আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৫৩

শামীম ওসমানের বক্তব্য ভাইরাল

ডান্ডিবার্তা | ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ | ৪:৩৯ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের একটি বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত বেশ কিছুদিন যাবৎ। নিজের সেই বক্তব্যে শামীম ওসমান বলেছিলেন, আমি সভানেত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছি আমাকে নমিনেশন দিয়েন না। আমি নির্বাচন করতে চাই না। শামীম ওসমানের কয়েক মিনিটের এই বক্তব্যটি নিয়ে অনেকে অনেক হিসেব কষলেও মাঠের রাজনীতির চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে শামীম ওসমান ব্যাতিত বিকল্প কোন প্রার্থী নেই আওয়ামী লীগে, এমনটাই বলছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। দলীয় নেতাকর্মীদের ধারণা ঢাকার অত্যন্ত কাছের জেলা হিসেবে নারায়ণগঞ্জ বেশ গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী লীগের জন্য। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি বিএনপির ঢাকা ঘেরাওয়ের হুশিয়ারীর পর নতুন করে ভাবতে হচ্ছে দলকে। এমন পরিস্থিতিতে ত্যাগী ও রাজপথ দখলে রাখার সামর্থ্য আছে এমন নেতাদের ওপরই আস্থা রাখবে দল। আর একারণেই নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের কোন বিকল্প দেখছেন না তারা। তবে শামীম ওসমানের এমন বক্তব্য কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। গত ১১ অক্টোবর কাঁচপুরে আওয়ামী লীগের এক কর্মী সভায় অংশ নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি নেত্রীকে চিঠি লিখে বলেছিলাম আমাকে মনোনয়ন দিয়েন না। যেখানে সবাই মনোনয়ন চায়, আমি বলেছি আমাকে দিয়েন না। অন্যভাবে কাজে লাগান। কারণ আমি এমপি না হলে কিছু হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা না থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। এটা বড় যুদ্ধ। সারারাত ঘুমাই না। আমি সব খবর পাই। আমি জানি ওরা কোন দিক দিয়ে এগুচ্ছে আর ওরাও জানে আমি কোনদিক দিয়ে এগুচ্ছি। গত ১২ অক্টোবর শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের বাচ্চার ভবিষ্যত। আমার ভুলত্রুটি থাকতে পারে। আমাদের ভুল থাকতে পারে। আমাদের বদলে দিন। কিন্তু শেখ হাসিনাকে রাখুন। কারণ শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এদিকে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান নির্বাচন না করলে বা মনোনয়ন বঞ্চিত হলে ধরে নিতে হবে আওয়ামী লীগ আপাতত শামীম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখতে চাইছে কিংবা তিনি দূরে থাকতে চাইছেন। আর এমনটা হলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়তে পারেন বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেকে। এমন সিদ্ধান্ত দলের জন্য আত্মঘাতীও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পরবর্তীতে ২০১৪ সাল থেকে টানা দুইবার আসনটিতে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের হর্তাকর্তা হিসেবে পরিচিত এই নেতা। বিগত কয়েক দশক ধরে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের পতাকা বহন করে চলছেন শামীম ওসমান। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে শামীম ওসমান ছাড়াও আওয়ামী লীগের দুয়েকজন নেতার নাম সামনে এসেছে মনোনয়ন চাওয়ার ক্ষেত্রে। এদের মধ্যে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কাউসার আহাম্মেদ পলাশ অন্যতম। তবে এদের কেউই শামীম ওসমানের সমকক্ষ বলে মনে করছেন না স্থানীয় নেতাকর্মীরা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা