আজ বুধবার | ১৩ আগস্ট ২০২৫ | ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৮ সফর ১৪৪৭ | সকাল ৬:৩৭

বিএনপির আন্দোলনে বিপাকে আ’লীগের মনোয়ন প্রত্যাশীরা

ডান্ডিবার্তা | ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ | ২:৩৯ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র বাকি রয়েছে আড়াই থেকে তিন মাস। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে পতন করতে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ মাঠে রয়েছে বিরোধী দল বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২০০৮ সালে পরাজিত হওয়ার পর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এতে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও এমপিরা এখন গা-ঢাকা দিয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে নতুন নেতৃত্ব। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিতে রয়েছে বর্তমান প্রজন্মের নেতারা। পর পর তিনটি নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের বিএনপিতে এখনো নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোন আমেজ লক্ষ্য করা যায়নি। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির এমপি ও প্রত্যাশী নেতারা নির্বাচন প্রচারণায় নামেনি। এর ফলে নারায়ণগঞ্জে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোন আমেজ দেখা যাচ্ছে না। নভেম্বরে শেষ দিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা পর নির্বাচনের আমেজের ছায়া দেখতে পারবে ভোটাররা। সমাবেশ থেকে হরতাল ঘোষনায় আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে মানুষ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে কি হুঁশিয়ারি দিবে বিএনপি। এর মধ্যে পুরো দেশে বিভিন্ন তৎপরতা চলছে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের মহাসড়কসহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। এর ফলে ঢাকা যাওয়া সকল যাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি অবৈধ যানবাহন আটক ও অভিযান চলছে। নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের বৈরী আবহাওয়া এখনো পায়নি ভোটাররা। শহরের নাসিক ১২নং ওয়ার্ডের আরিফ হোসেন। পেশায় একটি কোম্পানির সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে খানপুরে বসবাস করে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের যে অবস্থা, আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছি। তার মধ্যে নির্বাচনের আগে বড় দুইটি দলের রেষারেষি আমাদের উপর আরেক চাপ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়লে নিজের মধ্যে ভয় লাগে। আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টির কোন নেতা বা বর্তমান সাবেক এমপিরা আমাদের এলাকায় আসেনি। নির্বাচন নিয়ে চিন্তা ভাবনা এখনো হয়নি তাদের। তাদের প্রয়োজনে আমাদের মত ভোটারদের কাছে মিছিল নিয়ে আসবে ভোট চাইতে।’ বন্দরের নাসিক ২০নং ওয়ার্ডের সেলিম আহম্মেদ। পেশায় একটি মুদি দোকানি। শহরে যাবারকালে বন্দর ঘাটে আলাপচারিতায় তিনি নির্বাচনের আমেজ নিয়ে বলেন, ‘নির্বাচন কি হবে? এলাকায় ছোট একটি মুদি দোকানে অনেক মানুষ আসে, সব জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন রকমের সদাই (পণ্য) নিতে গিয়ে নিরাশ হয়ে পড়ে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে, তাদের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কখনো এমপিদের বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে। এবার যদি নির্বাচন হয় তাহলে প্রতিটি প্রার্থীদের ভোটারদের ন্যায্য আদায়ের ওয়াদা দিলে ভোট দিতে যাবো ভোট কেন্দ্রে।’ অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, নির্বাচনের আমেজ কিভাবে থাকবে? দিনের ভোট রাতে হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ দীর্ঘসময় লাইনে থেকে ভোট কক্ষে জানতে পারে, তার ভোট দেয়া হয়েছে। তাহলে ওই ভোটার আবার কিভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবো, এটা আমার প্রশ্ন। বিএনপি এক দফা বাস্তবায়নে আগামীকাল আমরা ঢাকা রাজপথ দখল করবো। এই অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারকে পতন না করে ঘরে ফিরে যাবো না। আজকে আমাদের দমন করানো জন্য র‌্যাব-পুলিশকে রাস্তায় নামিয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা ঢাকামুখি না হতে পারে, যানবাহন তল্লাশী নামে হয়রানী করা হচ্ছে। জুলুম এই আওয়ামীলীগ বিতাড়িত করতে না পারলে নির্বাচনের আমেজ জনগণের কাছে পৌছাবে না। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিএনপির প্রতিরোধ বা প্রতিশোধ হবে পুরোটাই আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের বিপরীতে ভায়োলেন্স। বিএনপির গায়ে পড়ে আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ করার নির্দেশনা রয়েছে। ৭১-এ পরাজিত হয়ে ৭৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বিএনপি। বিএনপি শান্তি সমাবেশে হামলা করলে আমরা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছি। বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনার জবাবও দিচ্ছে। এবার নারায়ণগঞ্জে পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টির একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তারা নির্বাচনের আমেজ সৃষ্টি না করলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে থাকতে সভা সমাবেশ শো-ডাউন করে যাচ্ছেন। রূপগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলোচনায় বর্তমান মন্ত্রী এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, বিএনপি প্রার্থী আলোচনায় মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ও কাজী মনিরুজ্জামান। আড়াইহাজার আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ আহম্মেদ, বিএনপির প্রার্থী আলোচনায় নজরুল ইসলাম আজাদ ও সুমন। সোনারগাঁ আসনের জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী রয়েছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলোচনায় সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও দীপ, বিএনপির প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান এমপি শামীম ওসমান, শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ ও সাবেক ফুটবলার আশরাফউদ্দিন চুন্নু, বিএনপির প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও শিল্পপতি শাহ আলম, সদর-বন্দর আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান ও পারভীন ওসমান, আওয়ামী লীগের আলোচনায় রয়েছেন আনোয়ার হোসেন ও জি এম আরাফাত, বিএনপির আলোচনায় রয়েছেন সাবেক এমপি আবুল কালাম, সাখাওয়াত হোসেন খান, আতাউর রহমান মুকুল, তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ডক্টর তৈমূর আলম খন্দকারও এই আসনের জোটের প্রার্থী হতে পারেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা