আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ২:৫৯

নির্বাচনী মাঠে বিএনপির পাশে মিত্ররা

ডান্ডিবার্তা | ১২ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
অন্তর্বতি সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষনা দেয়ার পর থেকে নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের ধামামা বাজতে শুরু করেছে। প্রতিদিন সম্ভাব্য প্রার্থীদের কেহ না কেহ নির্বাচনী প্রচারনা করেই যাচ্ছেন। তবে এবারের নির্বাচন যেমন কঠিন হবে তেমন উৎসব মুখর হবে এমনটাই আশা করেন সাধারণ ভোটাররা। কারণ দীর্ঘ ১৬টি বছর নির্বাচনী আমেজ ছিল না। ছিল না নির্বাচনী পরিবেশ। নতুন প্রজন্ম নির্বাচন কেমন হয় তাও অনেকে জানে না। এবার নির্বাচনী পরিবেশ তৈরী হওয়ায় সব চেয়ে উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। তবে এবার বিএনপি নির্বাচনকে ঐতিহাসিক ও সর্বকালের উ’সব মুখর করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এবারের নির্বাচনে বিএনপির পাশে বিএনপির মিত্ররা সাথে থাকবেন। এতে করে প্রতিটি প্রচারনা হবে উৎসবের মত। আর এনিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর আসন ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। এমন অবস্থায় যুগপৎ আন্দোলনে থাকা মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে বিএনপি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জুলাই আন্দোলনসহ গত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার দলগুলোকে এক কাতারে আনতে চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নির্বাচনেও মিত্রদের ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে চান তিনি। মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও তারেক রহমানের অবস্থানকে সমর্থনের পাশাপাশি নির্বাচনি কর্মকা-ে পাশে থাকার সায় দিয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার পর মিত্র ৪২টি দলের সঙ্গে ২ দিন পৃথকভাবে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে বিএনপি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন বর্জন করা আরও ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করবেন আরেক রহমানের। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামী নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে আলাপ-আলোচনা করেছেন। তাদের কথা শুনছেন। বিগত সময়ের আন্দোলনে মিত্র দলগুলোর ভূমিকা ছিল। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ ধারায় কর্মসূচি পালন করেছে। আগামী দিনে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সমমনা, মিত্রদল ও জোটগুলোর শীর্ষ নেতারাও বিএনপির সঙ্গে থেকে রাজনৈতিক সংকট এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান। তাদের সঙ্গে রেখে আরও কীভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকা যায়-তা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের রায়ে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে হবে এমন প্রতিশ্রুতি বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে। ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আমরা সবাই একসঙ্গে লড়াই করেছি। এই ঐক্য অটুট রাখতে হবে। আগামী দিনেও যে কোনো ভাবে ঐক্য ধরে রাখব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে অনেকেই বলেছেন যে, আগামী নির্বাচনে সবাই মিলে যাতে এক থাকা যায়। একসঙ্গে কাজ করা যায়। তবে উনার (তারেক রহমান) দিক থেকে উনিও বলেছেন, এ ব্যাপারে আমাদের ঐক্যটা ধরে রাখতে হবে। আগামী নির্বাচন ও সরকার গঠনেও আমরা একসঙ্গে থাকব। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছি, আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এখন বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা দেশের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এখন থেকে নিয়মিত আমরা বসব। আলোচনা হবে। আন্দোলনের সময় যে বোঝাপড়াটা, এখনকার পরিস্থিতি ও আগামীতেও যেন বোঝাপড়াটা অব্যাহত থাকে। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, বিএনপির সঙ্গে ২০১২ সাল থেকে জোটে আছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা