আজ শুক্রবার | ২২ আগস্ট ২০২৫ | ৭ ভাদ্র ১৪৩২ | ২৭ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১:৫৫
শিরোনাম:
বাসভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ না’গঞ্জবাসী    ♦     নির্বাচনের ব্যাপারে প্রফেসর ইউনূস সিরিয়াস    ♦     বাংলাদেশে এক ধরনের উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে    ♦     নতুন বাংলাদেশে আমরা শেখ মুজিবকে কীভাবে দেখব    ♦     ব্যক্তিগত অর্থায়নে একের পর এক রাস্তা সংস্কার করেই যাচ্ছেন মাকসুদ হোসেন    ♦     আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় মাঠে বিদ্রোহী প্যানেল    ♦     আদালতপাড়ায় জামায়াতপন্থী আইনজীবী প্যানেলের গণসংযোগ    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে জাতীয় যুব ফোরামের উদ্যোগে হাই স্কুলে ক্রীড়া সরঞ্জাম বিতরণ    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদের নির্মাণ কাজে বিএনপি নেতার বাঁধা    ♦     ফতুল্লায় বিএনপির ৩ নেতাকে অব্যাহতি    ♦    

নির্বাচনের ব্যাপারে প্রফেসর ইউনূস সিরিয়াস

ডান্ডিবার্তা | ২২ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
প্রফেসর ইউনূস নির্বাচন চান। নির্বাচন চায় সেনাবাহিনী। ইউরোপীয় ইউনিয়নেও একই সুর। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও মোটামুটি পরিস্কার। নির্বাচন চাইছে এখন ভারতও। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলও নির্বাচন চায়। তাহলে নির্বাচন চায় না কে? জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি অনেকগুলো শর্ত জুড়ে দিয়েছে। যে কারণে নির্বাচন নিয়ে যত সংশয়। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই অনিশ্চয়তা বাড়ছে। ইদানিং কেউ কেউ ডাকসু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা বলছেন, ওখানেই নাকি নির্বাচনী গল্পের কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে। কেন এই পরিস্থিতি? জরিপগুলো বলছে, এই অবস্থায় নির্বাচন হলে বিএনপি জিতে যাবে। আর ওখানেই যত বিপত্তি। তাই নানা খেলা। ভূ-রাজনীতির খেলা তো আছেই। পর্দার আড়ালে উগ্রবাদী শক্তির বিরামহীন তৎপরতা। তারা নির্বাচন নয়, অন্যভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। পরিস্থিতি ক্রমশও জটিল হচ্ছে। জামায়াত, এনসিপির নতুন নতুন শর্ত যোগ হচ্ছে। কখনো পিআর পদ্ধতি, কখনো গণভোট। আবার কখনো গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুলে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে নির্বাচনকে। ঐকমত্য কমিশনের ভূমিকাও কুয়াশাচ্ছন্ন। তারা নতুন নতুন ইস্যু যুক্ত করে সময় হরণ করছে। তাদের মতলব নিয়ে এখন নানা প্রশ্ন। যদিও দিনের শেষে এইসব শর্তের কারিগররা হতাশ হয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে বিদায় নেবেন। তবে অনেকদূর তারা গেছেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবার থামলেই ভালো; না হলে যে কোনো মুহূর্তে চলমান গল্পের ইতি হয়ে যেতে পারে। নির্বাচন ছাড়া বিকল্প কী। প্রফেসর ইউনূস নির্বাচন নিয়ে বিকল্প চিন্তা করতে রাজি নন। উপদেষ্টাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ঘোষিত সময়ে নির্বাচন না হলে তার পক্ষে আর থাকা সম্ভব নয়। যেসব উপদেষ্টা নির্বাচনবিরোধী শিবিরে ছিলেন তারা এখন নির্বাচনের পক্ষে কোরাস গাইছেন। তারা বলছেন, তাদের কথাই শেষ কথা। অথচ তাদের ভূমিকার কারণেই প্রফেসর ইউনূসের জনপ্রিয়তায় প্রশ্নবোধক চিহ্ন যোগ হয়েছে। বেড়েছে অস্থিরতা। উপদেষ্টাদের দুর্নীতি মুখে মুখে। নানা ক্যাম্পে তারা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সরকার দুর্বল হচ্ছে ক্রমশও। ইউনূসের অনেক নির্দেশ-আদেশ কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকছে। এমনকি দুজন কাছের লোককে পদত্যাগ করার পরামর্শও উপেক্ষিত। এ কারণেই হতাশা পেয়ে বসেছে প্রফেসর ইউনূসকে। বলাবলি হচ্ছে, এটা তার ভুলের খেসারত। সহকর্মীদের বলছেন, তিনি আর হারাতে চান না। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই তার ইমেজ ঝাপসা হচ্ছে। একের পর এক জানালা বন্ধ হচ্ছে। তাই তিনি নির্বাচনের ব্যাপারে সিরিয়াস। ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের জন্য একটি মহল ভীষণ তৎপর। তারা নানাভাবে সংকট তৈরি করছে। তারা বলছে, আইনশৃঙ্খলার যে অবস্থা তাতে নাকি নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা আসলে ভিন্ন এক কৌশল। অতিসম্প্রতি এই কোরাসে যুক্ত হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি একের পর এক ওয়েব দুনিয়ায় বার্তা পাঠাচ্ছেন। বলছেন, প্রফেসর ইউনূসের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। গঠন করতে হবে দল-নিরেপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এটাই বোধ করি শেখ হাসিনার নিয়তি। একদিন তিনি কলমের খোঁচায় সব ওলটপালট করে দিয়েছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বুড়িগঙ্গায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তার মূল্য দিতে হচ্ছে দেশকে। ক্ষমতা হারিয়ে এখন তিনি অনেকটা আবোল তাবোল বকছেন। ঢাকায় নিয়মিত ফোন করছেন আত্মগোপনরত নেতাদেরকে। বলছেন, প্রফেসর ইউনূসকে আর বেশিদূর যেতে দেয়া হবে না। পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে যদি অনৈক্য বাড়তে থাকে তাহলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র চলছে। কেউ কেউ মিশরের ছবি বুকে নিয়ে পেরেশান হচ্ছেন। আমরা সবাই জানি- বিপ্লব বা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে গুজব। এই মুহূর্তে গুজব হচ্ছে আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। গুজব ছড়িয়ে বিপ্লবের শক্তিগুলোকে দুর্বল করা হচ্ছে। চেতনার গায়ে কলঙ্ক লাগানো হচ্ছে। এভাবেই মিশরের পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছিল। পরিণতিতে কী হয়েছিল তা আমরা সবাই জানি। শেষ কথা হচ্ছে, নির্বাচন না হলে দেশটি উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করবে। আরও বাড়বে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। দেশটির সামনে চলার গতি থেমে যাবে। ষড়যন্ত্রের নায়কেরা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে। অনিশ্চয়তার উপর ভর করে অন্য শক্তির উত্থান ঘটতে পারে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা