পর্নোগ্রাফি মামলায় সাবেক স্বামী গ্রেপ্তার
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা পর্ণোগ্রাফি মামলার আসামি ইউসুফ আলীকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুপ্তারা ইউনিয়নের গিরদা চৌধুরী পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ইউসুফ ওই এলাকার লতিফ খন্দকারের ছেলে। এর আগে গত সোমবার রাতে মাহমুদ আক্তার বাদী হয়ে সাবেক স্বামী ইউসুফ আলীকে একমাত্র আসামী করে আড়াইহাজার থানায় ২০১২ সালের পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আহসানই উল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মামলার একমাত্র আসামি ও ভিকটিম স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের গিরদা চৌধুরী পাড়া এালাকার লতিফ খন্দকার এর ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এর সাথে বিয়ে হয় নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার ঘাশিরদিয়া মিয়া বাড়ি এলাকার মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়ার মেয়ে মাহমুদা আক্তারের। এর মধ্যে নয় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। সন্তানের দিকে চেয়ে মাহমুদা সংসার ছেড়ে যাননি। এর মধ্যে গত চার বছর আগে বিদেশ চলে গেলে তার ও তার সন্তান ফাহিমের ভরণ পোষনের কোন খরচ দিত না ইউসুফ। ফোনে যোগাযোগ করলে উল্টো গালমন্দ করতো। বিদেশ থেকে ফিরে ইউসুফ স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে এলাকার গন্যমাণ্য ব্যাক্তিদের জানানো হলে শালিস বৈঠকে সুরাহা না হলে গত বছরের ১১ নভেম্বর ইউসুফকে তালাক দেয় স্ত্রী মাহমুদা আক্তার। তালাকের পর থেকেই বিভিন্নভাবে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করেন। এক পর্যায়ে তাদের অন্তরঙ্গ সময়ের ধারণ করা ভিডিও ক্লিপস ও ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকে আপলোড করে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনায় মাহমুদা পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ সাবেক স্বামী ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করে। আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ জানান, আসামিকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।