আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:২১

আ’লীগের মিছিল মিটিং বর্জন মুছাপুর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জনি

ডান্ডিবার্তা | ০৫ নভেম্বর, ২০২৩ | ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট গত ৩১ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইসমাঈল হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও মেজবাহ উদ্দিন মিলনকে পরাজিত করে কাউন্সিলরদের ভোটে এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আবুল হাসনাত জনি। কিন্তু পদ পদবী পাবার পর থেকেই তিনি রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় হয়ে যান এবং দলীয় কোন কার্যক্রমে তাকে আর পূর্বের মতো উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে মুছাপুরের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ মুুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে অন্য ইউনিয়ন থেকে পিছিয়ে রয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকায় ও নানাবিধ কারণে আমাদের নেতা-কর্মীরা নিস্ক্রিয়। আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস বহু বছর যাবৎ তালাবদ্ধ। ১৯ বছর পর সম্মেলন হলো। আমরা জনিকে ভোট দিয়ে সেক্রেটারি নির্বাচিত করেছি। অনেক আশা ছিলো তার হাত ধরে এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ঘুরে দাড়াবে। সে আমাদেরকে মূল্যায়ণ করবে। কিন্তু মূল্যায়ণ তো দূরের কথা সে নির্বাচিত হবার পর আমরা আরো পিছিয়ে গেছি। দলের কোন মিটিং মিছিলে তাকে পাওয়া যায়না। গত ১ বছরে সে কোন দলীয় মিটিং মিছিলে অংশ নেয়নি। মূলত দলের কোন মিটিং মিছিলে সে যেতে ইচ্ছুক নন, যদি ইচ্ছুক হতেন তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে একত্রিত করে অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতেন। তাকে ফোন দিলে রিসিভ করেনা, পরে ফোন দিয়েও জিজ্ঞেস করেনা কে বা কেন তাকে ফোন দিলো। দলের কোন নেতা-কর্মীর সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই। লাঙ্গলবন্দে তার ব্যক্তিগত অফিস থাকলেও সেখানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়না। তাছাড়া পাওয়া গেলেও সেখানে কিছু নব্য আওয়ামী লীগার ও নানাধরণের লোকজন বসে থাকে এবং সবাই মিলে ধুমপান সহ নানাবিধ কাজে মত্ত থাকে। ফলে সেখানে যাবার মতো পরিবেশ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের কর্মীরা আরো বলেন, জনি আসলে পদের লোভে এতোদিন মিটিং মিছিলে গিয়েছিলো। পদ পাওয়া শেষ তার মিটিং মিছিলে যাওয়াও শেষ। গত ১ বছরে দলীয় কোন কর্মসূচি সে পালন করেনি এবং পালনের উদ্যোগ নেয়নি। বর্তমানে বিএনপির হরতাল ও অবরোধের প্রতিবাদে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচিতে সকল ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা অংশ নিলেও আবুল হাসনাত জনি সে কর্মসূচিতে নিজে যায়না এবং কর্মীদের পাঠাতেও আগ্রহ দেখাচ্ছেনা। আসলে সে কোন দলের ভাবতে হচ্ছে আমাদের। নির্বাচিত হবার পর ১০ মাস পার হলেও আজো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেনি। তিনি যথেষ্ঠ অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। সে মাদক সেবন করে এমন কথা আমরা শুনেছি। সেক্রেটারি নির্বাচিত হবার পরের দিন লাঙ্গলবন্দের তার নিজ অফিসে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল আছে এমন খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ কয়েক ঘন্টা তার অফিস ঘেরাও করে রাখে। নানা ধরণের বিষয় শুনে আমরা তার প্রতি বিরক্ত ও ক্ষুদ্ধ। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি এবং সংগঠনকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে অন্য কাউকে এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা