
নাসির উদ্দিন
মুদি তোষামোদকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র ইতিমধ্যে জনগণের মাঝে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গণহত্যাকারী এ নারী নেত্রী বাংলাদেশকে অকার্যকর করতে নানা ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ ভারতের কয়েকজন সাংবাদিক মত প্রকাশ করেছেন। তবে ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে নানা মিথ্যাচার করছে তা ইতিমধ্যে বিশে^র কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতের কতিপয় মিডিয়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ভিডিও প্রকাশ করে যা তাদের দেশের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া বা আওয়ামীলীগ আমলে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া ভিডিওকে প্রকাশ করে ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বাংলাদেশ সর্ম্পকে ভুল ধারনার জন্ম দেয়ার চেষ্টা করে। ৫ আগষ্টের পর বিএনপি ও ইসলামী দলগুলি হিন্দুদের মন্দির পাহাড়া দিয়ে রেখেছে যাতে কোন সংখ্যালঘুর উপর কোন ধরনের সহিংসতা না হয় সে ভিডিও বা সংবাদ ভারতীয় মিডিয়া প্রচার করেনি। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত অন্তত ১৩টি ভুয়া খবর পাওয়া গেছে। এমন ভুয়া খবর প্রচারের তালিকায় ভারতের অন্তত ৪৯টি গণমাধ্যমের নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে রিপাবলিক বাংলা সর্বাধিক ৫টি গুজব প্রচার করেছে। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ এবং লাইভ মিন্ট, যারা প্রত্যেকে অন্তত ৩টি করে গুজব প্রকাশ করেছে। এছাড়া, রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ এবং আজতক অন্তত ২টি করে গুজব প্রচার করেছে। বাকি ৪১টি গণমাধ্যম অন্তত একটি করে গুজব প্রচার করেছে। এসব গুজবের মধ্যে ছিল: শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নামে ভুয়া খোলা চিঠি, মুসলিম ব্যক্তির নিখোঁজ পুত্রের সন্ধানে মানববন্ধন করার ভিডিওকে হিন্দু ব্যক্তির দাবিতে প্রচার, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার ভুয়া খবর, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জ*ঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ভিত্তিহীন দাবি, ট্রাম্পের বিজয়ের পর ড. ইউনূস ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়ার ভুয়া দাবি, পাকিস্তানি জাহাজের মাধ্যমে অস্ত্র আনার মিথ্যা দাবি, নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী হিসেবে প্রচার, বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হওয়া গুজব, বাংলাদেশে মুসলিমদের হামলায় হিন্দু মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের দাবিতে ভারতের প্রতিমা বিসর্জনের ভিডিও প্রচার, শ্যামলী পরিবহনের বাসে হামলার মিথ্যা তথ্য চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীর ওপর হামলার ভুয়া দাবি এবং বাংলাদেশে জ*ঙ্গি হামলা হতে পারে জানিয়ে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ সতর্কতা জারির বিভ্রান্তিকর খবর। গত৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে জনগণের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন এবং ওই চিঠিতে তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে জানা যায়, শেখ হাসিনা এমন কোনো চিঠি দেননি। তখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ভারতীয় মিডিয়ার স্বেচ্ছাচারিতা বা ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যচার তা ধরিয়ে দিয়েছে। আর এটা শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র তা অনেকে বুঝে গেছেন। ভারতীয় সরকার চায় বাংলাদেশে একটি গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি হউক। যাতে তারা বাংলাদেশের উপর খবরধারী করতে পরে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে তাদের প্রভুত্ব গ্রহণ করাতে পরে। সম্প্রতি ভারতে পতাকা অবমাননার যে চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাও নাকি এআই দিয়ে তৈরী করা। এমন তথ্যও সোস্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদি এই হয় তা হলে এটা গভীর ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোন দেশের পতাকাকে অসন্মান করে না। সাধারণত ফুটবলের বিশ^কাপ খেলোর সময় দেখা যায় আর্জেটিনা ও ব্রাজিলের পতাকার কি কদর। বাংলাদেশের মানুষ অন্য দেশের প্রতাকাকে সন্মান করে এটা বাস্তব উদাহরন ফুটবলের বিশ^কাপ খেলো। গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যখন ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে ক্ষমতাচ্যূত করে আর ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনা তার তোষামোদী সরকার ভারতের মুদির কাছে আশ্রিতা হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। যা ভারতীয় সাংবাদিকদের মুখে উঠে এসেছে। ভারত শেখ হাসিনাকে তার দেশে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা পানি ছেড়ে দিয়ে ষত ষত মানুষকে হত্যা করে। সাধারণ মানুষ মনে করে রেক্ত পিপাসু শেখ হাসিনার রক্তের হোলি খেলা শেষ হয়নি। দেশে গণহত্যা চালিয়ে আবার মুদিকে অনুরোধ করে বাংলাদেশে পানি ছেড়ে দিয়ে অনেক মানুষকে হত্যা করায়। শুধু তাই নয় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসররা যারা এখনো দেশে আত্মগোপন করে আছে আবার কেহ কেহ কিছু অর্থলোভী বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে নিজ এলাকায় ফিরেছে তারা এখন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ভিতরে ষড়যন্ত্র করছে। কয়েক দিন ধরে ভারতীয় বিএসএফ সীমান্তে বাংলাদেশীদের উপর হত্যা নির্যাতন শুরু করেছে। ভারত চায় শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পুর্নবাসন করতে। যা সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ জন্য এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে ইতিমধ্যে বিএনপি ও ইসলামী দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির পাশাপাশি ইসলামী দলগুলি সোচ্চার হয়ে উঠেছে ভারতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে জুমার খুদবায় বলা হয়, দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য রুখে দাঁড়ানো ইমানী দায়িত্ব। বাংলাদেশের হিন্দুরা এ দেশের নাগরিক। তাদের সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। তবে তাদের নিয়ে খেলছে ভারতে আশ্রিত বা আত্বগোপনে থাকা স্বৈরাচারীরা। এদেশের জনগণ ভারতের ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যবদ্ধ। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, যে সকল পন্য ভারত থেকে আমাদের দেশে আসত তা বর্জন করে অন্য দেশ থেকে আমদানী করতে। ইতিমধ্যে ভারতের জনগণের বিপক্ষে নয় ভারত সরকারের নীতির বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের জনগণ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। অনেকে ভারতীয় মিডিয়া বর্জন করেছে। ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার ভারত বাংলাদেশের সাধারণ জনগনের মধ্যে ধরা পড়ে গেছে। এ জন্য বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের অনেক স্থানে এর প্রতিবাদও হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। এ থেকে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানানো হয়।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯