আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৪৯

শিমরাইল মোড়ে চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণে ফুটপাত

ডান্ডিবার্তা | ০৫ অক্টোবর, ২০২৩ | ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের দক্ষিণ পাশের মার্কেটের সামনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ফুটপাতে চাঁদাবাজী নিয়ন্ত্রণ করছে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সহযোগী মাসুদ। কাউন্সিলর আনোয়ারের শেল্টারে একটি চাঁদাবাজ বাহিনী দিয়ে প্রতিদিন ফুটপাত থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে। কেউ চাঁদা না দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করতে পারেনা বলে হকারদের অভিযোগ। প্রতি মাসে এ ফুটপাত থেকে মাসুদ বাহিনী লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান ধরে চলছে। তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে হকাররা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই একেএম শরফুদ্দিনের তৎপরতায় উচ্ছেদের পর দীর্ঘ প্রায় তিন মাস চাঁদাবাজি বন্ধ ছিলো। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করেই গত কয়েক মাস ধরে ফের ফুটপাতে চাঁদাবাজি শুরু করেছে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা। যার ফলে প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশকে ম্যানেজ করেই মাঠে নেমেছেন এই চাঁদাবাজরা। মহাসড়কের ডাচ্ বাংলা ব্যাংক মোড়ের পূর্ব পাশ থেকে শুরু করে হাজী আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেট, হাজী নেকবর আলী সুপার মার্কেট, কাস্সাফ শপিং কমপ্লেক্স, হাজী বদর উদ্দিন সুপার মার্কেট ও চাঁন সুপার মার্কেটের সামনে এবং কোমল স্ট্যান্ড সংলগ্ন ওভারব্রীজের নিচে ফল পট্টিসহ অন্তত দুই থেকে আড়াইশ দোন থেকে প্রতিদিন ২/৩ শত টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করছে মাসুসের সহযোগী নাঈম, সাদ্দাম ও শীতল সহ আরো কয়েকজন সহযোগী। এ চাঁদাবাজদের হাতে প্রতিনিয়তই লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে ফুটপাতের হকাররা। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক হকার বলেন, ফুটপাতে দোকান বসানোর আগে আমাদের নিয়ে মিটিং এ বসে ছিলো (চাঁদাবাজ চক্র) তারা। মিটিং এ তারা (চাঁদাবাজ চক্র) অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দাবি করলেও আমাদের দোকানদারদের পক্ষ থেকে কেউ রাজি হননি। পরে দোকান অনুযায়ী কারও কাছ থেকে ২০ হাজার আবার কারও কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, মাসুদ ভাইকে (কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত সহকারী) চিনেন? তিনি সবাইকে তার অফিসে টাকা দিয়ে আসতে বলেছেন। প্রতিদিন মাসুদ ভাইয়ের (চাঁদাবাজ মাসুদ) নির্দেশে ফুটপাতের প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা হিসেবে ২০০-৩০০ টাকা আদায় করেন চাঁদাবাজ নাঈম, সাদ্দাম ও শীতল। কেউ টাকা কম দিতে চাইলেই তার উপর নির্যাতন করেন চাঁদাবাজরা। অপর এক ফল ব্যবসায়ী জানান, ভাই আমরা গরীব মানুষ, এখানে দোকানদারী করে সংসার চালাই। এখানে দোকানদারী করতে হলে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। আবার টিআই স্যার এসে দোকান উঠিয়ে দেয় আবার মাল-সামানা নিয়ে যায়। আমরা কোথায় যাবো, কার কাছে বিচার চাব। কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত সহযোগী মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে অকপটে বিষয়টি স্বীকার করেন। মার্কেটের সামনের ফুটপাতের দোকানগুলি আমার নিয়ন্ত্রণে চলে। নিউজ করে যা মন চায় তাই করেন। এ ব্যাপারে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম জানান, আমার কোন লোক চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত আছে বলে আমার জানা নেই। যদি কেউ আমার নাম বিক্রি করে চাঁদাবাজী করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই একেএম শরফুদ্দিন বলেন, আমাকে ম্যানেজ করার বিষয়টি তো প্রশ্নই আসে না। আমি প্রতিদিনই লোক পাঠিয়ে রাস্তা থেকে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে দেই। আমার লোকজন দেখলে তারা সরে যায়, পরবর্তীতে চলে আসলে ফের তারা (ফুটপাত দখল করে) বসে পরে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা