আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৩৫

বিএনপিকে প্রতিহত করতে মাঠে আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ০৮ অক্টোবর, ২০২৩ | ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতির সুথিকাগার নারায়ণগঞ্জে বিএনপি আওয়ামী লীগের রাজনীতি জমে উঠেছে। বিএনপি আন্দোলনে রয়েছে। তাদের বিপরীতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবশে অব্যহত রেখেছে। কথার লড়াইয়েও কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের সুথিকাগার বলা হয় নারায়ণগঞ্জকে। কেননা এই জেলায় আওয়ামী লীগের জন্ম হয় বলে তারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে অকপটে দাবী করেন। বিপরীতে বিএনপি এই জেলাকে টার্গেট করে তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে নেতা কর্মীদের চাঙ্গা রেখেছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দাবী বিএনপি নির্বাচনকে বাঞ্চাল করার জন্য ষড়যন্ত্রে মেতেছে। কিন্তু বিএনপির দাবী তারা মানুষের ভোটাধিকার আদায়ে রাজপথে রয়েছে। এদিকে গত কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ঢাকঢোল পিটিয়ে সাইনবোর্ড এলাকায় বিশাল সমাবেশ করে। ওই সমাবেশে বিএনপি নেতা ইশরাক বলেন, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ মিলে ঢাকার প্রবেশ মুখ অবরোধ করে সরকারের পতন ঘটাবেন। যদিও এর আগে ঢাকার প্রবেশ মুখ সাইনবোর্ড অবরোধ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপি। ওই সমাবেশে বিএনপি ক্ষমতাসীন দলকে কঠোর হুশিয়ারি প্রদান করেন। কিন্তু কোন আল্টিমেটামকে পাত্তা দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন দল। ইতোমধ্যে বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েও ব্যর্থ হন তিনি। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির পরে এবার আওয়ামী লীগ ১৩ অক্টোবর সমাবেশের ডাক দিয়েছে। চলতি মাসে সরকারের পতন ঘটাতে বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত আল্টিমেটাম রাজপথে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম। এই লক্ষ্যে আগামী ১৩ অক্টোবর সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ হবে। কিন্তু এই সমাবেশকে সফল করার জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। লক্ষাধিক লোকের সমাগত ঘটিয়ে বিএনপির যে কোন অরাজাকতাকে প্রতিহত করার জন্য তাদের শক্তির জানান দিবে। সমাবেশটি সোনারগাঁ আসনের এলাকা সোনারাগাঁ কাচপুর ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার প্রবেশপথে অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সুত্র মতে জানা যায়, আওয়ামী লীগের এই সমাবেশকে সফল করার জন্য থানা উপজেলা আওয়ামী লীগ ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে। তারাও এখানে বিএনপির যে কোন অরাজাকতাকে প্রতিহত করতে মাঠে প্রস্তুত রয়েছেন। বিশেষ করে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ এই সমাবেশে তাদের শক্তি দেখাবে। তাছাড়া সোনারগাঁ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের নেতৃত্বে বিশাল লোকের মিছিল নিয়ে নজর কাড়তে চান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের। জানা যায়, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ আগামী ৭ অক্টোবর থেকে সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের উৎসব যাত্রা শুরু করছে। ৭ অক্টোবর থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে। এরপর ধাপে ধাপে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন জনসভা এবং দলীয় সাংগঠনিক কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করে দলকে নির্বাচন মুখী করবেন। আর এরকম অবস্থায় নভেম্বরে বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়ে যাবে এই ভাবনা এখন মোটামুটি ভাবেই অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে অনেকের কাছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি থেকে বলা হয়েছিল যে সেপ্টেম্বরে তারা চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে তেমন কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। অক্টোবরে তারা বড় ধরনের আন্দোলনের কথা বলেছিল। কিন্তু অক্টোবরেও তারা বড় ধরনের কোন আন্দোলন তৈরি করতে পারছে না এখন পর্যন্ত। আন্দোলন নিয়ে বিএনপির মধ্যে দ্বিধা বিভক্তি রয়েছে। বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, এক দফা আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়া নাকি নির্বাচনে যাওয়া এ ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিএনপিকে। না হলে এই দুটি চাপেই বিএনপি বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন। বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, আমরা যদি সত্যি সরকারের পতন ঘটাতে চাই তাহলে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য এখনই সময়। আর এক মুহূর্ত দেরি করা যাবে না। এখন থেকে যদি আন্দোলন গড়ে তোলা যায় তাহলে একটা বড় ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে তখন বিএনপির সামনে নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না এবং সেই সময় যদি আমরা নির্বাচন বর্জন করি তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো খুব একটা গুরুত্ব দেবে না। কাজেই বিএনপির আন্দোলনের জন্য আর অপেক্ষা করাটা সমীচীন নয় বলেই বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন। কিন্তু অকারণে এবং রহস্যময় বাস্তবতায় বিএনপি আন্দোলনের বড় কোনো কর্মসূচি দিতে পারছে না। বরং বড় কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের অনীহা এবং টানাপোড়েন চলছে। সমাবেশ প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি জামায়াত জোট অপশক্তির অপতৎপরতা প্রতিহত করতে ধারাবাহিকভাবে ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ চলছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ১৩ অক্টোবর ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার প্রবেশপথ সোনারগাঁয়ের কাচঁপুরে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। ওই সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করবে দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল জানান, আগামী দিনের দুঃখী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের সমাবেশ হবে নারায়ণগঞ্জের কাচঁপুরের সমাবেশ। এই সমাবেশের মাধ্যমে শেখ হাসিনার উন্নয়নের শান্তির বার্তা দেয়া হবে মানুষের কাছে। তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও শান্তির পক্ষে আছে। দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়। আমরা নারায়ণগঞ্জের-৫টি আসনে নৌকা চাই। এছাড়া এই সমাবেশকে সফল করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ হবে। সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির ১নং সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম জানান, আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নকে মানুষের কাছে তুলে ধরছি। মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌছে দিচ্ছি। বিএনপির যে কোন নৈরাজ্যকে প্রতিহত করার জন্য সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ মাঠে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা সোনারগাঁ আসনে নৌকার প্রার্থী চাই। নৌকার প্রার্থী দেয়ার জন্য আমরা দাবী জানাবো এই সমাবেশের মাধ্যমে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা