নৌ পুলিশের সামনেই শ্রমিকদের রক্ত ঝরাচ্ছে সন্ত্রাসীরা
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সোনারগাঁয়ের চর কিশোরগঞ্জের প্রয়াত নাসির মেম্বারের পুত্র সন্ত্রাসী রাসেল, আফসার উদ্দিন ওরফে আফসু চেয়ারম্যান এবং মোহনপুরের কাজী মিজান বাহিনী বালুমহালের ইজারার নামে চাঁদার দাবিতে বাল্কহেড শ্রমিকদের নির্যাতন চালাচ্ছে। চাঁদা না দিলে নৌ পুলিশের সামনেই শ্রমিকদের রক্তাক্ত করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী রাসেল গং ভুয়া রিসিট দিয়ে এক থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিকদের মারধর করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবারও ১১ জন বাল্কহেড শ্রমিককে নির্যাতন করা হয়েছে। সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা থেকে গজারিয়া ষাটনল মোহনপুর পর্যন্ত কথিত বালু মহল ইজারাদার আফসার উদ্দিন আফসু, খুনী কাজী মিজান ও রাসেল গংদের সন্ত্রাসী বাহিনীদের দ্বারা বাল্কহেড শ্রমিকদের উপরে নৌ পুলিশের সামনেই চাঁদার দাবিতে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। যদি অবিলম্বে নদীপথে চাঁদাবাজি নির্যাতন ও ডাকাতি বন্ধ না হয় তাহলে শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের শান্তিরচর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে নদীপথে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। নির্যাতিত আহত বাল্কহেড শ্রমিকবৃন্দের ব্যানারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার জানান, শ্রমিকদের উপরে চাঁদার দাবিতে নির্যাতনের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে আমরা নৌ পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবগত করবো। আশা করছি নৌ পুলিশ সুপার মহোদয় যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নিবেন। এ বিষয়ে জানতে নৌ পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।