
নাসির উদ্দিন
শেখ হাসিনা ও মোদির ষড়যন্ত্র বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এবার ভারতীয় মিডিয়ায় ভারতের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। মোদি নীতিতে ভারত বিশে^র বিভিন্ন দেশের বন্ধু থেকে শক্রতে পরিনত হচ্ছে। হারাচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজার ও সুনাম। বর্তমানে ভারতের চার পাশেই শত্রæ রাষ্ট্র। যেমন চীন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মায়ানমার। নতুন করে যোগ হতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। তাই মোদি নীতির বিপক্ষে এবার ভারতের কোলকাতা টিভির চতুর্থ স্তম্ভ নামক অ।নুষ্ঠানের মাধ্যমে ইন্দ্রানী নামক উপস্থাপক অকপটে প্রতিবাদ করে মোদির নীতির বিষয়ে বিষদ বিবরণ দিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার কথাও তুলে ধরেছেন। ভারতীয় মিডিয়ার মির্থািচারের বিষয়ে তুলে ধরেছেন। ইতিমধ্যে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। স¤প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি খামারে ঢুকে চারজন যুবক বড় আকারের একটি গুরুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মারছে। যুবকদের হাতে কোদাল ও লাঠি। তারা গরুটির মাথায়, পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করছে। আঘাতে আহত হয়ে গরু মাটিতে শুয়ে পড়ে ও মরে যায়। পাশবিক আচরণের এ বর্বর ঘটনাটিকে বাংলাদেশে ইসকনের গরুর খামারে আক্রমণের দৃশ্য দাবিতে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্কের স্বীকৃতি পাওয়া তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ইসকনের গরুর খামারে চার যুবক কর্তৃক গরুর ওপর হামলার দৃশ্যটি বাংলাদেশের নয় বরং প্রচারিত ভিডিওটি ভারতের পাঞ্জাবের একটি গরুর খামারে হামলার পুরোনো দৃশ্য। ভারতের পাঞ্জাবে গরুর ওপর যুবকদের হামলার দৃশ্যকে বাংলাদেশে ইসকনের গরুর খামারে হামলার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে, ভিনয় কাপুর নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৪ নভেম্বর প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। স¤প্রতি ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। ভিনয় কাপুরের পোস্টের ক্যাপশনটি ভাষান্তর করে জানা যায়, জলন্ধর জমশেদ ডেইরিতে কিছু লোক দ্বারা গরুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ভিডিওটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো হয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যাতে এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পোস্টে নিজেকে শ্রী গোবিন্দ গরু প্রতিরক্ষা দলের সভাপতি ও সর্বভারতীয় শিবসেনা রাষ্ট্রবাদীর পাঞ্জাবের সভাপতি দাবি করা হয়ে ভিনয় কাপুর নামের সেই আইডি থেকে। এছাড়া, পোস্টে উল্লেখিত স্থানের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে খবরস্তান নামক একটি ওয়েবসাইটে গত ২৭ নভেম্বর ‘ঔধষধহফযধৎ: ইৎঁঃধষষু ঃযৎধংযবফ ড়হ ধ সঁঃব ঢ়বৎংড়হ রহ ধ ফধরৎু, ধিঃপযরহম ঃযব ঠওউঊঙ রিষষ নষড়ি ুড়ঁৎ সরহফ’ (ইংরেজি অনুদিত) শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গরুর ওপর যুবকদের হামলার দৃশ্যটি ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর শহরে জমশেদ ডেইরির। একই তথ্য পাওয়া গেছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ট্রিবিউনের ওয়েবসাইট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও। ফ্যাক্টচেকের ভিত্তিতে রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সুতরাং ভারতের পাঞ্জাবে গরুর ওপর যুবকদের হামলার দৃশ্যকে বাংলাদেশে ইসকনের গরুর খামারে হামলার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ’প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে বাংলাদেশ–ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন ও উত্তেজনা চলছে। দেশটির নাগরিকদের কেউ কেউ ও রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এমন পরিস্থিতির নেপথ্যের কারিগর ভারতের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ও দেশটির সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। রিউমর স্ক্যানার বলছে, বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ভারতের ৪৯ গণমাধ্যম। এসব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সা¤প্রতিক ইস্যুতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি চলছে, যা ভারতের নাগরিকরা গোগ্রাসে গিলছেন ও বিশ্বাস করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সা¤প্রদায়িকতা মানুষে মানুষে বিভাজন ঘটায়, ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি করে বিভেদ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কাজের অধিকার, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং জনজীবনের আরও অনেক জলজ্যান্ত সমস্যা আড়াল করার জন্য উপমহাদেশের প্রত্যেক শাসকগোষ্ঠীই সা¤প্রদায়িকতার হাতিয়ার কাজে লাগিয়েছে। তারা এ কৌশল খাটিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু উভয় জনগোষ্ঠীর ভোট পাওয়াটা নিশ্চিত করতে চায়। বিশেষত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় সংখ্যালঘু জনগণের ওপর হামলার ঘটনা বারবার ঘটতে দেখা যায়। ভারতের জনগণের বলেন, ‘আমরা এমন এক সংকটপূর্ণ সময়ে অবস্থান করছি, যখন ভারত ও বাংলাদেশের ক‚টনৈতিক সম্পর্ক শোচনীয় অবস্থায় এবং কিছু ভারতীয় উগ্র সা¤প্রদায়িক শক্তির ক্রমাগত উসকানি এ অঞ্চলের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে চিড় ধরাতে চাইছে। ভারতের জনগণ ও ভারত সরকারকে আমরা কখনই এক করে দেখি না। আমরা জানি, ভারতের জনগণও হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও সা¤প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করে পতন ঘটিয়েছি আমরা। জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সময় আপনারা আমাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আপনাদের আর আপনাদের আন্দোলনে আমাদের সংহতি প্রকাশের ধারাবাহিকতা অনেক দিনের।’ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণায় অনেক রাজনৈতিক দল হিন্দু ঘরবাড়ি ও মন্দির পাহারায় এগিয়ে আসে এবং স¤প্রীতির নতুন নতুন নজির স্থাপন করে। এ ছাড়া ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়ানোর ঘটনায়ও এ দেশের গণতন্ত্রমনা মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতের অনেকগুলো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে আসল তথ্য প্রচার করেনি, এখনো করছে না। ভারতের এক সংবাদমাধ্যম ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটে একটি দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে প্রচার করে। সেই প্রচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আক্রমণ হয়, বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারত সরকার দুঃখ প্রকাশ করলেও মিথ্যা প্রচারণা বন্ধের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রকৃত ঘটনা যথাযথভাবে দেখানো হোক। এ ধরনের প্রচারণা থেকে যেকোনো দেশেই লাভবান হয় সা¤প্রদায়িক শক্তি, লাভবান হয় শাসকগোষ্ঠী।’ স¤প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর ভারত সরকার যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তাতে অবাক হয়েছেন সারা বিশ^, ‘চিন্ময় কৃষ্ণের বিচার পাওয়ার অধিকারকে আমরা সমর্থন করি, সেটা সবারই রয়েছে। কিন্তু ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেভাবে তড়িঘড়ি তার পক্ষে বিবৃতি দিল, তা বিস্ময়কর। তাকে আদালতে উপস্থিত করার দিন ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। এ দেশের জনমানুষের সম্মিলিত চেষ্টায় হত্যাÐের অজুহাতে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’ বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠী বরাবরই অসা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে এবং সব ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভূমিকা উজ্জ্বল। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানেও হিন্দু জনসাধারণের অনেকেই লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন। এদিকে ভারতের বিজিপি নেতা শুভেন্দুর মিথ্যাচার ধরা পড়েছে। এভাবেই মিথ্যাচার করে ভারতীয় জনগণকে উস্কানী দিয়ে যাচ্ছে। যাতে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পুর্নবাসন করতে চাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন এটা শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্র।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯