আজ বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ২ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | দুপুর ১:২৭

জামায়াতের সাথে শিল্পপতিদের বৈঠক

ডান্ডিবার্তা | ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দেশের ব্যবসায়ীদের তিন শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বাংলাদেশ অ্যামপ্লয়ার্স ফেডারেশনের শীর্ষনেতারা রোববার রাতে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জামায়াতের আমিরের বাসায় এ বৈঠক হয় গত রোববার রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। গতকাল বৈঠকের বিষয়টি জামায়াতে ইসলামীর ফেসবুক পেজে বিবৃতি দিয়ে জানানো হলে বিভিন্ন মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। অনেকেই প্রশ্ন করছেন হঠাৎ কেন জামায়াতের আমিরের সঙ্গে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বৈঠক। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈঠকটি ছিল অনেকটা সৌজন্যমূলক। কিন্তু শ্রম আইন সংশোধন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, এনবিআর সংস্কার ও মার্কিন শুল্ক- এ চারটি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। অবশ্য বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে গতকাল যেভাবে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে তাতে অনেকটাই বিব্রত বৈঠকে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ী নেতারা। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করতে গত রোববার সন্ধ্যার পর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার বাসায় যায় ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দলটি। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী, তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, নিট পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ অ্যামপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে শামীম এহসান প্রমুখ। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর শিল্প-বাণিজ্য শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ারুল আজিম ও চিকিৎসক খালিদুজ্জামান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বিষয়টি জামায়াতে ইসলামীর ফেসবুক পেজেও জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্যের সম্ভাবনা, নতুন বিনিয়োগ ও তার পরিবেশ, সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে শ্রম আইন ২০২৫ নিয়ে আলোচনা হয়। শিল্পমালিকরা দেশের শিল্পকারখানায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে জামায়াতের আমির দেশের শিল্প রক্ষা ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। এ বিষয়ে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সময়ের আলোকে বলেন, জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আমাদের বৈঠকটি ছিল অনেকটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। ব্যবসায়ীদের তিন শীর্ষ সংগঠন- বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বাংলাদেশ অ্যামপ্লয়ার্স ফেডারেশন নেতাদের সঙ্গে জামায়াতের আমির বৈঠকের জন্য দাওয়াত দিয়েছিলেন। এর বাইরে আমাদের সঙ্গে ছিলেন স্কয়ার গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার ও বিটিএমএর সাবেক সভাপতি তপন চৌধুরী। তবে তপন চৌধুরীকে কেন ডেকেছে, কী হিসেবে ডেকেছে, সেটি আমি জানি না। তবে তিনি যেহেতু বড় ওষুধ কোম্পানির মালিক, সে কারণে হয়তো দাওয়াত দিয়ে থাকতে পারেন। বৈঠকে আমরা মূলত এলসিডিসি গ্র্যাজুয়েশন, শ্রম আইন সংশোধন ও এনবিআর সংস্কার- এ তিন বিষয়ে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এসব বিষয় নিয়ে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আলোচনার কারণ সম্পর্কে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, জামায়াত যেহেতু দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল, সেহেতু রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তিন ইস্যু নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি আমরা। ওইসব ইস্যুতে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই ভূমিকা রাখা দরকার আছে। ব্যবসায়ীদের কোনো রাজনৈতিক দল নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সব দলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রাখতে হয়। সবাইকে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। বৈঠকের আহ্বান কি জামায়াতের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল নাকি আপনারা ব্যবসায়ীরাই নিজ উদ্যোগ গিয়েছিলেন- এ প্রশ্নে বিকেএমইএ সভপাতি বলেন, ‘আমার যতটা মনে পড়ছে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, শ্রম আইন সংশোধন এবং এনবিআর সংস্কারের বিষয়ে ধারণা নেওয়ার জন্য জামায়াতের আমিরের তরফ থেকে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল আমাদের কাছে। কাগজপত্র চাওয়ার পর আমরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, জামায়াতের আমিরের তরফ থেকে যেহেতু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে, আমরা কাগজপত্র না দিয়ে তার সঙ্গে সরাসরিই দেখা করে কথা বলি। আমরা দেখা করার মনোভাব জানালে তিনি আমাদের যাওয়ার জন্য দাওয়াত দেন। এভাবেই মূলত বৈঠকটির আয়োজন হয়।’ বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়গুলো সম্পর্কে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘শ্রম আইনের কোথায় কোন এমেন্ডমেন্ট হচ্ছে; ট্রেড উইনিয়ন ও শ্রমিকের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ইস্যু, শ্রমিকের সংজ্ঞার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ আরও তিনটি বিষয়ে আইএলও কনভেনশন রেটিফাই করতে যাচ্ছে- সেগুলো কী, কেন করা হচ্ছে বা রেটিফাই হলে কী হবে, না হলে কী হবে- এসব বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো এসব বিষয়ে রেটিফাই করেনি বা করছে না, তা হলে বাংলাদেশ কেন করবে।’ ব্যবসায়ীদের তরফের কথার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতের আমিরের বক্তব্যের বিষয়ে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, ‘তিনি আমাদের কথাগুলো শুনেছেন এবং আমাদের কথাগুলোকে যৌক্তি বলে মন্তব্য করেছেন। আলোচনার বিষয়গুলো নিয়ে যদি কোনো পর্যায়ে ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে তা হলে তিনি সে চেষ্টা করবেন বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে আপনাদের বিষয়গুলো আমরা দেখব- এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি তিনি। অবশ্য আমাদের আলোচনার মূল তিন বিষয়ে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন- এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’ বৈঠকের পর বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে- হঠাৎ কেন জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক- এ বিষয়ে মোহাম্মদ হাতেম সময়ের আলোকে বলেন, ‘অনেকেই বলছেন, ব্যবসায়ীরা হয়তো মনে করছেন, আগামীতে জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারে, এ জন্য ব্যবসায়ীরা জামায়াতের আমিরের সঙ্গে বৈঠক করে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছেন। আসলে আমাদের মাঝে এমন কোনো চিন্তা বিন্দুমাত্রও ছিল না। জামায়াতের আমির বিষয়গুলো নিয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেই আমরা দেখা করতে গিয়েছি, এর বাইরে অন্য কিছু নেই। আমাদের কথা হলো, ক্ষমতায় যেই আসুক, আমরা সবসময় সরকারের সঙ্গে থাকি, সরকারের সঙ্গেই থাকব।’ মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বিএনপি যদি আমাদের ডাকে তখন আমরা বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করতে যাব। ইতিমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। এর বাইরে যদি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা বিএনপি চেয়ারপারসন ম্যাডাম খালেদা জিয়া আমাদের ডাকেন, তা হলে আমরা তাদের সঙ্গেও বৈঠক করতে যাব বা অন্য কোনো দলও যদি বসতে চায় আমরা তাদের সঙ্গেও বসব। আসলে এ ইস্যুগুলো আমরা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে তুলে ধরতে চাই।’ স্কয়ার গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার তপন চৌধুরীর উপস্থিতির বিষয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘তিনিও আমাদের মতো ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচ্য বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে তিনি আমাদের এ তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে যাননি, হয়তো দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে গেছেন। বৈঠকটি রোববার রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী ছিল।’ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এ বৈঠক হয়েছে। এর আগেও আমরা বিএনপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। অবশ্য জামায়াতের আমির এর আগে একবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন যেতে পারিনি, এখন গেছি। তিনি জানান, বৈঠকে এলডিসি উত্তরণ, মার্কিন পাল্টা শুল্ক, শ্রম ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া আরেক ব্যবসায়ী নেতা ও বাংলাদেশ অ্যামপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি ফজলে এহসান শামীম সময়ের আলোকে বলেন, ‘জামায়াতের আমিরের সঙ্গে বৈঠকটি ছিল খুবই সাধারণ একটি বৈঠক। আমরা গিয়েছি, দেখা করেছি, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি, চলে এসেছি। এটা নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে ভাবিনি, কিন্তু বৈঠক করে আসার পর থেকে একেকজন ফোন দিয়ে একেক কথা বলছেন, আমি চরম বিরক্ত হয়ে গেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা যখন কোনো সংকটে পড়ি তখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সে সরকারপ্রধানের কাছে গিয়েছি সমাধান পেয়েছি। বর্তমান অন্তর্বতী সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা করা এবং আমাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় বসতে আমরা ইতিমধ্যে দুইবার চিঠি দিয়েছি, কিন্তু আমাদের সময় দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য আমরা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। কখনো বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বসছি, কখনো জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বসছি, কখনো এনসিপির নেতাদের সঙ্গে বসছি- এমনকি গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকীর সঙ্গেও আমরা বৈঠক করেছি। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টার সঙ্গেও বৈঠক করেছি; কিন্তু কোনো সমাধান পাচ্ছি না আমরা। তাই ভাবলাম রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে আমাদের কথাগুলো তাদের জানাই- এ জন্যই বৈঠকে বসা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো এর আগেও অনেক দলের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছি, কিন্তু কোনো আলোচনা-সমালোচনা হয়নি, অথচ জামায়াতের শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আসলে বৈঠক করে আসার পর জামায়াত আমাদের ‘‘বেইচ্চা দিছে’’। তারা অনেক চালাক, আমাদের ভালোমতো বেচছে। আমরা তো বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করেছি; কিন্তু তারা আমাদের বিক্রি করেনি, জামায়াত বিক্রি করেছে। জামায়াত নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর তারা যে এটাকে প্রচার করবে, এটা আমরা বুঝতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল মূলত তিনটি। এর একটি হচ্ছে, মার্কিন শুল্ক ইস্যু, এনবিআর সংস্কার এবং শ্রম সংস্কার।’ বৈঠকে তপন চৌধুরীর উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে গিয়েছিলেন আমি জানি না। হয়তো ব্যবসায়ী হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে আমি যেটা দেখলাম, তপন চৌধুরীর সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সম্পর্ক খুবই ভালো।’ তবে বৈঠকের পর এ বিষয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে ফজলে এহসান বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই আমি ফোনের পর ফোন পাচ্ছি, বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা রীতিমতো বিব্রত।’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা