সোনারগাঁয়ে রাসেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট  উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর মোতালেব মার্কেটে মুজিবর রহমনা নামের এক ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে কথিত সাংবাদিক মাদক মামালার আসামী রাসেল ও তার ৪ সহযোগী। কথিত সাংবাদিক মাদক মামালার আসামী রাসেলের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে রাসেল ও তার সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ী মুজিবরকে মারপিট শুরু করে। এসময় তার চিৎকার শুনে মার্কেট মালিকের ছেলে তাজুল ইসলাম বাঁধা দিলে লোহার রড় দিয়ে তাজুল ইসলাকে মাথায় আঘাত করে। পই দোকানের মালামাল ভাংচুর করে ক্যাশ থেকে ৭৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউপির হাবিবপুর এলাকায় মোতালেব মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগী মোঃ মুজিবর রহমান (৫৫) উপজেলার বৈদ্যার ইউনিয়নের মৃত কালু মিয়ার ছেলে। উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকায় মোতালেব মার্কেটে একটি ভাঙ্গারি ব্যবসা করেন। ভুক্তভোগী মুজিবুর বলেন,আমার দোকানে চোরাই মাল আছে বলে পুলিশের ভয় দেখিয়ে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন মাদক কারবারি রাসেল। টাকা না দিলে চুরির মামলা দিয়ে আমাকে চালান দিবে। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ৫/৭ জন সন্ত্রাসী দোকানে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর ও  মারপিট করে ক্যাশ থেকে ৭৫ হাজার  টাকা নিয়ে যায়। অভিযুক্তরা হলেন- একই উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস গ্রামের লোকমানে ছেলে রাসেল (৩৫) একই এলাকার  নাহিদ, সানি, স্নিগ্ধ ও হাবিবপুর গ্রামের আফসার ছেলে উজ্জ্বল। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত রাসেল একই মার্কেটের খেলনার দোকানের হান্নানের কাছ থেক পুলিশের ভয় দেখিয়ে গত এক মাস পূর্বে  ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এদিকে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এমন নৃশংসভাবে হামলার ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, রাসেলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদক চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক বাড়ি মজলিসের একাধিক ব্যক্তি জানান, পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে দেদারসে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে সে। এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার(ওসি তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগ হওয়ার পর তারা এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।