
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সর্ম্পকে সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের মামা শ^শুর। সেই পরিচয়েই গোদনাইল পদ্মা ডিপোর চোরাই তেল নিয়ন্ত্রণসহ পুরো সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়ে আধিপত্য চালাতো জালাল। তার হাত ধরেই আওয়ামী লীগের দোসর এবাদুল্লা ওরফে এবা’র ছেলে রাজীব চোরাই তেল সিন্ডিকেটে প্রবেশ করে। রাজীব এক সময় ট্যাঙ্কলড়ির ড্রাইভার ছিলো। সেই সুবাদে তার এ রাস্তা আগের থেকে চেনাজানা ছিলো। ফলে শামীম ওসমানের মামা শ^শুর জালালের সেল্টারে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পদ্মা ডিপোর পুরো চোরাই তেল সিন্ডিকেট নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হন তিনি। বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রণেই চলছে চোরাই তেলের ব্যবসা। জানাগেছে, ৫ আগস্ট দেশের হাসিনা সরকারের পতনের পর শামীম ওসমানের সাথে সাথে তার মামা শ^শুর জালালসহ রাজীবগংরা আত্মগোপনে চলে যায়। ফলে বেশ কিছুদিন চোরাই তেলের কারবার বন্ধ থাকে। এরপর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে একাধীক মামলাও হয়। কিন্তু তবুও কোন এক রহস্যজনক কারণে তারা বর্তমানে নিজ এলাকায়ই বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে জানাগেছে। শুধু এলাকায় বহালই নয়, পূর্বের রূপে আবারও পদ্মা ডিপোতে চোরাই তেলের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে একাধীক মামলা থাকা সত্বেও তারা যেন প্রশাসনকে এক প্রকার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এলাকায় বহাল থেকে চোরাই তেলের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছেন। আমরা জানিনা, কিভাবে তারা এলাকায় থাকছেন এবং এখনও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পেছনে ঠিক কি রহস্য রয়েছে আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। তবে যে রহস্যই থাকুক না কেন, আমাদের তাদের দ্রæত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তথ্য সূত্রে যানা যায়, নিসাদ জুটমিল লিমিটেড (টঙ্গি) ছিল এবাদুল্লা এবার প্রথম চুরির আস্তানা। সেখানে ৯ হাজার লিটার এর তৈল এর জায়গায় স্টাফগনকে ম্যানেজ করে ৫ হাজার লিটার বুঝিয়ে দিয়ে ৪ হাজার লিটার চুরি করত এবং তৈলটি গাড়ি দিয়ে নিয়ে আসতো বার্মাস্ট্যান্ড। দ্বিতীয় ফ্যাক্টরী ছিল করিম জুটমিল (ডেমরা) সেখানে পরিবহন করত জিবু তৈল। সেখানেও ৯ হাজার লিটার তৈল পরিবহন করত। ডিপো থেকে ৯ হাজার লিটার তৈল নিয়ে করিম জুটমিল যাওয়ার পথে ৩ হাজার ৫শ’ লিটার ডিপোর বাহিরে বিক্রি করত। একই পদ্ধতীতে ফুজী চটকল, নবারন জুটমিল, পুবালী জুটমিল (ঘোড়াশাল), গোদনাইল কো-অপারেটিভ জুটমিল, ডেমরা ভাওয়ানী জুটমিল, গজারিয়া জুটমিল, শাহিন পুকুর (কাঁচপুর) প্রতিটি জুটমিলে তৈল পরিবহন করত এই ড্রাইভার এবাদুল্লা এবা। সে নিজেই নিয়ন্ত্রন করত এবং যে কোম্পানির গাড়ী চালাতো তা মেহেদী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক বিষয়গুলি অবগত ছিল না। রাজিবের বাবা এবাদুল্লা এবা ড্রাইভার হয়ে নিজেই নিয়ন্ত্রন করতো একা। তাহলে বোঝা যায় রাজিবের বাবা এবাদুল্লা এবা এর কাছ থেকে শিখেছে চুরির বিষয় টা। পরবর্তীতে এবাদুল্লা এবা টাকার মালিক বনে গেলে চাটারভুক্ত অঞখ (৩১) ট্যাঙ্কলরী কিনে। এই গাড়ীটি দিয়ে একই ঘটনা আগের অভ্যাস চুরি করা শুরু করে এবং নিজেই ড্রাইভিং করা শুরু করে। পূর্বের মতন ডিপু স্টাফদের ম্যানেজ করে প্রতিদিন ১০ ড্রাম তৈল চুরি ছিল তার। লোভ সামলাতে না পেরে চুরি দিল বাড়িয়ে। সপ্তাহে ৯ হাজার লিটার করে অঞখ (৩১) তৈল যাত্রাবাড়ী বিক্রি করত যা সম্পূর্ন বাহিরে বিক্রি করা নিষেধ। এভাবে বেড়ে যায় এবাদুল্লা এবার চুরি অল্প দিনে বনে যায় অধিক টাকার মালিক। আজ শুনা যাচ্ছে প্রতিটি ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবাদুল্লা এবার কারনে। টাকার মালিক বনে গেলে আদমজী কমল পরিবহনের দুটি গাড়ি কিনে এবং বেশ কিছু যায়গা সম্পত্তি কিনে। অতএব বুঝা যাচ্ছে রাজিবের বাবার কাছ থেকে এসকল চুরির কৌশল রপ্ত করে এবং যা বর্তমানে কাজে লাগাচ্ছে রাজিব। রাজিব এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। একই ঘটনা ডিপোর ভিতর রাজিব চাচ্ছে নিয়ন্ত্রন করতে। এখন যদি রাজিব কে দমানো না যায় তাহলে দেশের সম্পদ নষ্ট করবে রাজিব গংরা।
হাবিবুর রহমান বাদল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সাথে সাথে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার দোসররা কেউবা পালিয়েছে আবার কেউ আত্মগোপনে রয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে পেশাদার সাংবাদিকরা সব কিছু দেখলেও কোন কিছুই লিখতে পারতনা। আকাঁরে ইঙ্গিতে কোন কিছু লিখলেই সেইসব সাংবাদিকের উপর খর্গ নেমে […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯