দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গোদনাইল ইউনিয়ন ভূমি অফিস

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানাথীন গোদনাইল ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ওই অফিসের সহকারি, উপ-সহকারি কর্মকর্তা ও উম্মেদার টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না। ভূমি সংক্রান্ত যেকোন সেবার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এই অফিসে গ্রাহকদের হয়রানি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার একটি ভিডিও চিত্রও ধারণ করা রয়েছে। সরেজমিনে জানা গেছে, গোদনাইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা প্রাপ্তির ৮০ শতাংশ লোকই চরম হয়রানির শিকার হতে হয় আজ না-কাল সময়ক্ষেপন করে। সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত হারে দাবিকৃত উৎকোচ না দিলে সেবা গ্রহীতারা পান না তাদের কাঙ্খিত সেবা। নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তোলা সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। চুক্তির টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ে না। টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কোন কাজ আদায় করা যায় না। ওই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও উম্মেদারেরা গ্রাহক থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে এমনটাও অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অগোচরে মাঠ পর্যায়ের গোদনাইল ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা ও উম্মেদারা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে জমির কাজে আসা ভূক্তভোগীদের দাবি। গোদনাইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসা গ্রাহক (মিজান, জাবদে ও কালাম) জানান, এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া নামজারি করার জন্য অনলাইন আবেদনের কোন মূল্যায়ন হয়না। উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে এসব ঘুষের ভাগ দেয়ার কথা বলে নামজারির জন্য ১০ শতাংশের অধিক পরিমান জমির জন্য শতাংশ প্রতি ৩ হাজার ও ১০ শতাংশের কম পরিমান জমির নামজারির জন্য ৫০ হাজার থেকে শুরু করে মোটা অংক আদায় করা হয়। ঘুষের চুক্তিতে রাজি হলে মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই নামজারি কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। অফিসে ঢুকেই শুরুতেই সম্মানির নামে ঘুষের আলোচনা নাকরলে কোন পাত্তাই পাওয়া যায়না এই ভূমি অফিসে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গোদনাইল ভুমি সহকারী কর্মচারী আনোয়ার হোসেন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।