আজ রবিবার | ১৭ আগস্ট ২০২৫ | ২ ভাদ্র ১৪৩২ | ২২ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৭:২৩

ঝিমিয়ে পড়েছে জেলা যুবদল

ডান্ডিবার্তা | ১৬ আগস্ট, ২০২৫ | ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল। যার কারণে আজও তারা কমিটি গঠন করতে পারেনি। কেন্দ্রের তাগিদ থাকলেও তারা ব্যর্থ হচ্ছে। যার করনে নারায়ণগঞ্জে যুদলের রাজনীতি তেমন তোরজোর দেখা যায় না। কমিটি করতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেকে যুবদলে না গিয়ে বিভিন্ন দলে স্থান নিয়েছে। এতে করে ছোট হয়ে এসেছে নারায়ণগঞ্জ যুবদল। ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট সাদেকুর রহমান সাদেকে আহবায়ক, খাইরুল ইসলাম সজীবকে যুগ্ম আহবায়ক ও মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব করে কমিটি দেয়। কিন্তু ২২ মাসেও কমিটি পূর্ন করতে পারেননি তারা। কমিটির নেতাদের এমন অবহেলাপূর্ন আচরণে রীতিমত বিরক্ত হয়ে আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছিলো যুবদল। যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন এক চিঠিতে ৭ দিনের মধ্যে ৫১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি কেন্দ্রে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশ তামিলে ব্যর্থ হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। ৩০ জুনের মধ্যে সেই ডেডলাইন ছিলো তাদের জন্য। এরপরেও কমিটি বাতিল বা সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ধরেই নেয়া যায় জেলা যুবদলের নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা পালন করেছেন। বর্তমানে অপেক্ষায় আছে পূর্ন কমিটির জন্য। কেন্দ্র থেকে প্রেরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিলো একাধিকবার নির্দেশনা দেয়ার পরেও এখন পর্যন্ত জেলা যুবদলের কমিটি পুর্নাঙ্গ না করা সংগঠনের নীতি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী। আগামী সাত দিনের মধ্যে ৫১ সদস্যের কমিটি পূর্ন করে কেন্দ্রে জমা দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। এর ব্যত্যয় হলে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে।‘ চিঠির ভাষা ছিলো যেমন কঠোর, তেমনি সমালোচনায় পুর্ন। যা প্রমাণ করে দল পরিচালনায় অনেকটাই দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছেন জেলার নেতারা। তবে চিঠির পর সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় নেতাকর্মীরা বলছেন, এই যাত্রায় উৎরে গেছেন জেলা যুবদলের নেতারা। যুবদলের নেতারা বলছেন, ৫১ সদস্যের কমিটি আগামী ৩০ জুনের মধ্যে জমা দিতে না পারলে বাতিল হয়ে যাবার শঙ্কা ছিলো। সেসময় আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক নিজেদের সমন্বয়হীনতার কথা গণমাধ্যমে স্বীকার করেন। তবে পরবর্তীতে ৫১ সদস্যের কমিটি সাজানো হয় আহবায়ক সাদেক ও সদস্য সচিব রনির সম্মতিক্রমেই। কবে নাগাদ ৫১ সদস্যের তালিকা প্রকাশ করা হবে তা বলতে পারছে না কেউই। সূত্র বলছে, ‘সাদেক, রনি এবং সজীব তিনজন পৃথক পৃথক বলয়ের রাজনীতি করে আসছেন। তিনজনের মধ্যে বলয়ের রাজনীতির কারণে কিছুটা দূরত্ব বিদ্যমান। প্রত্যেকেই নিজ নিজ বলয়ের অনুসারীদের কমিটিতে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিরোধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিলো কমিটি। পদক্রম বা একই পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় কার অনুসারীকে স্থান দেয়া হবে এনিয়ে দীর্ঘ বিরোধ চলেছে। তবে কেন্দ্রের নির্দেশনা পাওয়ার পর সব নেতারাই নিজেদের ছোট ছোট স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে মূল কমিটি রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। সুত্র আরও জানায়, সেসময় গুঞ্জন ছিলো বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে জেলা যুবদলের কমিটি। সেই গুঞ্জনের মধ্যেই যুবদলের নেতারা পেয়ে যান সতর্কবার্তা সহ চিঠি। চিঠির আদেশ অমান্য করলে সত্যিসত্যিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এমন শঙ্কা থেকে দ্রুত তারা কমিটি প্রদান করেছেন কেন্দ্রে এমনটাই জানা গেছে। তা না হলে এতদিনে যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যেত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ বাচানো থেকে শুরু করে নিজেদের বলয় রক্ষা এবং নেতাকর্মীদের কাছে নিজেদের আত্মমর্যাদার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে নেতাদের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। নিজেদের সমন্বয়হীনতা কর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে এবং শত্রুতা বাড়ায়। নিজেদের বিভাজন আর স্বার্থকে দূরে ঠেলে কমিটি পূর্ন করতে পারেন কিনা এই নেতারা তা দেখার অপেক্ষায় জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা