আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৫৩

মামলায় সক্রিয় বিএনপি নেতারা

ডান্ডিবার্তা | ০৬ অক্টোবর, ২০২৩ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা থানায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতার মামলায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিএনপির দাবি এমন কোন ঘটনা না ঘটলেও গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও সহিংস রাজনীতির পথ বেছে নিচ্ছে বিএনপি। সদ্য দায়ের করা মামলায় মোট ৩৯ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে নামীয় আসামী করা হয়। আসামীদের তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায়, তাদের অধিকাংশই বিএনপির মাঠ পর্যায়ের রাজনীতিতে সক্রিয় অথবা সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত। ধরে ধরে সক্রিয় ও গিয়াস অনুসারীদের নামের তালিকা বেশি থাকায় গিয়াস অনুসারীরা বলছেন, স্থানীয় এমপির রোষানলের কারণেই মামলায় আসামী হতে হয়েছে তাদের। আসামীদের তালিকায় রয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বারী ভূঁইয়া, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক আনোয়ার মিয়া, শাহাদাৎ হোসেন, নাজমুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজেদুল, কুতুবপুর বিএনপি নেতা জাকির, মিঠু সরদার, মজিবর শিকদার, ফতুল্লা থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক পিয়াস খন্দকার, সিরাজ, শামীম। জেলা ছাত্রদল নেতা আতা ই রাব্বি, তার ছোট ভাই জিদনী, রাফি, তানহা, মাহফুজ, ইউনুস, রাজু, অভি, বিএনপি সন্ত্রাসী তুষার আহমেদ মিঠু, নজরুল ইসলাম, ফতুল্লা বিএনপি নেতা রোজেল, মকবুল হোসেন বাবলু, হাসান, লিটন সরকার, তারা মিয়া, জেলা ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান দোলন, হাসান মাহমুদ পলাশ, সেলিম চৌধুরী, মাসুম, এনি, গিয়াস উদ্দিন লাভলু, মোসলেম উদ্দিন মোসা, রুহুল আমিন মুন্সি, শামীম, আলমগীর হোসেন, হাজী শহীদুল্লাহ, কাউন্সিলর ইকবাল। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, মামলার আসামীদের অধিকাংশই নিষ্ক্রিয়। তবে নিষ্ক্রিয় হলেও স্থানীয়ভাবে তারা গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এছাড়া হয়েছেন মশিউর রহমান রনি ও তার অনুসারী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তাদেরও এখানে আসামী করা হয়েছে। এই দুই বলয়ের বাইরে সক্রিয় বেশ কিছু বিএনপি নেতাকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে। মামলার আসামী মেহেদী হাসান দোলন বলেন, ‘এই মামলা যে গায়েবি তা সহজেই সবাই বুঝতে পারে। আমরা অবাক হয়েছি ছাত্রদল নেতা আতা ই রাব্বীর ভাই একজন ডাক্তার। তার ভাই রাজনীতির সাথেও যুক্ত নেই। তার ভাইকেও এই মামলায় আসামী করা হয়েছে। অথচ সে রাজনীতির বাইরে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত। এই বিষয়গুলোই প্রমাণ করে তারা মরিয়া হয়ে সক্রিয় নেতাদের যেকোন মূল্যে দমাতে চায়।’ গিয়াসের অনুসারী আরেক বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিএনপি নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ করে তাদের সক্রিয়তা দেখিয়ে দিয়েছে। এটা মেনে নিতে না পেরে এখন মামলা করে দমিয়ে রাখতে চায়। খুবই হাস্যকর যে গত ১৫ বছর যেই দলকে হাজার হাজার মামলা দিয়ে দমাতে পারলো না, তারা সেই পুরোনো পথই বেছে নিয়েছে। তবে এসব মামলা করে গিয়াসসহ জেলা বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বেছে বেছে গিয়াস অনুসারীদের মামলা দিয়ে বিএনপির সক্রিয়তা কাটানোর সুযোগ নেই।’ এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এক প্রতিক্রিয়াতে বলেন, ‘এই ধরনের মামলা নির্বাচনের আগে আরও বাড়বে। কোন কর্মসূচি ছাড়াই পুলিশ গায়েবি ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিবে। ফতুল্লা থেকে শুরু হয়েছে, দেখা যাবে ধীরে ধীরে সব থানাতেই গায়েবি মামলা হচ্ছে। এগুলো পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে দমানোর কৌশল ছাড়া কিছুই না।’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা