২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউড বাদশাহ অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘পাঠান।’
চার বছরেরও বেশি সময় পর বড় পর্দায় ফিরছেন শাহরুখ খান। আগামী ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউড বাদশাহ অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘পাঠান।’ সিনেমায় ব্যবহৃত ‘বেশরম রঙ’ গান এবং দীপিকা পাডুকোনের গেরুয়া বিকিনি মুক্তির আগেই সৃষ্টি করেছে বির্তকের।এর ধারাবাহিকতায় পাঠান বিতর্কে ঢুকে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি দলীয় কর্মীদের ‘অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক’ তৈরি করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী মোদির এই নির্দেশে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে বলিপাড়ায়। গত কয়েক বছর ধরে বলিউড ও ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসছে। এর মধ্যে সিনেমা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাতে খুব একটা খুশি নন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ।তার কথায়, বলিউডের একের পর এক সিনেমা বয়কটের ডাক দিলেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি অনেক দেরি করে ফেলেছেন। ইতোমধ্যেই অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ পরিচালক অনুরাগ বলেন, ‘চার বছর আগে এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। এখন পরিস্থিতি আর হাতের মধ্যে নেই। যে জনতা শুধু ঘৃণা করতেই ব্যস্ত, কুসংস্কার যাদের শক্তি, নীরবতা তাদের অন্যতম অস্ত্র। এখন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে কোনো লাভ নেই।’নিজের পরের ছবি ‘অলমোস্ট পেয়ার উইথ ডিজে মোহাব্বত’-এর ট্রেলার প্রকাশ করতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অনুরাগ। সেখানেই পাঠান বিতর্ক ও মোদির নির্দেশ নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।মোদিকে উদ্দেশ্য করে অনুরাগ বলেন, ‘যদি তিনি এসব চার বছর আগে বলতেন, সেটা পার্থক্য তৈরি করত। এখন আমার মনে হয় না, এসব বলে কোনো লাভ হবে। ব্যাপারটি হলো তার নিজের লোকজনকে নিয়ন্ত্রণের, যা এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এখন মনে হয় না কেউ তার কথা শুনবে।’সূত্রের দাবি, সম্প্রতি পাঠান বিতর্কে গা ভাসাতে দেখা গেছে রাম কদম, নরোত্তম মিশ্রর মতো সর্বভারতীয় বিজেপি নেতাদের। এ কারণে নয়াদিল্লিতে গত ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি বিজেপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় মোদিকে বলতে শোনা গেছে, ‘কিছু মানুষ সিনেমা নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন। আর সেগুলো সারাদিন ধরে টিভি ও মিডিয়াতে দেখানো হচ্ছে।’ এরপরই তার নির্দেশ এ ধরনের ‘অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য’ থেকে বিরত থাকার।