ষড়যন্ত্র করে বিএনপি ব্যর্থ!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট সকল ষড়যন্ত্র করে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন লাশ ফেলতে চাচ্ছে। বিএনপির অবরোধের নামে অগ্নি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে অবস্থান নিয়েছে বন্দর থানা আওয়ামীলীগ। শান্তি সমাবেশে প্রকাশ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সহ সভাপতি তাদের বক্তব্যে পরিস্কার করে বলেন, রাজনীতি করেন ভাল, রাজনীতিতো জনগণের স্বার্থে করতে হয়। অবরোধের নামে অগ্নি সন্ত্রাসী, গরীব অসহায় মানুষের উপর হামলা তা কিন্তু আর মেনে নেওয়া হবে না। দেশকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিয়েন না উল্লেখ্য করে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ বলেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গনতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করার অধিকার আছে। আন্দোলনের নামে অসহায়, নীরহ লোকদের বিপদে ফেলবেন তা আর সহ্য করা হবে না। আর যদি আওয়ামীলীগের ১টি লাশ পড়ে, বিএনপির ৪ টি লাশ পড়বে। ইতিহাসে কবর রচনা করা হবে। চারদলীয়জোট সরকার আমলে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর যে বর্বচিত হামলা, মামলা, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট করা হয়েছে আমরা কিন্তু তা ভুলিনি। টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরও আপনারা সবচেয়ে শান্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বসবাস করছেন। আওয়ামীলীগ সরকার দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে। হত্যার বদলে হত্যা না, মানুষকে ভালবেসে উন্নয়ন কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কাজ করছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দ্যশে বলেন, বিগত ১৫ বছর আপনারা হিসেবে মায়ের কোলে ছিলেন। এখন দেখতেছি আপনাদের প্রকৃত রুপ। কিন্তু আর সহ্য করা হবে না। যদি কোন অগ্নি সন্ত্রাসী করেন তাহলে এবার আপনাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরে সাথে হামলা করা হবে। যা কোনদিন কল্পনা করতে পারেননি। কবর রচনা করা হবে। বয়সের ভারেও নত কিন্তু পারেনি। ৭০’র উর্দ্ধে বয়স হলেও রাজনৈতিক মাঠে যেন ১৬ বছরের যুবকদের মত ভূমিকা পালন করছেন এম এ রশিদ। এম এ রশিদের কঠোর হুশিয়ারি ও অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ বলেন, ‘জয় বাংলা শ্লোগানটি আসে হৃদয় থেকে। যা বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে। এই শ্লোগান দিয়ে জনগণের জান মাল রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো আমরা কাজ করেছি। বিএনপি ব্যাপকভাবে আমাদের উপর অত্যাচার করেছে। মামলা ও হামলা করে হয়রানী করেছে। তারা বর্তমানেও অন্যায়ভাবে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে, পুলিশ ও সাংবাদিক হত্যা করেছে। আমরা কিন্তু এ ধরণের আন্দোলন করিনি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন ও কর্মসূচি করেছি। সকল ষড়যন্ত্র করে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন লাশ ফেলতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কোন নেতা-কর্মী যদি এই আন্দোলনে আহত হন তাহলে তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার আমাদের আওয়ামী লীগ বহন করবে। আওয়ামী লীগের ১টি লাশ পড়লে বিএনপির ৪টি লাশ পড়বে। কোন ছাড় দেয়া হবেনা। তাদেরকে এক বিন্দু ছাড় দিবোনা। যদি গাড়ি পুড়েন, মানুষের ক্ষতি করেন, তাহলে আপনার ঘরবাড়ি থাকবেনা। ইসরাইলের ইহুদিদের মতো হত্যাকান্ড চালাচ্ছে বিএনপি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই। তাই তাদেরকে প্রতিহত করতে সকলে প্রস্তুত থাকুন’। হুমায়ূন কবির মৃধা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নরপশুর দল চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে ফেলতে। জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়ছিল। ওরা জানতো না, এ ৪ জন বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে আস্তাভাজন ও কাছের নেতা ছিল। জাতির পিতার জন্য হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়তেও একটু চিন্তা করেনি উল্লেখ্য করে মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা আরো বলেন, বর্তমান সময়টা আমাদের জন্য অনেকটা ক্রুশিয়াল। জাতীয় ৪ নেতাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। হুমায়ন কবির মৃধা আরো বলেন, স্বাধীনতা স্বপক্ষে শক্তি আওয়ামীলীগ টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতায়। বিএনপির কোন নেতাকর্মী বলতে পারবে না কাউকে কিছু বলছি। অথচ চারদলীয়জোট সরকার আমলে ওরা হিংস্র পশুর মত হয়ে উঠেছিল। কেউ ঘরেতো দূরের কথা এলাকায় থাকতে পারিনি। আর আমরা তাদের কিছু বলেনি। কারন আমরা রাজনীতি করি দেশ ও জনগণের স্বার্থে। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে ওরা অবরোধের নামে অগ্নি সন্ত্রাসী করছে। এখনো বুঝতেছি কুকুরের লেজ সোজা হয় না। হরতাল, অবরোধের নামে যদি বন্দরের মাঠিতে আর কোন জ্বালাও-পোড়াও’র মত নাশকতা করলে বিন্দু পরিমান ছাড় দেয়া হবে না। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, যারা বিএনপি-জামায়াতের সাথে আতাত করে চলছেন সাবধান হয়ে যান। আপনাদের তালিকাও হচ্ছে। ঘরের মধ্যে শত্রুর বসবাস থাকলে সে যুদ্ধে বিজয় কষ্টকর হয়ে পড়ে। সামনে নির্বাচন ওদের সাথে গোপন সর্ম্পক, আলগা পিরিত ছেড়ে দলের জন্য কাজ করুন। দেশের উন্নয়নের চিত্রগুলো জনগণের মাঝে তুলে ধরুন। কারন দিন শেষে আপনারাই কিন্তু ভোট চাইতে জনগনের কাছে যাইবেন। বিএনপির লোকদের সাথে এখনো আতাত থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব পড়বে। বন্দরের মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি এমএ সালাম বলেন, সেলফি, ব্যানার ও ফটোসেশনের রাজনীতি ছাড়–ন। আমরা উন্নয়নের ফিরিস্তি মানুষের কাছে না তুলে ব্যস্ত থাকি সেলফি ব্যানার ও ফটোসেশনের রাজনীতি নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের কাছে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকার ভোট চাইতে হবে। দলে কিছু হাইুিব্রড ঢুকে দলের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। তাই দলের মধ্যে সুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। পদ পদবি চায়না আমরা চায় মুজিব আদর্শ অন্তরে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যারা দলকে ভাল বাসে তারা ছবি তুলে না আর ছবি তুলিনারা দলকে ভাল বাসে না। সেলফি আর ফটোসেশনের রাজনীতি বাদ দেশ ও জনগনের জন্য রাজনীতি করার আহবান জানান বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এম এ সালাম। তিনি আরো বলেন, মুজিব একটি জাতির রুপকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার পক্ষে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে সবতরে সবাইকে। দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের সরকার শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কোন বিকল্প নেই। বিএনপি -জামায়াতের অবরোধের নামে অগ্নি সন্ত্রাসী করলে বিন্দু পরিমান ছাড় দেয়া হবে না। দলের নেতাকর্মীদের সজাগ দৃষ্টিসহ প্রস্তুত থাকার আহবান জানান প্রবীন রাজনীতিবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ।