আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৪৬

না’গঞ্জে বিএনপির আন্দোলনে ভাটা

ডান্ডিবার্তা | ০১ নভেম্বর, ২০২৩ | ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট রাজধানীর নয়াপল্টনে আলোচিত বিএনপির মহাসমাবেশ শেষ পর্যন্ত সফল হতে গিয়েও হয়নি। এরআগেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে মহাসমাবেশের পশ্চিমাংশে। যার রেশ এসে পড়ে মূল সমাবেশ স্থলে। ফলে পন্ড হয়ে যায় দেশ ও দেশের বাইরে আলোচিত বিএনপির বহু কাংখিত মহাসমাবেশ। ব্যাপক হতাহতের মধ্যে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করে। হরতাল শেষে গতকাল মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের অবরোধ ঘোষণা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির হাইকমান্ড দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে কর্মসূচি সফল করার জন্য নির্দেশনা দেয়। একই সঙ্গে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবন্ধ হওয়ারও নির্দেশ দেয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। যার প্রমান মিলে নারায়ণগঞ্জে। এখানে জেলা ও মহানগর বিএনপির মধ্যে কোন প্রকার ঐক্যবব্ধতা দেখা যায়নি। তবে হরতালের দিন বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্নভাবে শহরে মহানগর বিএনপিকে ঝটিকা মিছিল ও পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে দেখা গেছে। দেখা যায়নি জেলা বিএনপির কোন তৎপরতা। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গুটি কয়েককর্মী নিয়ে লিংক রোডে সকাল সকাল ক্ষনিকের জন্য বিক্ষোভ করলেও বেলা বাড়ার পর তাদের আর দেখা যায়নি। আড়াইহাজারে ব্যাপক পিকেটিং এবং পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘাত ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। কিন্তু জেলা শহরে চোখে লাগার মতো কোন পিকেটিং না হওয়ায় হতাশ হয় মাঠ পর্যায়েরর নেতাকর্মীরা। বিএনপি তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অনৈক্যের কারণে আন্দোলনে ভাটা পড়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ঝটিকা মিছিল, চোরাগুপ্তা হামলা করে দুই একটি গাড়ি ভাংচুর, সড়কে টায়ার জ¦ালিয়ে আগুন আর পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলেই কর্মসূচি সফল হয় না। বিএনপির মতো একটি দলের কর্মসুচি পালনের ক্ষেত্রে যদি এমন পরিস্থিতি দেখা যায়, তাহলে কর্মীদের মনোবল এমনতিইে নস্ট হয়ে যায়। যেখানে দলের নেতাকর্মীরা মাঠে নেই। সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে বিএনপির আন্দোলনে যুক্ত হবে। এমন প্রশ্ন রাখেন কেউ কেউ। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আরও বলেন, বিগত দিনে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এবং অঙ্গসংগঠনের কমিটিতে শীর্ষ পদ পেতে কি পরিমান লবিং গ্রুপিং হয়েছে চিন্তাও করা যাবে। আবার কমিটিতে একটা পদ পেতে শীর্ষ নেতাদের বাড়ি-ঘর আর অফিসে দৌড়ঝাপ করতে করতে অনেকের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে গেছে। কিন্তু পদ পদবী পাওয়ার সেই নেতারা এখন কই। শুধুমাত্র কমিটির পদধারী নেতারা নামলেই তো জমজমাট আন্দোলন হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, মামলা-হামলা তো থাকবে। গত ১৪/১৫ বছর তো এগুলা নিয়েই চলতে হয়েছে। মামলা কি পিছু ছেড়েছে। মামলা আরও হবে। এসব মাথায় রেখেই আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হবে। তাছাড়া শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিরোধ, মতপ্রার্থক্য ও গ্রুপিংয়ের কারণে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হতে পারেনি। সাংগঠনিক অবস্থা নড়বড়ে থাকা অবস্থায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এই আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে সকল ভেদাভেদ ভুলে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে দেয়া উচিৎ ছিল বিএনপির হাইকমান্ডকে। কিন্তু তা করা হয়নি। ফলে মুখ থুবড়ে পড়তেছে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সরকার পতন আন্দোলন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, যতক্ষন পর্যন্ত না নারায়ণগঞ্জে সকল পর্যায়ের বিএনপির শীর্ষ নেতারা এক না হবে ততক্ষন পর্যন্ত এই জেলায় বিএনপির আন্দোলন হালে পানি পাবে না। এদিকে দলের আরেকটি সূত্র জানায়, গত শনিবার হরতালের দিন বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘাতের কারণে জেলার ৬টি থানায় ৬টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোতে বিএনপির ২৮৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরও কয়েকশত জনকে আসামী করা হয়েছে। অবরোধের প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার আড়াইহাজারে পুলিশ-আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায়ও মামলা হবে। এই সকল মামলা মোকাবেলা করে কতটা টিকে থাকবে নারায়ণগঞ্জের বিএনপি তা সময়েই বলে দিবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা