আজ সোমবার | ৩০ জুন ২০২৫ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ | ৪ মহর্‌রম ১৪৪৭ | ভোর ৫:২৩

ওসমান পরিবারের তেলবাজরা নিরব

ডান্ডিবার্তা | ০৮ মার্চ, ২০২৫ | ১২:১৯ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
এক সময় অনেক প্রতাপের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ শাসন করতেন ওসমান পরিবারের দোসররা। তারা ওসমান পরিবারের সাথে সখ্যতা রেখে এক একজন এক এক এলাকার গডফাদার বনে গিয়েছিলেন। তাদের ছাড়া কিছুই করা যেত না। ওসমান পরিবারের চাটুকারিতা করে হয়েছেন বিত্তবান। টোকাই থেকে কোটিপতি। গড়েছেন বাড়ি গাড়ি ও অঢেল সম্পদ। সেই সাথে কাড়ি কাড়ি টাকা। তারা বলে বেড়াত শামীম ওসমানের জন্য যান দিয়ে ফেলবে। প্রয়োজনে সব কিছু অচল করে দেবে। তারা এক সময় ধরা সারাজ্ঞান করতেন। সাধারণ বিচার সালিশ থেকে শুরু করে সকল সেক্টর তাদের দখলে ছিল। যেই ওসমান পরিবারের নামে চলতো তাদের রুজি রুটি আজ তারা সেই ওসমান পরিবারকে ভুলে গেছে। কিছু দিন আগে একেএম সামসুজ্জোহার মৃত্যুবার্ষিকী ও পালন করেনি ওসমান পরিবারের তেলবাজরা। গতকাল শুক্রবারও সামসুজ্জোর স্ত্রী নাগিনা জোহার মৃত্যুবার্ষিকীও পালন করেনি। সাধারণত: রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা আজ ওসমান পরিবার থেকে দুরে সরে গেছেন। তাদের এখন আপনা পরান বাঁচা অবস্থা। তারা এখন ভুলেও ওসমান পরিবারের নাম মুখে নেন না। তার বাস্তব প্রমাণ হলো গতকাল ওসমান পরিবারের মাতা মানে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের গর্ভধারিনী মা প্রয়াত নাগিনা জোহার মৃত্যু বার্ষিকী ছিল গতকাল শুক্রবার। যাকে ভাষা সৈনিক ও রতœগর্ভা মা হিসেবে দালালচক্র নানাভাবে তেলবাজি করলেও সেই নাগিনা জোহার নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে করো নেই কোন সাড়াশব্দ নেই। তেলবাজ নেতাকর্মী ছাড়াও দালালখ্যাত বিশেষ পেশার অনেকেই এই নাগিনা জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে নামধারী দালালচক্র গতকাল শুক্রবার রমজান মাসের প্রথম জুম্মা উপলক্ষ্যেও কেউ নাগিনা জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘরের মধ্যে চুপিসারেও কোরআনখানী, মিলাদ অথবা দোয়ার আয়োজন করার কোন খবর পাওয়া যায় নাই। ২০১৬ সালের ৭ মার্চ তিনি মারা যান নাগিনা জোহা। গতকাল শুক্রবার মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকেও কোথাও কোন দোয়ার আয়োজন করা হয় নাই। জানা যায়, নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার অর্থাৎ ভারতের বর্ধমান জেলার কাশেমনগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেমনগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজহিতৈষী ও কাশেমনগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল। নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলিম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৫১ সালে একেএম সামসুজ্জোহার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। গতকাল শুক্রবার নাগিনা জোহার মৃত্যুবার্ষিকী হলেও ওসমান পরিবার দ্বারা লাভবান সেই তেলবাজরা ওসমান পরিবারকে বেমালুম ভুলে গেছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা