আজ রবিবার | ১৭ আগস্ট ২০২৫ | ২ ভাদ্র ১৪৩২ | ২২ সফর ১৪৪৭ | ভোর ৫:৩১

চোরাই স্বর্ন ব্যবসায়ী অঞ্জনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

ডান্ডিবার্তা | ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বারবার সংসারের টানে স্বামী ও সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে হাজারো নির্যাতন সহ্য করেও এবার টিকতে না পেরে স্বামী ও শ্বশুড় শ্বাশুড়ীর লোভের শিকার হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে দুই সন্তানের জননী দুলু কর্মকার। দফায় দফায় নির্যাতনের শিকার দুলু কর্মকার প্রথমে স্থানীয় মুরুব্বীদের দারস্থ হলে তারা ব্যর্থ হন । সন্তান ও সংসারের স্বার্থে গৃহবধু দুলু কর্মকার বারবার পিতার কাছ থেকে যৌতুকে এনে দেয়ার পরও লোভের মাত্রা যেন আরো বৃদ্ধি পায় । এবার বাবার দেয়া বাড়ি ও আরো ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে মারধর করার অভিযোগে স্বামী অঞ্জন কর্মকার, শ্বশুর গোপী নাথ কর্মকার ও শ্বাশুড়ী সবিতা কর্মকারের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন গৃহবধু দুলু রানী। মামলা দায়েরের পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে স্বামী অঞ্জন কর্মকার। প্রতিনিয়তঃ বাড়ীর সমানে স্ত্রী দুলু কর্মকারকে হত্যা করতে ছোড়া হাতে ঘুরে বেড়ায় অঞ্জন। এমন ঘটনায় আতংকের সৃষ্টি হয়েছে দুলু কর্মকার ও দুই সন্তানের মাঝে।  যৌতুকের জন্য স্ত্রী দুলু কর্মকারকে মারধর ও নির্যাতনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল থানা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের পর স্বামী অঞ্জন কর্মকারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি এবং শ্বশুর গোপী নাথ কর্মকার ও শ্বাশুড়ী সবিতা কর্মকারের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হতে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) সমন জারি করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজার স্বর্ন পট্টি এলাকার চোরাই স্বর্ণ বেচারকেনার হোতা ও নানা কেলেংকারীর মধ্যমনি তীর্থ অলংকারের কর্ণধার অঞ্জন কর্মকার ১৯৯৯ সালের ২৭ এপ্রিল বিয়ে করেন বন্দর এলাকার গৌরাঙ্গ কর্মকারের মেয়ে দুলু কর্মকারকে। বিয়ের সময় জুয়েলারী ব্যবসার কথা বলে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এবং ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার দেয় দুলুর বাবা। এরপর তারে ২০০০ সালে তীর্থ কর্মকার ও ২০০৭ সালে স্নেহ কর্মকার নামের দুই পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকে শুরু হয় আরো যৌতুকের জন্য মারধর । দফায় দফায় চলে এমন নির্যাতন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বাবা গৌরাঙ্গ কর্মকার তার মেয়েকে বন্দরে একটি ৬ শতাংশ জমির উপর বাড়ি তৈরী করে দেয় । এবার এই বাড়ি ও আরো ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে মারধর করে যৌতুকলোভী স্বামী ও শ্বশুড় – শ্বাশুড়ী। গত বছর ১৩ নভেম্বর এমন নির্যাতনের পর আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত বন্দর থানা পুলিশকে তদন্তের আদেশ দেন ।তদন্ত শেষে বন্দর থানা পুলিশ আদালতে যৌতুললোভী স্বামী , শ্বশুড় ও শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। এমন প্রতিবেদনের পর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বৃহস্পতিবার ওয়ারেন্ট জারি করেন স্বামী অঞ্জন কর্মকারের বিরুদ্ধে। একই সাথে শ্বশুর গোপী নাথ কর্মকার ও শ্বাশুড়ী সবিতা কর্মকারের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হতে আদেশ দেন। ঘটনার বিষয়ে মামালার বাদী দুলু রানী কর্মকার আরো জানান, আমার এক ছেলে ইঞ্জিনিয়ার পড়াশোনা করতেছে । আরেক ছেলে স্কুলে পড়াশোনা করে । এই অবস্থায় আমার বাবার কাছ থেকে এখনো যৌতুকের দাবীতে আমার উপর সন্তানদের সামনে নির্যাতন চালায়। আমার স্বামী ছাড়াও আমার উপর নির্যাতন করে আমার শ্বাশুড়ী সবিতা রানী, শ্বশুড় গোপিনাথ কর্মকার, জেঠা শ্বশুড় বিশ্বনাথ কর্মকার। বিশ্বনাথ কর্মকার আমার জেঠা শ্বশুড় হলেও আমাকে তিনি নানাভাবে কুপ্রস্তাবও দেন। আর আমার শ্বশুড় আমার পিতৃতুল্য গোপিনাথ কর্মকার কে নারী কেলেংকারীর জন্য কতবার যে জনতার হাতে গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন তার কোন হিসাব নাই । যর খবর পুরো কালীর বাজারের সকলেই জানেন ।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা