এগোতে পারছেনা মহানগর আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আর কয়েক মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজনীতি দলগুলো। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের জেলা ও মহানরের সভাপতি ও সেক্রেটারির মধ্যে মতানৈক্যর কারণে দিনে দিনে দুর্বল হয়ে পড়ছে ক্ষমতাসীন এই দলটি। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার জন্য কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম একাধিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আবারো সভাপতি আব্দুর হাই ও সেক্রেটারি ভিপি বাদলকে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের। এর মধ্যে ৮ মাস অতিক্রম হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি জেলা দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতা। ইতিমধ্যে এপ্রিল ও মে মাসে তিনটি আলাদা আলাদা পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। সেখানে একাধিক নেতাদের নাম থাকায় কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের পদ নিয়ে বিব্রত হয়ে পড়ে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে উপজেলা, থানা ও ওয়ার্ড কমিটির বেশিরভাগ সম্মেলনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ সাড়ে ৯ বছরে ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে পারেনি। চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭টি ওয়ার্ড সম্মেলন করা হলেও মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার মধ্যে মতবিরোধ থাকায় কমিটি ঘোষণা দিতে পারেনি। বরং তাদের মধ্যে ওয়ার্ড কমিটির নেতা নির্বাচিত নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। এর পাশাপাশি প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। এতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওতাধনী ১০টি ওয়ার্ড সম্মেলন করতে পারেনি আনোয়ার হোসেন ও খোকন সাহা। এ বিষয়ে বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের আব্দুর হাই ও ভিপি বাদল থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে প্রবীণ নেতা আনোয়ার হোসেন ও খোকন সাহা। তারা দক্ষ রাজনীতিবিদ হয়েও মহানগর আওয়ামী লীগ এখনো সাজাতে না পারায় তাদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই জুলাই মাসে যে কোন সময়ে তাদের ঢাকায় তলব করতে যাচ্ছে সম্পাদকমন্ডলী। তাদের বিষয়ে ইতিমধ্যে দলীয় সভানেত্রীর কাছে বিশাল আকারে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আগামী দিনে তাদের দিয়ে মহানগর কমিটি পরিচালনা করা হবে না নতুন নেতৃত্ব দিয়ে করা হবে, সে ব্যাপার দলের সভানেত্রী সিদ্ধান্তের উপর যাচ্ছে। এদিকে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও খোকন সাহাকে দিয়েই আবারো মহানগর আওয়ামী লীগ কমিটি হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক মহানগরের নেতারা। অন্যদিকে মহানগর আওয়ামী লীগকে উজ্জীবিত ও শক্তিশালী করার জন্য নতুন নেতৃত্বে নবীনদের সুযোগ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ওয়ার্ড ও মহানগরের একাধিক নেতারা। তারা এও জানান, যারা সাড়ে ৯ বছরে ২৭টি ওয়ার্ড গুছাতে পারে নাই, আগামীতে কিভাবে গুছাবেন?