আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৪৫

আ’লীগের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিএনপি

ডান্ডিবার্তা | ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ | ১:৩৯ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বাংলাদশের বড় বিরোধী দল বিএনপি। বর্তমানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে দফায় দফায় আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বর্তমানে তাদের মূল লক্ষ্য একটাই দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও মানুষের মূল্যবান সম্পদ ভোটের অধিকার সকলকে বুঝিয়ে দেওয়া এই লক্ষ্য নিয়ে বর্তমানে রাজপথে রয়েছে বিএনপি। এই সকল চাহিদা পূরণের মূল লক্ষ্য হিসেবে দলটি দাবি করছে যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। তাছাড়া অন্য কোন বিকল্প তাদের চোখ পরছে না। সেই ধারবাহিকতায় বর্তমানে চলমান আন্দোলনের গতি হিসেবে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তাদের এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনকে নাচক করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর মোড়ে ঢাকার প্রবেশপথে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সঙ্গে আর কোনো সমঝোতা হবে না। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকচ করে দিয়ে উনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরিয়া ভূত হয়ে গেছে। এগুলো মাথা থেকে নামান। নয়ত এই ভূতে বিএনপি শেষ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। এই তত্ত্বাবধায়ক আর কোনোদিন চোখ মেলবে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক বলতে বলতে শেষ। দুই সেলফিতে আপনাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতে এক সেলফি, এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ‘খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে। ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবে। এই নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, জনগণ তাদের জবাব দেবে। আগুন নিয়ে এলে হাত পুড়ে দেব। লাঠি নিয়ে এলে হাত ভেঙে দেব। ‘শেখ হাসিনা কোথায় গেছে, জি-২০ তে। কী সম্মান মোদি দিয়েছেন। নিউইয়র্কে গিয়েছেন, কী সম্মান পেয়েছেন। শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। দেশের প্রয়োজনেই তিনি বাইরে যান। তিনি ব্রাসেলসে যাচ্ছেন আমন্ত্রণে। তিনি যাচ্ছেন দেশের জনগণের জন্য। বিএনপিকে সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ওরা গণতন্ত্রের কী জানে। ওরা জানে মানুষ খুন, লুটপাট, ভোটচুরি। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছিল বিএনপি। এদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতা আর ফিরিয়ে দেবে না। আপনাদের বলছি বিএনপি থেকে সাবধান।’ তার এই ধরনের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদের এখন একটাই দাবি যে কোন মূল্যে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। এবার নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি দেশের জনগণের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে, মৌলিক অধিকারসহ সকল চাহিদা ফিরিয়ে দিতে আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের জনগণের সকল চাহিদা হরণ করা হয়েছে। যার কারণে বর্তমানে দেশের সকল পর্যায়ের জনগণ এই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। যার কারণে বর্তমানে বিএনপি দেশের জনগণের হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আর আওয়ামী লীগ দেশকে আরো ধ্বংসের দাড়প্রান্তে দাঁড় করানোর জন্য তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না। আর কেউ তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা বললে তাদের সহ্য হয় না। তারা চায় দেশে আরো অরাজনৈতিকতা চালাতে। আর তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্তি করতে বর্তমানে বিএনপি ১ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আমরা আমাদের দাবি আদায় করবো যে কোন মূল্যে দেশের মানুষ এখন ভোট দিতে চায় আমরা তাদের সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন করছি। এখানে কে কি বললো আমাদের দেখার সময় নাই, আমরা দেশের জনগণের এই ১দফা দাবির নিরপক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচন এটা আমরা বাস্তবায়ন করবো। আর জনগণের ভোট সরকার নির্বাচিত হবে ইনশাআল্লাহ আর এবার তারা বিগত দুই নির্বাচনের মতো প্রশাসনের দ্বারা এটা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে এটা আর এই বার সম্ভব হবে না। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব সব সময় যে বক্তব্য দেয় আজকে কাঁচপুরের সমাবেশে ও উনি একই বক্তব্য দিয়েছেন। এখন তার বক্তব্য শুনে মানুষ হাসে, কারণ বর্তমানে এক পরিসংখ্যানে এসেছে দেশের ৯১ শতাংশ জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কারণ এই আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হলে কেউ ভোট প্রয়োগ করতে পারে না। তারা দিনের ভোট রাতে দিয়েই নির্বাচন করে একা একা এটা এখন দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। পৃথিবীতে সকল স্বৈরাচারীরা দেশের জনগণের বিপক্ষে ছিল এই সরকার ও জনগণের বিপক্ষে কাজ করছে। যা দেশের জনগণ আর মেনে নিবে না। জনগণের ১ দফা দাবি এই ওবায়দুল কাদেরের মতো মানুষের কথায় বন্ধ হবে না। দেশের জনগণ যে কোন মূল্যে তাদের দাবি আদায় করে ছাড়বে। আর কিছুদিন পরে তত্ত্বাবধায় সরকারের দাবিতে যে আন্দোলনের ঢেউ উঠবে সেই ঢেউয়ে ওবায়দুল কাদেরের মতো নেতারা ভেসে যাবে ইনশাআল্লাহ। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, এই সরকারের এমপি, মন্ত্রী এখন দিশেহারা হয়ে পাগলের প্রলাপ বকছে, তারা বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নাকচ করা হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। আমি তাকে বলতে চাই এটা তো দেশের জনগণের দাবি, এটা তো বিএনপির দাবি নয়, দেশের জনগণ বর্তমানে ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আর সামনে আরো বৃহত্তম আন্দোলনের মাধ্যমে এই দাবি বাস্তবায়িত হবে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, এই সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না যার কারণেই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনকে ভয় পায় তারা চায় দেশের মানুষের বিপক্ষে থাকতে সেই লক্ষ্য নিয়েই তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায় না। কিন্তু আমরা আমাদের ১ দফা দাবি বাস্তবায়ন করবোই। এখন ওবায়দুল সাহেবের মতো মানুষের কথায় আমাদের আন্দোলন বন্ধ হবে না। এটা আমাদের চলমান আন্দোলন সকল বাধা পেরিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগ করিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করবো। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, এই ওবায়দুল কাদের সাহেব আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যার কারণে উনার কথাবার্তা তথ্যবহুল ও যুক্তিসংগ্রত হতে হবে। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এই আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯১-১৯৯৬ সালে জামায়াতের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন ও নির্বাচন চেয়েছিলো তারা আরো বলেছে তত্ত্বাবধায় সরকারের কোন বিপল্প নাই। আর তারাই বলেছিলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আর বর্তমানে সেই দলের সেক্রেটারি বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন নাকচ করা হলো। আমি বলবো এটা তারা পাগলের প্রলাপ বকছে, আর তারা এখন সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে এই কারণে যে তারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভয় পায়, জিয়া পরিবারকে ভয় পায়, তারেক জিয়াকে ভয় পায়, খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে ভয় পায়। তারা জানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অধীনে হোক, তত্ত্বাবধায়ক হোক, জাতীয় সরকার হোক যে সরকারের অধীনে তাদের সকলের জামানত বাজায়েপ্ত হয়ে যাবে, সে ভয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন না হয় তাই পাগলের প্রলাপ বকছে বকছে। আমি মনে করি ওবায়দুল কাদেরর এই বক্তব্য কোন রাজনীতিবিদের বক্তব্য না। এটা কোন শিক্ষিত লোকের কথা না। আমরা যে কোন মূল্যে আন্দোলনের মাত্রা আরো কঠোর করে দেশের জনগণের সাথে একত্রিত হয়ে আমাদের ১ দফা দাবি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আমরা ঠিকই বাস্তবায়ন করবো এখানে কোন কাদেরের কথায় কিছু আসবে যাবে না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা