আজ শনিবার | ১৬ আগস্ট ২০২৫ | ১ ভাদ্র ১৪৩২ | ২১ সফর ১৪৪৭ | রাত ৯:৪৯

ফুটপাতে বাতি দিয়ে লক্ষাধিক টাকা আয়!

ডান্ডিবার্তা | ০৬ মার্চ, ২০২৫ | ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নগরীর ফুটপাতে বসানো দোকান গুলোতে অবাধে জ্বলছে শত,শত বাতি। আর এই শত, শত বাতির আলোর যোগান দিতে ব্যবহার করা হয়েছে অবৈধ চোরাই বিদ্যুৎ। এই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে প্রতিটি দোকান থেকে ২০ থেকে শুরু করে ৫০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। নগরীর অনেক স্থানে যখন বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল নগরবাসী তখন অসাধু এক চক্র ফুটপাতে অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে হারিয়ে নিচ্ছে লক্ষ,লক্ষ টাকা। এই চক্রে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর চাষাড়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,চাষাড়া শহীদ মিনারের পাশ ঘেঁষে ফুটপাতে কয়েক শতাধিক দোকানগুলো বৈদ্যুতিক আলোতে জলমলে হয়ে উঠেছে। এখানকার বেশির ভাগ বিদ্যুৎ সংযোগই অবৈধ। একই দৃশ্য দেখা মেলে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের ফুটপাতেও। চাষাড়া বালুর মাঠ,কালিরবাজার, ও নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ঘটনা বেশি। চাষাড়া শহীদ মিনার এলাকায় ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোর মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, সোহেল নামের একজন লাইনম্যান দ্বারা প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে প্রতি বাতি বাবদ তারা দিয়ে থাকেন ২০ থেকে ৫০ টাকা। আর এই টাকা আলামিন নামের একজন নিয়ে থাকে। তার এই অবৈধ বিদ্যুৎ এর সংযোগ পরিচালনা করে নগরীর মার্ক টাওয়ারের অফিস থেকে। বিগত সময়ে এই আলামিন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সংসদ শামীম ওসমান পুত্র অয়ন ওসমানের বন্ধু পরিচয়ে দির্ঘদিন যাবৎ প্রভাবের সাথে ব্যবসা করে আসছে এই আলামিন। সুত্রনুসারে, গত ৫ আগষ্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহর ত্যাগ করেছেন ওসমান পরিবারের সকলেই। ওসমানদের সাথে, সাথে আত্বগোপনে চলে যায় তাদের অনুসারীরাও। সেই সূত্র ধরে আলামিনও শহর ত্যাগ করেছেন। তবে, শহর ত্যাগ করলেও রেখে গেছে তার আপন খালাতো ভাই সোহেলকে। যার দ্বারা এখনও পরিচালনা করে যাচ্ছে এই অবৈধ বিদ্যুৎ বাণিজ্য। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বর্তমানে আলামিন শহরের কিছু বিএনপি নেতাদের সাথে আঁতাত করে তার এই অবৈধ বিদ্যুৎ বাণিজ্য চালিয়ে চাচ্ছে। তবে, এই টাকা বিদ্যুৎ বিভাগে জমা হয় না। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু আসাধু কর্মচারি এই অবৈধ বাণিজ্যে পুরোপুরি জড়িত বলে জানাযায়। অনুসন্ধান বলছে, সরাসরি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যবহার করায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। ২০২২ সাল থেকেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সারা দেশের ন্যায় সরকারিভাবে নারায়ণগঞ্জে দোকানপাট ও মার্কেট রাত ৮টার পর বন্ধ রাখাসহ একাধিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বড় বড় বিপণিবিতান নির্ধারিত সময় পরে বন্ধ হলেও খুঁটি থেকে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ নিয়ে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে আসছে ফুটপাতের দোকানিরা। ফলে বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সব নির্দেশনা পালনে নারায়ণগঞ্জ ডিপিডিসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের নাকের ডগায় চলছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের উৎসব। নগরীর সচেতন মহল এই বিষয়ে বলেন, পুরো শহরের এমনিতেই গত কয়েক দিন যাবৎ প্রচুর বিদ্যুতের সংকট চলছে। এ সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রæত ফুটপাতের দোকানে অবৈধ সংযোগগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অবৈধ সংযোগ দিয়ে একদিকে বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে, অন্যদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অবৈধ সংযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ডিপিডিসির ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, আমরা প্রায় সময়ই ফুটপাতে অভিযান চালিয়ে থাকি। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ নেওয়া হকারদের জরিমানা করেছি অনেকবার। তাদের মধ্যে অনেকে বৈধভাবে মিটার নিতে চায়, কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে তাদের কোন ব্যাবসায়িক লাইসেন্স নেই। এর ফলে তাদের আমরা বৈদ্যুতিক মিটার দিতে পারি না। তবে শিগগিরই আমরা অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা