আজ বুধবার | ১৩ আগস্ট ২০২৫ | ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৮ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:৩৬

চাঁদা না পেয়ে কাজ বন্ধ করার হুমকি

ডান্ডিবার্তা | ০৭ অক্টোবর, ২০২৩ | ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সম্প্রতি একের পর এক নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের কার্যালয় ভাঙচুর এবং বাড়ি ঘরে একাধিকবার হামলার ঘটনায় আলোচনায় আসেন কথিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক ও তার ছেলে (টেনশন গ্রুপ’র) প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত। হামলার পর বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিলেন বাবা ছেলে। বেশ কিছুদিন পর ফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবী করে না পেয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক ভাংচুর ও সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার হুমকি দিলেন বিতর্কিত এই সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক। এই হামলা ও হুমকির ঘটনায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ওরফে রাখাল নুর ইসলাম। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া হাজেরা মার্কেট এলাকায় সোনালী ক্যামিকেল নামক একটি প্রতিষ্ঠানে এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী ছেলে পেলে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতি মাসে টাকা নেওয়ার পায়তারা করছে শফিক। এর আগেও তিনি (শফিকুল ইসলাম শফিক) বেশ কয়েকবার চাঁদা চেয়েছেন। এখানে ব্যবসা করতে হলে প্রতিমাসে তাকে চাঁদা দিতে হবে। আমরা তার কথা মতো চাঁদা না দেওয়ায় আজ শুক্রবার বিকেলে এসে কারখানার গেট ভাঙচুর ও সকল শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে চলে যান। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান, এখনো জানানো হয়নি। আলোচনা করে পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ দিবো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক ও কৃষক লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বিকেলে ১০-১৫ জনের একটি বাহিনী নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রবশে করেন। শুনেছি তাদের কাছ থেকে নাকি প্রতি মাসে টাকা দাবি করেছে। তা না পেয়ে আজ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এইসব কারখানাগুলো কাউন্সিলর ইকবাল পরিচালনা করে। প্রত্যেকটি কয়েল কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগেও এইসব কারখানায় তিতাস থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে কাউন্সিলর ইকবাল আমার বিরুদ্ধে এইসব মিথ্যা কথা রটাচ্ছে। আমি আজ সারাদিন ছিলাম না। কয়েল কারখানায় হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলর ইকবালের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। বিক্ষোভ শেষে স্থানীয়রা জানান, কাউন্সিলর কার্যালয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। হামলার পর থেকে কাউন্সিলর কার্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। শফিকের নির্দেশে তার ছেলে সীমান্ত একের পর এক হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর, অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে থানায় মামলা না নিলে গত ১১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ইকবালের স্ত্রী রোজী ইকবাল (৪০) নিজে বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সফিক (৪৫), শফিকুল ইসলামের ছেলে রাইসুল ইসলাম সীমান্ত (২৮) একই পিতার ছেলে তাহসিন ইসলাম সিমন (২০),গিয়াস উদ্দিন টুলুর ছেলে মুঈন (২১), ফেরদৌস হাসান শাওন ওরফে টেনশন শাওন (২২), ল্যারা আক্তারের ছেলে মাঈন উদ্দিন (২৩),বাচ্চু মিয়ার ছেলে নাঈম ওরফে পাগলা নাঈম (২২), অন্তর তপদার ফাহাদ (২০), মজিবুর রহমানের ছেলে মিঠু (২৩) আবুল হোসেন আবুলের ছেলে সাইদুল (২৪) হারুনের ছেলে শামীম (২৩), জলিল ক্বারীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২৪), শুক্কুর আলীর ছেলে সায়েম (২২), মুন্না মিয়ার ছেলে রিয়াদ মাহমুদ রুদ্র (২৪), কুঠি মহাজনের ছেলে সৌরভ (২৩), নুরুল ইসলামের ছেলে সাগর (২৩),পারভেজ (২৩) ও কামরুল (২১)।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা