না’গঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৩শ’ ছাড়ালো

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বর্ষা বিদায় নিয়েছে বটে, কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে ডেঙ্গুর দাপট যেন কিছুতেই থামছে না। বরং আশঙ্কার সব সীমা অতিক্রম করে মশা বাহিত এই রোগের প্রকোপ জেলাজুড়ে জনমনে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় রেকর্ডসংখ্যক ১০ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই নতুন ভর্তির ফলে চলতি বছরে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বেগজনক ১ হাজার ৩১৯ জনে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় কর্তৃক গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত দৈনিক প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির চিত্র উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সাধারণ মানুষ উভয়েই বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নতুন শনাক্ত হওয়া এই রোগীরা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অক্টোবর মাসেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই মাসেই মোট ৩৯৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও বেশি গুরুতর করে তুলেছে। তবে এই উদ্বেগের মধ্যেও একটি স্বস্তির বিষয় হলো, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এর ফলে চলতি বছরে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৭৯ জনে। যদিও এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক, তবুও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মশা নিধন ও জনসচেতনতা বাড়াতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জনগণের প্রতি জরুরি কিছু পরামর্শ মেনে চলার আহŸান জানানো হয়েছে, অবশ্যই মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নিয়মিত মশারি ব্যবহার করতে হবে। ২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং কোথাও যেন পানি না জমে সেদিকে কঠোর নজর দিতে হবে। ৩. লার্ভা ধ্বংস: জমে থাকা পানি দ্রæত অপসারণ করতে হবে এবং মশার লার্ভা ধ্বংস করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিই পারে ডেঙ্গুর এই দাপট থেকে মুক্তি দিতে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহŸান জানানো হয়েছে।