শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালের চাঁদাবাজি থেমে নেই
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক ঁেঘষে গড়ে উঠা নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় শিমরাইল ট্রাক টার্মিালের যুগ্ন সম্পাদক শিমরাইল টেকপাড়ার আফাজ উদ্দিনের পিকাপ ষ্ট্যান্ডে ওপেন চাঁদাবাজি চলছেই। প্রতি মাসে ৪ শতাধিক পিকাপ থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা কালেকশন করেন হাইওয়ে শিমরাইল, গাউছিয়া, কাঁচপুর থানা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের নামে। প্রতিটি পিকাপ থেকে ৫০০ টাকা করে এ চাঁদা আদায় করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ৪ শতাধিক পিকাপ থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা চাঁদায় আদায় করে ৪টি পয়েন্টে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা একাই লুটে পুটে খাচ্ছেন আফাজ উদ্দিন। এদিকে শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালের সভাপতি আফাজ উদ্দিনের আপন চাচাতো ভাই দেলোয়ার একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। কিন্তু আফাজ উদ্দিন বীরদর্পে এখনো শিমরাইলে বহাল তবিয়তে থেকে পিকাপ গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সেভেন মার্ডার মামলার পরপরই এই আফাজ উদ্দিন এলাকা ছেড়ে গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে ৬ মাস আত্মগোপনে ছিলেন। পরবর্তীতে অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পর চুপিসারে এলাকায় ফিরে আসেন। সেই থেকে আবারও চাঁদাবাজি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ।যে সকল গাড়ির মালিক কিংবা চালকরা আফাজ উদ্দিনকে চাঁদা প্রদান করছেন তাদের অভিযোগ নুর হোসেন চেয়ারম্যানের ভাই পরিচয়ে এবং দেলেয়ার এর ভাই পরিচয়ে শিমরাইল ট্রাক টার্মিনালে ও পিকাপ ষ্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির রামরাজত্ব কায়েম করেছে এই আফাজ উদ্দিন। পরিবহন থেকে আদায়বকৃত লাখ লাখ টাকা নিয়ে আফাজ উদ্দিন বিভিন্ন গানের নামে নারী নৃত্যের আসর বসায়। সেখানে মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে আফাজ উদ্দিন ওই সকল বেলাল্লাপনা নারীদের শরীরে টাকা ছিটিয়ে আনন্দ ফুর্তি করে। বছরের পর বছর ধরে চাঁদাবাজির লাখ লাখ টাকা দিয়ে চলে তার অপকর্ম। এলাকাবাসী ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। অবিলম্বে চাঁদাবাজ আফাজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পিকাপ ষ্ট্যান্ডকে চাঁদাবাজ মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে আফাজ উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্বব হয়নি।