গাছের প্রতি অমানবিকতা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ইট আর কংক্রিটের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। শিকড়ে নেই মাটির দেখা, পানি শেষ কবে পেয়েছে, কেবা জানে। গাছের প্রতি নিধারুণ অবহেলার এই দৃশ্য নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের। তারপরেও সড়কের ফুটপাতে লাগানো গাছ গুলো ফুল, ফল, অক্সিজেন আর ছায়া দিয়ে পরিচয় দিচ্ছে তার উদারতার। সাথে প্রমাণ দিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পাষাণ হৃদয়ের। সাথে প্রমাণ দিচ্ছে অবহেলার শেষ মাত্রার। নারায়ণগঞ্জ সামাজিক বন-বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তথ্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, একটি আদর্শ শহরে মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বন ভূমি থাকা প্রয়োজন কিন্তু নারায়ণগঞ্জে গাছের পরিমান ১০ থেকে ১১ শতাংশ হতে পারে। এই অল্প সংখ্যক গাছের মধ্যে যে ক’টি গাছ টিকে আছে, সেগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সড়কের অন্তত শতাধিক গাছের চলছে বাঁচা মরার লড়াই। কিছু গাছ এরই মধ্যে মারা গেছে। আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশাল বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে কখনোই আমরা গাছ গুলোকে পরিচর্চা করতে দেখিনি। নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ কর্মী সুজিত সরকার বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জলাশয় ভরাটের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এড. খোকন সাহা মামলার আসামী হয়েছেন। এখানে চাষাঢ়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত গাছ গুলোকে পরিচর্চা না করে হত্যা করা হচ্ছে। আমি পরিবেশ কর্মী হিসেবে কথা গুলো বলে মামলা খেতে চাই না। এ বছর বৃক্ষরোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। এর আগের বছর গুলোতে দেওয়া হয়েছে বরাদ্দ। তারপরেও কেন গাছের প্রতি এমন অবহেলা? প্রশ্ন করতেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আগামী সাপ্তাহের মধ্যে বৃক্ষ গুলো পরিচর্চা করা হবে।