আজ শনিবার | ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ১১ জিলকদ ১৪৪৬ | দুপুর ১২:২৭

আ’লীগ থেকে যেভাবে বিএনপির নেতা

ডান্ডিবার্তা | ১৮ মার্চ, ২০২৫ | ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামীলীগের যুবলীগ নেতা শরীফ হোসেন হঠাৎ বিএনপি নেতা বনে যান। ৫ লাখ টাকা খরচ করে ফতুল্লা থানা শাখার আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ নামের একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের আহবায়ক হোন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের হাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, ১২ মার্চ রাতে ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকা থেকে র‌্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা শরীফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পরদিন বৃহস্পতিবার ফতুল্লা মডেল থানায় তাকে সোপর্দ করে। শরীফ হোসেন পলাতক শামীম ওসমানের সেকেন্ড ইন কমান্ড শাহনিজাম ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলামের ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সদস্য। ৫ আগস্টের প‚র্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর বিএনপি নেতা শাহিন ও সালাউদ্দীন মোল্লাকে ম্যানেজ করে বিএনপি নেতা বনে যান শরীফ হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত শরীফের বিরুদ্ধে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৫ আগস্টের পর গত ১ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানা আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের কমিটিতে শরীফ হোসেনকে আহবায়ক করা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় সংগঠনটির থানা শাখার পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন ভূইফোড় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আলমগীর হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন, জেলা কমিটির আহবায়ক সালাউদ্দীন মোল্লা, মহানগর বিএনপির সদস্য ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আকরাম প্রধান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু সহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। গত ২৫ ফেব্রæয়ারী জেলা বিএনপির সমাবেশে সংগঠনটির ব্যানারে মিছিল নিয়েও যোগদান করেন শরীফ হোসেন। কমিটি গঠনের পর স্থানীয়দের মাঝে অভিযোগ ছিল ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে যুবলীগের সন্ত্রাসী শরীফ হোসেনকে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের আহবায়ক করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শরীফ ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। ৫ আগস্টের পর সে ভোল পাল্টে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয় এবং কোকো স্মৃতি সংসদের আহবায়ক পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণ করাসহ নানা অপরাধম‚লক কর্মকাÐে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। শরীফ-বাদশা, চুন্নু ও মিথুন বাহিনী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প‚র্ব লামাপাড়া ও নয়ামাটি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। অস্ত্র ব্যবসা, ভ‚মিদস্যুতা ও মাদক চক্রের নেতৃত্ব দিতো তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় থেকে পুনরায় অপরাধম‚লক কর্মকাÐ শুরু করে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা