
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপে দৈন্যদশা বিরাজমান তারা বর্তমানে কঠোর আন্দোলন সংগ্রামের সময়ে মহানগর বিএনপির বিদ্রোহীরা দফায় দফায় নিষ্ক্রিয় থেকে কঠোর সমালোচনার সৃষ্টি দিয়েছেন। কিন্তু শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখাতে ঢাকা দলীয় কর্মসূচির ডাক আসলেই তারা মিছিল-শোডাউন নিয়ে সেখানে অংশগ্রহণ করেন। তারা ছাড়া মহানগরের কোন প্রোগ্রামে শহরে তাদের দেখা যায় না। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী জানা গেছে, তাদের কোন পদ-পদবী নেই যার কারণে তারা কোন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন না। এমনকি এই বিদ্রোহীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকারের কথায় মহানগর বিএনপির সাথে বিদ্রোহীতা প্রকাশ করলেও এখন এই তৈমূর আলম খন্দকার তাদের ফাঁকি দিয়ে বিএনপি ছেড়ে তৃণমূল বিএনপিতে অংশগ্রহণ করেছেন। যার কারণে বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পরেছেন বিদ্রোহী গ্রুপ। এখন এই বিদ্রোহীরা শহরের রাজনীতি ছেড়ে ঢাকার সমাবেশগুলোতে শুধু অংশগ্রহন করেন। কিন্তু বর্তমানে দলের দূঃসময়ে পদ-পদবীর লোভে যেভাবে বিএনপির এই বিগত দিনের তুখোর নেতারা বিদ্রাহীতা প্রকাশ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পরেছেন তা কোন বোধগাম্য নয় বলছেন তৃণমূল। বর্তমানে বিএনপির আন্দোলনের সময় এই সময়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে পারলে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করতে পারবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আহ্বায়ক করা হয়েছিল এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব করা হয় আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে। যার পর থেকে এই নেতৃত্ব না মেনে কমিটি থেকে ছিটকে পরে ১৫ জন বিদ্রোহী নেতৃবৃন্দ। আর তারা কমিটি থেকে বেড়িয়ে মুকুল ও সেন্টুর নেতৃত্বে আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করা শুরু করে। যার কারণে মহানগর বিএনপি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। তার কয়েক মাস পর তাদের সাথে আবার মূল মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম. এইচ মামুন বিদ্রোহীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। তারপর থেকেই ঢাঁকঢোল পিঠিয়ে বিদ্রোহীরা মূল কমিটির বিরুদ্ধে দফায় দফায় বক্তব্য দিতে দেখা যায়। এছাড়াও মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা বিএনপির পাল্টা কমিটি গঠন শুরু করেন। কিন্তু তারা যোগ্য নেতৃত্বের হাতে কমিটি না দিতে পাড়ায় তাদের সাথে থাকা নেতাকর্মীরা ও তাদের থেকে পিছপা হওয়া শুরু করে। পরবর্তীতে যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এইচ মামুন বিদেশে চলে যায় ও বাকি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নূর উদ্দিন যার পর থেকেই মহানগর বিএনপির বিদ্রোহীরা দিশেহারা হয়ে পরেন। আর দলীয় প্রোগ্রাম পালন থেকে অনীহা শুরু করেন। কিন্তু দলীয় প্রোগ্রাম যদি ঢাকায় হয় তাহলে তারা মুকুলের নেতৃত্বে সেখানে অংশগ্রহণ করেন এমটাই দেখা গেছে গতকাল ১৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির জনসমাবেশের সময়। এছাড়া এর আগে ৯ অক্টোবর দেশের প্রতিটি মহানগর ও জেলায় সমাবেশ ও মিছিল, ১২ অক্টোবর ঢাকায় ছাত্র কনভেনশন, ১৪ অক্টোবর সারাদেশে গণঅনশন, ১৬ অক্টোবর ঢাকায় যুব সমাবেশ একটা ও পালন করেনি এই মহানগর বিএনপির বিদ্রোহীরা। কিন্তু গতকালকের ঢাকায় জনসমাবেশে গিয়ে তারা কি বুঝাতে চাইলেন এমনটাই বলছে তৃণমূল। এছাড়া ও এদের নিষ্ক্রিয়তা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে কোন ধাক্কা দিতে পারেনি তারা যথাযথভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। বর্তমানে তৃণমূলের দাবি, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচন এটাকে কেন্দ্র করে সামনের আন্দোলন আরো জোড়ালো হতে পারে। এই আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধতা দেখতে চায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯