর্নীতিতে অতিষ্ট হয়ে ছাত্ররা যখন তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে তখন শুরু হয় দমনপীড়ন। এ দমনপীড়ন থেকে রক্ষা পায়নি কোলের শিশুসহ নিরপরাধ লোক। যার বিস্ফোরণ ঘটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে। জাতিসংঘের হিসাব মতে এ আন্দোলন দমাতে ৩৫০জনকে হত্যা করে আওয়ামীলীগ সরকার। ছাত্র-জনতার বিস্ফোরণে যখন আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগে বাধ্যহন। তখন পদত্যাগ করে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। আর এ সুযোগে বিজয় উল্লাসকারী জনতার ভিড়ে মিশে গিয়ে সেই আওয়ামীলী-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও লুটেরা বিভিন্ন স্থপনায় ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ পরিকল্পিত ভাবে কয়েকটি মন্দিরে হামলা চালায় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য। যাতে বিদেশীরা দেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তা এখন প্রমাণীত হয়েছে। সমন্নয়ক সারজিস আলম বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতার জন্য যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। আওয়ামীলীগ চেয়েছিল ছাত্র-জনতার উপর গুলি করে ২০/২৫ হাজার লোককে হত্যা করতে। একটি কথা মনে রাখতে হবে ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দেশে বাক স্বাধীনতা ছিল। যার কারণে ৭৫ সালে শেখ মুজিবকে সেনাবাহিনীন একটি অংশ হত্যা করার পর জনগণ মিস্টি বিতরণ করেছে। সাধারণ মানুষ নিরব থেকে আওয়ামীলীগকে ঘৃণা জানিয়েছে। পরবর্তিতে তারা বিভিন্ন ভাবে বিগত দিনের ভুল সুধরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে তাদের সেই প্রতিশ্রæত ভুলে যায়। ৫ বছর পর তারা আবার ক্ষমতা হারায়। পর তাদের তৈরী ১/১১ এর সময় তারা নয়া কুটকৌশলে পুনরায় ক্ষমতায় এসেই শুরু করে ভিন্ন মতের মানুষকে দমন। অন্যায় ভাবে গুম হত্যায় মেতে উঠে উঠে। দীর্ঘ দেড় দশকে নিজেদের ঢোল পিটিয়ে সকল সেক্টরে নিজেদের লোক বসিয়ে শেখ হাসিনা হয়ে যান ফেরাউনের প্রেতাত্মা। ক্ষমতা তাকে এতটা অন্ধ করে দেয় সে কাউকে তোয়াক্কা করত না। সে ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতকে বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিলিয়ে দিয়ে আধিপত্্য কায়েম করে। যার শিকার সারা দেশের জনগণ। এখন দেশ সংস্কারের পালা। এ জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ থেকে জালিম সরকারের পতন হয়েছে সামনে যাতে আর কোন জালিম জনগনের উপর জুলুম করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসা শুরু করেছে এখন শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে হবে। আর যদি কোন অপশক্তি মাথাচাড়া দিতে চায় তবে আমরা ছাত্র-জনতা পুনরায় রাজপথে নেমে তা প্রতিহত করব। তবে শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে এসে প্রতিটি হত্যার বিচার করব। জালিমদের জুলুম আর দেশের জনগণ সহ্য করবে না। এদিকে নারায়ণগঞ্জে হাসিনা সরকারের সময় কেহ মুখ খুলতে পারেনি। এতটাই ভয়াবহ ছিল যা লিখে শেষ করার মত নয়। কয়েক নামে চাঁদাবাজি হত। ভাইয়ের নামে, ভাবির নামে, হাজী সাহেবের নামে। আবার রয়েছে তাদের লালিত গুন্ডাবাহিনী। যাদের কাজ চাঁদা আদায়, অবৈধ ভাবে অন্যের জমি দখল। বিভিন্ন সেক্টর দখল ও চাঁদাবাজি। সরকার পতনের সাথে সাথে তারাও পালিয়েছে। তারা জানে তারা কি অপরাধ করেছে। তাই তাদের জীবন রক্ষার্থে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দেশের মানুষ আজ এ সকল সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্তি পেলেও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিজয় প্রশ্নবিদ্ধ করতে আওয়ামীলীগের দালাল শ্রেনীর কিছু পল্টিবাজ রয়েছে তারা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পায়তারা করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তারা সকলকে সাবধান হয়ে পথ চলতে হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা