গোপন মিশন বাস্তবায়নে আ’লীগ!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
গোপনে গোপনে সংগঠিত হতে শুরু করেছে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের আত্মগোপনে থাকা নেতা কর্মীরা। দেশকে অস্থিতিশিল করতে আওয়ামীলীগ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দিল্লি থেকে গোপনে বার্তায় স্বৈারাচারী শেখ হাসিনার প্রেত্মারা নতুন ভাবে দেশেকে অকার্যকর কারার মিশন নিয়ে মাঠে নিমেছে। আগামী নির্বাচন বানচালসহ বর্তমান অন্তর্বর্তিকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে তারা মিশন বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা প্রথমে লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় তাদের মিশন বিএনপির কিছু অসাধু নেতাদের ম্যানেজ করে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে আওয়ামীলীগের মিশন বাস্তবায়নের পথ বেছে নিয়েছে। আওয়ামীলীগ চায় বিগত ১৬টি বছর যেভাবে আওয়ামীলীগ দমনপীড়নের মাধ্যমে দেশ চালিয়েছে সে অবস্থা আবারো ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী দোসররা। অনেকে আবার মায়কান্নাও করছে। বিএনপিরতে অনুপ্রবেশ করার জন্য। যারা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেছে তারা বিএনপির নামে নিজেদের সেফ করার চেষ্টা করছে। যাতে তাদের পুলিশ সমস্য না করে। আর এ সুযোগে বিএনপি বির্তকিত করে দেশে অরাজকতা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। স্বৈাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা তাদের লুটপাটের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তাদের লুটপাট পুনরায় চালানোর জন্য গোপন মিশন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে তারা। যে ছাত্রলীগ সরাসরি গণহত্যায় জড়িত সেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ বিভিন্ন কায়দায় তাদের অবস্থান জানান দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের পক্ষে শেখ হাসিনাতে আস্থা এমন কিছু লেখা পোস্টার রাতের আধারে গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে সাটিয়ে প্রশাসনকে প্রায় চ্যালেঞ্জ করে বসেছে। দ্বিতীয় লিফলেট বিতরনের পথ বেছে নিয়েছে আওয়ামী দোসররা। তারা লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে তাদের সহযোগিদের সংগঠিত করার একটি ছকও রয়েছে তাদের মধ্যে। তারা সংগঠিত হয়ে দেশে যেকোন একটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানের পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে দেখা যায় বর্তমানে ছিনতাই ও ডাকাতি বৃদ্ধি পয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে থেকে পাওয়া যায়, আওয়ামীলীগের অনেক ক্যাডার রয়েছে যাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। সেই সকল অস্ত্র ব্যবহার করে ছিনতাই ও ডাকাতি মত অপরাধ অহরহ ঘটে চলছে। যাতে সাধারণ মানুষের মনে এ ধারণা জন্মানো যায় আওয়ামীলীগের সময়ের চেয়ে এখন ছিনতাই ডাকাতি বেড়েছে। বর্মমান অন্তর্বর্তি সরকার এ সকল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। এমন তকমা লাগানোর মিশনও আওয়ামীলী দোসরদের পরিকল্পনায় রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগের এক দোসর বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাস্ট্র ক্ষমতায় পুনরায় বসানোই তাদের মিশন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থকলে তারা লাভবান হয়। এর জন্য যত প্রকার ঝুঁকি নেয়া দরকার তা তারা নেবেন। তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে দেয়ার পর ইতিমধ্যে রূপগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১০জন, বন্দরে লিফলেট বিতরণ কালে ৪জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও লিফলেট। মাত্র কয়েকদিনে যারা যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা হলেন, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফাজায়েল ভূঁইয়া রয়েল (২৫), পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক আকন্দ (২৮), পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান (২৫), পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. রাজু মিয়া (৩১), শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফরহাদ আফ্রাদ (১৮), মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ মোল্লা (২৪), মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন মনির (২৮), পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম (২৬), বেলাব উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক ভূঁইয়া (২৮)। তারা রূপগঞ্জে এসে তাদের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়। অপর দিকে বন্দরে নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফারুক প্রধান, ২০নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া ও তার সহযোগী সাইদুল মোল্লা। তারা আওয়ামীলীগের স্বৈরাচারী মিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছিল। তারা গ্রেফতার হলেও তাদের অনেকে আত্মগোপিনে থেকে বিএনপিকে বির্তকিত ও বর্তমান আন্তর্বর্তিকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ বরা হয়েছে, আওয়ামীলীগের দোসরদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না। পুলিশের নজরধারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ই