আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৫২

ফতুল্লায় চেয়ার নিয়ে যুদ্ধ শুরু

ডান্ডিবার্তা | ০৯ অক্টোবর, ২০২৩ | ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন প্রয়াত হয়েছেন মাত্র দেড় সাপ্তাহ হলো। হঠাৎ করে চেয়ারম্যান চলে যাওয়ায় পুরো ফতুল্লায় নেমে আসে শোকের ছায়া। সেই শোক যেন এখনও কাটেনি। তার এভাবে চলে যাওয়াটা এখনও অনেকে মেনে নিতে পারছেনা। এখনও ফতুল্লার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে চলছে প্রয়াত চেয়ারম্যান স্বপনের স্মৃতিচারণ। সবার মুখে একই কথা ‘লোকটা খুব মানুষ ছিলো’। প্রয়াত স্বপন চেয়ারম্যানকে নিয়ে যখন ফতুল্লাবাসীর মনের এ অবস্থা, ঠিক তখনই চেয়ারম্যানের খুব কাছের লোক বলে পরিচিত কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাদের কর্মকান্ডে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। তারা নাম মাত্র শোক প্রকাশ করে নেমে পরেছেন চেয়ারের যুদ্ধে। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে রেখে যাওয়া স্বপন চেয়ারম্যানের ওই চেয়ারটিতে কার আগে কে বসবে, এ নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগীতা। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু পত্র-পত্রিকায় এবং অনলাইন পোর্টালে নিজেদের সাফাই গেয়ে সংবাদ পরিবেশনের মধ্যদিয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার কথা জানান দিয়েছেন তারা। শুধু তাই নয়, তারা ফতুল্লা ইউনিয়ন বাসীকে নানা প্রতিশ্রুতিও দিয়ে যাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী, যুবলীগ নেতা আজমত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু শরীফুল হক, জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফরিদ আহমেদ লিটন ও জেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরেশ চৌধুরীসহ আরও অনেকে। ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যেহেতু প্রয়াত হয়েছে, সেহেতু এখানে উপ নির্বাচন হবে, অনেকে প্রার্থীও হবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একজন চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর তার শোকের রেশ কাটতে না কাটতেই যদি প্রার্থীরা এমন আচরণ করে, তাহলে সেটা সত্যিই দু:খজনক। এ বিষয় নিয়ে কথা হয় ফতুল্লার বেশ কয়েকজন বাসিন্দাদের সাথে। তারা গণমাধ্যমকে এক ধরনের ক্ষোপ ও দু:খ প্রকাশ করে বলেন, স্বপন চেয়ারম্যান মারা গিয়েছেন ৪০ দিনও হয় নাই। এখনও তার পরিবারের মাঝে শোক বইছে। এ শোকের মাঝেই দেখছি কিছু ব্যক্তি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা ফেসবুক থেকে শুরু করে সকল প্রচার মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ প্রচারণা দেখে মনে হচ্ছে, তারা যেন স্বপন চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে খুশি হয়েছেন। কেননা, স্বপন চেয়ারম্যান মৃত্যুতে চেয়ারম্যানের চেয়ার শুন্য হওয়ায় ওই চেয়ারে বসার জন্য তাদের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যদি তা না হতো, তাহলে তারা এ ধরণের কর্মকান্ড কখনোই করতে পারতেন না। ফতুল্লাবাসী আরও বলেন, আসলে এ মহুর্ত্বে এ প্রচার প্রচারণা স্বপন চেয়াম্যানের পরিবারকে যেমন ব্যথা দিচ্ছে, তেমনি এই প্রচারণা আমাদের বুকেও দু:খ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করছে। একজন মানুষকে হারানোর শোকের চাইতে তাদের কাছে চেয়ারের মূল্যই যেন অনেক বেশি। আমরা এগুলোকে নিন্দা জানাই। এবং দোয়া করি, আল্লাহ্ তাদেরকে হেদায়েত দান করে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা