নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বাধা দেয়ায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সোনারগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান।

এদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের ২ নং রেলগেট, মন্ডলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‍্যালির প্রস্তুতি নেয়ার সময় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, সোনারগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানসহ নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস দিয়ে ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় তারা আহত হলে নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপি ছাত্রদল যুবদলের শতাধিক গুলিবিদ্ধ ও মারাত্মক আহত হন।

এসময় দৌড় না দিয়ে পুলিশকে ও নেতাকর্মীদের শান্ত করতে সেখানে অবস্থান করার সময় মান্নানকে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এসময় মান্নানের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশকে সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে সরিয়ে নেন।

এসময় নগরীর ডিআইটি, মন্ডলপাড়া, দেওভোগ, নিতাইগঞ্জ, ২ নং রেলগেট এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

মান্নানের ছেলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব জানান, মান্নান সাবেক কিছুদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। তাকে হাসপাতালে আসা যাওয়া করতে হচ্ছিল। ঢাকায় বিএনপির সমাবেশেও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আজ সমাবেশে পুলিশের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি কিছুটা সুস্থ হলে নিহত ও আহত নেতাকর্মীদের দেখতে যাবেন ও তাদের পরিবারকে সান্তনা দেবেন। তিনি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।