আজ রবিবার | ১০ আগস্ট ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৫ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১১:০৯

টাকা ফেরত চায় ভূক্তভোগীরা

ডান্ডিবার্তা | ১৮ আগস্ট, ২০২৪ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
পুলিশের ভাবমূতি পুলিশই খারাপ করেছে। এমন মন্তব্য একাধিক ভ’ক্তভোগীর। যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল তখন পুলিশ একেবারে আওয়ামীলীগের কর্মী হয়ে কাজ করেছে। অনেক পুলিশকে বলতে শুনা গেছে আমরা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনেছি। আর শেখ হাসিনাও পুলিশের লাগাম ছেড়ে দিয়েছেন। যার কারণে পুলিশের অনেক কর্মকর্তা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আর সেই বেপরোয়া কর্মকর্তাদের নির্দেশে থানা পর্যায়ের পুলিশ একেবারে আওয়ামীলীগার হয়ে গিয়েছিল। আর এ সুযোগে পুলিশ ব্যাপক হারে গ্রেফতার বানিজ্যে মেতে উঠেছিল। তখন আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির নেতাদের সাথে নিয়ে পুলিশ ব্যপক হারে গ্রেফতার বানিজ্য করে। এখন সেই ভ’ক্তভোগীদের মধ্য থেকে দাবি উঠেছে আমাদের টাকা ফেরত চাই। বন্দরে পুলিশ এ আন্দোলন চলাকালে বন্দর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানুর ভাগিনা মিশুককে সাথে নিয়ে দর কষাকষি করতেন। মিশুক পুলিশের দালালি করে বিভিন্ন বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে গ্রেফতার বানিজ্য করতেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন্দর ইউনিয়নের পদুঘর এলাকার সাবেক মেম্বার বিএনপি নেতা জানান, আন্দোলন চলাকালে পুলিশ এসে তার কাছ থেকে গ্রেফতার না করার শর্তে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার জানান, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। তাও আবার যুবলীগ নেতা খান মাসুদের মাধ্যমে। এছাড়া মদনপুর, বন্দর, মুছাপুর এলাকার একাধিক বিএনপি নেতার অভিযোগ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে তাদের বাড়িতে হানা দেয়। পরে তাদের পরিবারদের ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। যা এখন বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এখন যেহেতু পুলিশ সামাজিক হতে চায় তাই সে সকল অবৈধ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা যেন ফেরত দেয়া হয়। এমন অবস্থা নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র। বিএনপির বহু নেতা বলেন, আমরা আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন করে আসছিলাম। আমাদের নাম ঠিকারা পুলিশের জানা ছিল। শুধু তাই নয় তৎসময় পুলিশ আওয়ামীলীগের নেতাদের কাছ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাতো যদি কাউকে তে তবে তাকে ধরে থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার বানিজ্য করত। দরতে পারণে টাকা অংক বেশী হতো আর বাড়িতে না পেলে তখন ভয় দেখিয়ে যতটুকু পারত তা নিয়ে আসত। এমন বিভিষিকাময় অবস্থা তৈরী করে রেখেছিল পুলিশ। এখন আমরা পুলিশের প্রতি আহবান জানাই যাতে কাউকে অন্যায় ভাবে হয়ংরানি না করা হয়। যে অপরাধ করেছে তাকে যেন আইনের আওতায় আনা হয়। পুলিশকে দলীয় নয় জনগণের হয়ে কাজ করার আহবান জানাই। এদিকে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরা যতটুকু করেছি উপরের নির্দেশে করেছি। আমরা নিরপরাধ। এখন আমরা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চাই। আমাদের উপর যেন কোন চাপ না থাকে। আমরা রাষ্ট্রের নিয়মে কাজ করতে চাই। যা ভুল আমাদের হয়েছে আমরা সে থেকে বেরিয়ে ছাত্র-জনতার নতুন বাংলাদেশের সাথি হয়ে দেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে নিজেদের েিয়াজিত করতে চাই।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা