
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
এক সময় অনেক প্রতাপের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ শাসন করতেন ওসমান পরিবারের দোসররা। তারা ওসমান পরিবারের সাথে সখ্যতা রেখে এক একজন এক এক এলাকার গডফাদার বনে গিয়েছিলেন। তাদের ছাড়া কিছুই করা যেত না। ওসমান পরিবারের চাটুকারিতা করে হয়েছেন বিত্তবান। টোকাই থেকে কোটিপতি। গড়েছেন বাড়ি গাড়ি ও অঢেল সম্পদ। সেই সাথে কাড়ি কাড়ি টাকা। তারা বলে বেড়াত শামীম ওসমানের জন্য যান দিয়ে ফেলবে। প্রয়োজনে সব কিছু অচল করে দেবে। তারা এক সময় ধরা সারাজ্ঞান করতেন। সাধারণ বিচার সালিশ থেকে শুরু করে সকল সেক্টর তাদের দখলে ছিল। যেই ওসমান পরিবারের নামে চলতো তাদের রুজি রুটি আজ তারা সেই ওসমান পরিবারকে ভুলে গেছে। কিছু দিন আগে একেএম সামসুজ্জোহার মৃত্যুবার্ষিকী ও পালন করেনি ওসমান পরিবারের তেলবাজরা। গতকাল শুক্রবারও সামসুজ্জোর স্ত্রী নাগিনা জোহার মৃত্যুবার্ষিকীও পালন করেনি। সাধারণত: রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা আজ ওসমান পরিবার থেকে দুরে সরে গেছেন। তাদের এখন আপনা পরান বাঁচা অবস্থা। তারা এখন ভুলেও ওসমান পরিবারের নাম মুখে নেন না। তার বাস্তব প্রমাণ হলো গতকাল ওসমান পরিবারের মাতা মানে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের গর্ভধারিনী মা প্রয়াত নাগিনা জোহার মৃত্যু বার্ষিকী ছিল গতকাল শুক্রবার। যাকে ভাষা সৈনিক ও রতœগর্ভা মা হিসেবে দালালচক্র নানাভাবে তেলবাজি করলেও সেই নাগিনা জোহার নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে করো নেই কোন সাড়াশব্দ নেই। তেলবাজ নেতাকর্মী ছাড়াও দালালখ্যাত বিশেষ পেশার অনেকেই এই নাগিনা জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে নামধারী দালালচক্র গতকাল শুক্রবার রমজান মাসের প্রথম জুম্মা উপলক্ষ্যেও কেউ নাগিনা জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘরের মধ্যে চুপিসারেও কোরআনখানী, মিলাদ অথবা দোয়ার আয়োজন করার কোন খবর পাওয়া যায় নাই। ২০১৬ সালের ৭ মার্চ তিনি মারা যান নাগিনা জোহা। গতকাল শুক্রবার মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকেও কোথাও কোন দোয়ার আয়োজন করা হয় নাই। জানা যায়, নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার অর্থাৎ ভারতের বর্ধমান জেলার কাশেমনগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেমনগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজহিতৈষী ও কাশেমনগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল। নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলিম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৫১ সালে একেএম সামসুজ্জোহার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। গতকাল শুক্রবার নাগিনা জোহার মৃত্যুবার্ষিকী হলেও ওসমান পরিবার দ্বারা লাভবান সেই তেলবাজরা ওসমান পরিবারকে বেমালুম ভুলে গেছেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯