ষড়যন্ত্রের হেড কোয়ার্টার দিল্লি!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে এখন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যার প্রমান ইতিমধ্যে দেশবাসী পেয়ে গেছে। ভারতীয় মিডিয়াকে দিয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পায়তারা করছে। ভারতের জনগণ শেখ হাসিনাকে গলার কাটা মনে কররেও ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে নিয়ে নেচে বেড়াচ্ছে। যে নারী হাজার হাজার মানুষের হত্যাকারী তাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারত বিদ্বেষি মনোভাব তৈরী করে চলেছে। যখন বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলে তখনও ভারতে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ভারতের জনগণ। তখন ভারত সরকার এ আন্দোলনকে নিয়ে কিছু বলেনি। তারা বরাবর শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে কথা বলেছে। ভারত সরকার প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে নয় শুধু শেখ হাসিনার পক্ষে। আর এতে করেই স্পষ্ট এতদিন শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে দেশে স্বৈরশাসন চালিয়েছে। ভারতের আস্কারায় শেখ হাসিনা বিশে^র মোড়ল দেশগুলিকেও তোয়াক্কা করত না। এবার শেষ পর্যন্ত কোন উপায় না পেয়ে শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লিতে বসে মিডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমান একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে একটা বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে। আর এ ষড়যন্ত্রের হেড কোয়ার্টার হচ্ছে দিল্লি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত এ অন্তর্র্বতী সরকার যাতে বিফল হয় সেজন্য একটি পরাজিত গোষ্ঠী দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য দেশবাসীকে তিনি তাদের পাতা ফাঁদে পা না দিয়ে সতর্ক থাকার আহŸান জানান। নাসের রহমান বলেন, ভারতের ৪৯টি মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ প্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় ইসকনের বহিষ্কৃত এক নেতাকে গ্রেপ্তার করায় তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এসব ভারতের মিডিয়া ভুয়া সংবাদ প্রচার করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাচ্ছে। তিনি দেশবাসীর প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশে কী কোনো হিন্দু ভাইদের নির্যাতন কিংবা মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে? দেশে এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অথচ ভারতীয় মিডিয়াগুলো হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষজন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মিথ্যা-বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। দেশের সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির বিনষ্ট করতে চাচ্ছে। তাদের এ পাতানো ফাঁদে আমরা যেন পা না দিই। সেজন্য দেশবাসী সবাই সজাগ থাকতে হবে। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। নাম শুনলেই ঘৃণা করছে। দেশের টাকা পাচারকারী চোরদের মানুষ প্রতিহত করেছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছেন। বাংলাদেশের মানুষ আর কাউকে লুটপাট করতে দেবে না। যারাই ক্ষমতায় আসতে চান সাবধান হয়ে যান। এবি পার্টির এ নেতা বলেন, ভারতের সঙ্গে আর কোনো গোপন চুক্তি হতে দেওয়া হবে না। আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগের কবর রচিত হয়ে গেছে। ওদের পাওয়া যাবে জাদুঘরে। দিল্লির দাসত্বের দিন শেষ। ফেনী নদীর পানির হিস্যা বুঝিয়ে দিতে হবে। বন্যায় ডুবিয়ে মারা চলবে না। এসকল ষড়যন্ত্র থেকে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন বিভিন্ন রানৈতিক নেতারা। নেতারা বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু নয়। তারা বাংলাদেশ স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্ধুত্বের নামে আমাদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খেয়েছে। আর এ সুযোগ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা করে দিয়েছে। ভারত দিয়ে বাংলাদেশের স্বার্খ হাসিল হয়নি। বরং ভারত বাংলাদেশ থেকে স্বার্থ হাসিল করেছে। এ জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশ অস্তিতিশীল হলে তারা ফায়দা লুটার চেষ্টা করবে। এটা বাংলাদেশের জনগণ বুঝে গেছে। এ জন্য ভারতের সকল অপতৎপরতা থেকে আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং এর কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ করতে হবে।