আজ বুধবার | ১৩ আগস্ট ২০২৫ | ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৮ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:৪৫

বন্দরে হাসপাতালের শৌচাগারে ধোয়া হচ্ছে কাপড় বিছানার কাপড়

ডান্ডিবার্তা | ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ | ১২:০৪ অপরাহ্ণ

বন্দর প্রতিনিধি বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শৌচাগারে রোগীর মলমূত্র পূঁজ আর রক্তমাখা ও বিছানার চাদর এসব কাপড় চোপড় কোনোমতে পরিষ্কার করে হাসপাতালেই ছাদেই শুকানো হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধে ভারি হয়ে উঠছে সেখানকার পরিবেশ। তবুও বছরের পর বছর এভাবেই চলছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হাসপাতালের কাপড় পরিচ্ছন্নের কাজ। এমন সংবাদ পেয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে আসেন। এ সময় বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব সরকার, ফারুক হোসেন জনি উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় হাসপাতালের ইনচার্জসহ দায়িত্বরত ডাক্তার না থাকায় এম এ রশিদ পরিদর্শন পূর্বক তদন্ত করে চলে যান এবং আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় হাসপাতালে আসবেন বলে জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ বলেন, হাসপাতালটি বর্তমানে পুণাঙ্গ রুপ নিচ্ছে। এখানে কেউ অনিয়ম বা দূর্ণীতি করবে তা অসম্ভব। আমি এম এ রশিদ থাকা অবস্থায় তা অসম্ভব। কে বা কারা এর সাথে জড়িত তা আমার দেখার বিষয় না। আমি কোন অনিয়ম বা দূর্ণীতি করি না, আর এর সাথে জড়িত কে বা কারা কাউকে চেনার, দেখার সময় নেই। মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে কেউ অনিয়ম বা দূর্ণীতি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে। চিকিৎসা খাতে অনিয়ম তা মেনে নিতে কষ্ট লাগে। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে কোন অনিয়ম চলবে না। সে যেই হোক না কেন? জানা যায়, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের কাপড় পরিষ্কারের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। আর টেন্ডারের পান আকিল নামে এক ব্যাক্তি। বন্দরের বাগবাড়ি এলাকার আলহাজ্ব চুন্নু মাষ্টারের ছেলে ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের ভাই আকিল। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আকিল মিয়া নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের বানানো নিয়মে চালাচ্ছে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস পায় না বলে প্রমানসহ অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালেই বাহির থেকে কাপড় চোপড় ধুয়ে পরিস্কার এবং লন্ড্রি করে হাসপাতালে কাপড় পৌঁছে দেয়ার নিয়ম থাকলেও তোয়াক্কা করছে না ওই ব্যাক্তি। এভাবেই চলছে হাসপাতালের কাপড় পরিচ্ছন্নের কাজ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের শৌচাগারে মেঝে সারাক্ষণ পানিতে ভাসে। এসব নোংরা জায়গায় ধোয়া হচ্ছে কাপড় চোপড় এবং হাসপাতালের ময়লা ছাদেই শুকানো হচ্ছে এসব কাপড়। কোন ধরণের নজরদারি নেই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মতো এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে। সরকারি হাসপাতালে এসবের বিষয়ে গুরুত্ব দেবার মতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারি। হাসপাতালের শৌচাগারে সখিনা নামে এক নারীকে কাপড় পরিস্কার করতে দেখা গেছে। তিনি এখানেই কাপড় পরিস্কার করে ছাদের উপর শুকাতে দিয়ে থাকে এবং কোন লন্ড্রি ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাপড় বুঝিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। এবিষয়ে সখিনা বলেন, আমি ঠিকাদারের নির্দেশে হাসপাতালেই কাপড় ধুয়ে থাকি। এবিষয় আকিলের ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বেলায়েত হোসেন জানান, হাসপাতালে কাপড় দোয়ার কোন নিয়ম নেই, বাহির থেকে ধুয়ে লড্রিং করে হাসপাতালে পৌঁছে দিবে। আর সখিনা নামে মহিলা রূপগঞ্জ হাসপতালের ঝাড়–দার। সে এখানে ঠিকাদারের কাপড় ধোয়ার কথা নয়। সে সরকারি চাকরীর নিয়ম অমান্য করছে।বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না আমি দেখতেছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা