না’গঞ্জে রাজপথ বিমুখ তারা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে কালে ভদ্রে বহু নেতাই নেতৃত্ব দিয়েছেন কেউবা সময়ের সাথে হারিয়েও গিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে এই মোক্ষম সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা গুরু দায়িত্ব থেকে হারিয়ে যেন আন্দোলনের মোক্ষম সময়ে রাজপথ ত্যাগ করেছেন। এসকল নেতাদের নিয়ে বিএনপির তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। কারণ বিএনপির সুসময়ে গুরু দায়িত্ব নিয়ে কমিটি বাণিজ্যসহ তৃণমূলের নেতাদের কাঁধের উপর ভর করে কর্মীশূন্য নেতা হয়ে দাবড়িয়ে বেড়ালেও সাম্প্রতিক সময়ে জেলা বা মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের গুরু দায়িত্বে নেতৃত্বে থাকা নেতারা বর্তমান চলমান আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচিগুলোতে রাজপথে রয়েছেন নিখোঁজ। দলীয় সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ছিলেন নাসির উদ্দিন। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক বহিষ্কৃত নেতা তৈমুর আলম বহিষ্কার হবার পর এই গুরু দায়িত্ব পান মনিরুল ইসলাম রবি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে পরবর্তীতে মনিরুল ইসলাম রবি গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করলে নাসির উদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয়। বেশকয়েক মাস ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দেবার সুযোগে নাসির উদ্দিন কয়েকটি থানা উপজেলা কমিটি অনুমোদন দিয়ে বিতর্কে জড়ান। কিন্তু বেশদিন জেলা বিএনপির নেতৃত্বে বহাল থাকতে পারেননি তিনি মনিরুল ইসলাম রবি কারামুক্ত হয়ে ফের জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। এরপর থেকেই নাসির উদ্দিন জেলা বিএনপির গুরু দায়িত্ব হাড়িয়ে রাজপথে নিশক্রিয় হয়ে প্রবাসে চলে যান। তবে সাম্প্রতিক সময় প্রবাস থেকে ফিরলেও তিনি বিএনপির চলমান আন্দোলন সংগ্রামকে ঘিরে রাজপথে সক্রিয় হতে পারেননি। অপরদিকে জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে একজন কর্মীশূণ্য নেতা হিসেবে বিভেচিত। কিন্তু জেলা বিএনপির গুরু দায়িত্ব পেয়ে অঙ্গ সংগঠনের নেতা থেকে শুরু করে জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের কাঁধের উপর ভর করে নিজেকে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে সেসময় জাহির করেছিলেন। এমনকি জেলা বিএনপির কয়েকটি উপজেলা কমিটি অনুমোদন দিয়ে বিতর্কেও জড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু জেলা বিএনপির কমিটি পূণরায় গঠিত হলে তাকে ২নং যুগ্ম আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব দেয়া হলে ধীরে ধীরে জেলা বিএনপির রাজনীতি থেকে হারিয়ে যান রবি। বর্তমান চলমান আন্দোলনের রাজপথেও রয়েছেন নিখোঁজ। ঘরে বসে গণমাধ্যমের বিভিন্ন টকশোতে অংশগ্রহণ করে সক্রিয়তার জানান দিলেও সেই সক্রিয়তা রাজপথে দেখাতে পারে না। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন হুট করে সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচন করে আলোচনায় এসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ ভাগিয়ে নেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দখল করেই ব্যাপক সক্রিয়তা ও দলীয় কর্মসূচিতে গরম গরম বক্তব্যও দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আচমকা মহানগর বিএনপির মূল দ্বারার রাজনীতি থেকে বের হয়ে মহানগর বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী নেতাদের সাথে যোগ দিয়ে বিদ্রোহী ভূমিকায় রাজনীতি করতে থাকেন। বেশ কয়েকদিন বিদ্রোহীদের সাথে সক্রিয়তা দেখিয়ে হুট করেই মহানগর বিএনপির রাজনীতি ত্যাগ করে প্রবাসে পারি জমান। মূলত তিনি প্রবাস জীবন নিয়েই ছিলেন হুট করে সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচন করে আলোচনায় এসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ ভাগিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হবার প্রচেষ্টা চালান কিন্তু বিএনপি ধীরে ধীরে কঠোর আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হতে থাকায় আন্দোলনের রাজপথ ছেড়ে হুট করেই মহানগর বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে প্রবাস জীবনে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়েন এম এইচ মামুন। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক পদ হারিয়ে এখন আন্দোলনের রাজপথে সম্পূর্ণ নিখোঁজ। তবে তাদের নিয়ে তৃণমূলে ব্যাপক সমালোচনা করছে। তৃণমূল নেতাদের মতে জেলা বা মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের গুরু দায়িত্ব হারিয়ে রাজপথ ত্যাগ করেছেন। যার কারণে দলের এই মোক্ষম সময়ে তারা আন্দোলনে নিখোঁজ।