আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৫১

অগ্নি পরীক্ষায় ক্ষমতাসীনরা!

ডান্ডিবার্তা | ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ | ১:৩৩ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঘনিয়ে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসন খুবই গুরুত্বপূর্ন। এরমধ্যে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দূর্গ বলে পরিচিত ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা উভয় দলের জন্যই চ্যালেঞ্জ। একদিকে শামীম ওসমানের অনুগত নেতাকর্মী অপরদিকে বিএনপি নেতা ও সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের কর্মীরা রয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি, যদি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে তাহলে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে তাদের শক্তির পরীক্ষা দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে বর্তমানে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামীলীগের যে কমিটি রয়েছে তা দূর্বল বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের সাবেক অনেক নেতাই। বর্তমান যে কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে করা হয়েছে সেই কমিটিগুলোকে পকেট কমিটি হিসেবে অনেকে মন্তব্য করেছেন। শামীম ওসমানের নির্দেশে যে কমিটি করা হয়েছে এই কমিটি থেকে অনেক ত্যাগী নেতা কর্মী বাদ পড়েছেন। অপরদিকে বিএনপির জেলা কমিটিতে যাদের পদায়ন করা হয়েছে তা টাকার মাধ্যমে অযোগ্যদের স্থান দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। তবে সর্বশেষ তথ্যমতে, দুই দলের মধ্যেই ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে যে অভিযোগ উঠেছে তা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সূত্রের দাবী, বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নেতাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে তাহলে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে বাঘে মহিষে কঠিন লড়াই হবে বলে মন্তব্য অনেকের। ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন একেএম শামীম ওসমান। অপরদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনকে। ঐ নির্বাচনে শামীম ওসমান পরজিত হয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিনের কাছে। এরপর শামীম ওসমান দেশের বাইরে অবস্থান করেছিলেন। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমানের আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করা হয়েছিলো চলচিত্রের নায়িকা সারাহ বেগম কবরীকে। কবরী ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে। এরপর শামীম ওসমান দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে এসে শামীম ওসমানের কর্মীদের সাথে কবরীর তেমন একটা বনিবনা হচ্ছিলো না। এমনকি শামীম ওসমানের সাথে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। দশম সংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমান আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনিই সংসদ সদস্য হিসেবে ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসন থেকে শামীম ওসমানের বিপরীতে আরো বেশ কয়েকজন মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত শামীম ওসমানকেই আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো। এবারও তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে, তাহলে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হবেন গিয়াস উদ্দিন। আর যদি গিয়াস উদ্দিন প্রার্থী হন তাহলে ২০০১ সালের মতো শামীম ওসমানের সাথে আরো একটি লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। রাজনীতির মাঠে শামীম ওসমানের মতোই আরেক খেলোয়ার গিয়াস উদ্দিন চমক দেখানোর সমস্ত কৌশলই অবলম্বন করবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। অভিজ্ঞ মহলের মতে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে আসলে নির্বাচনের মাঠে আমেজ সৃষ্টি হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে না আসলে আগামীতে বিএনপির রাজনীতি কোন দিকে যাবে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে বিএনপি যদি গিয়াস উদ্দিনকে নির্বাচনে প্রার্থীতা দেন তাহলে এই আসনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। অপরদিকে, শামীম ওসমানের নির্দেশে জেলায় যে কমিটিগুলো করা হয়েছে এই কমিটিগুলো নিয়েও নানা মন্তব্য খোদ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের মাঝে। তবে বিরাগ ভাজন হওয়ার ভয়ে মুখ ফুটে কেউ কিছু বলছে না। এই প্রভাব আগামী নির্বাচনে কিছুটা হলেও পড়বে যদি বিএনপি প্রার্থী দেয় বা নির্বাচনে আসে। যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় তাহলে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে নির্বাচনে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পাশাপাশি নির্বাচনের আমেজও ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবে। অপরদিকে বিএনপির কমিটি নিয়েও বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং থানা পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের মাঝেও ক্ষোভ রয়েছে। তবে জাতীয় নির্বাচনে উভয় দলের নেতাকর্মীরা যার যার অবস্থান থেকে দলের জন্য কাজ করবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা