গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘরছাড়া বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বড় কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে বিএনপির। তবে এর আগেই কঠিন চাপে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ শহর কেন্দ্রীক যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের মধ্যে অধিকাংশ নেতাই এখন বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন। এদিকে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৩০ জন বিএনপি নেতাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, তারা যাতে আগামী ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের জন্য ঢাকায় যেতে না পারে সেজন্যই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অহেতুক হয়রানি করছেন। বিএনপির একাধিক নেতার সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তারা জানান, বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে যেসব নেতারা ঢাকার কর্মসূচিগুলোতে বেশি লোক নিয়ে শোডাউন করেছে, তাদের কড়া নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। কিছুক্ষণ পরপরই তাদের বাড়ির সামনে পুলিশের গাড়ি মহড়া দিচ্ছেন। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুমতি পেলে সকল বাধা অতিক্রম করেই ২৮ তারিখে ঢাকায় যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি নেতারা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান এ বিষয়ে বলেন, এরই মধ্যে আমাদের ৪০ জন নেতাকর্মীকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে আটক করা হয়েছে। আটকের সময় তারা কোনো আইন মানছে না। গত ২৩ অক্টোবর দুইজন আইনজীবীকে আটক করে নিয়ে গেছে চেম্বার থেকে। আমরা সবাই পালিয়ে পালিয়ে থাকছি। বাড়ি ঘরে থাকা যাচ্ছে না। মূলত আগমী ২৮ তারিখের ঢাকার সমাবেশে যেন আমরা যেতে না পারি সে কারণেই এমনটা করছে প্রশাসন। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা নির্দেশ দিলে আমরা সবকিছু অতিক্রম করেই ঢাকা যাবো। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমরা খুবই অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি, কখন আটক করে নিয়ে যায় বলা যায় না। সারাক্ষণ বাড়ির সামনে পুলিশের গাড়ি মহড়া দিচ্ছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী তারা গ্রেপ্তারও করেছে। কিন্তু যতকিছুই হোক আমরা দিনশেষে ঢাকা যাবোই। ১ দফা দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না। এদিকে সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি সম্ভাব্য তালিকা পাওয়া গেছে। তারা হলেন রূপগঞ্জ দাউদপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হোসেন মুন্সি, ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সোরারগাঁয়ের সাদীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মিয়া, মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য হারুন, নাসিকের ৮নং ওয়ার্ড যুবদল কর্মী কাউসার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা মেহেদী, মহানগর যুবদল নেতা জাহিদ, সোনারগাঁ মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক রাকিব হাসান, আড়াইহাজার সাতগ্রাম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী মিয়া, সাতগ্রাম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফরহাদ, রূপগঞ্জের চনপাড়া ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ফতুল্লার বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ, নাসিকের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, নাসিকের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূর মোহাম্মদ পনেছ, রূপগঞ্জ থানা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার চৌধুরী, সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সদস্য হুমায়ুন, জেলা শ্রমিক দলের নেতা কামাল হোসেন, নাসিকের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা মাসুদ, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা শফিকুল ইসলাম, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খোরশেদ মোল্লা, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সিদ্দিক, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সদস্য সামছুল হক।