আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:০৯

বিএনপি কঠোর নির্বাচনে আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ০৫ নভেম্বর, ২০২৩ | ১:০০ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় অতিবাহিত হচ্ছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ওই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের ১২৩ (৩) (ক) অনুযায়ী মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসেবে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। তাই ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিপরীতে বিরোধী দল বিএনপি সরকারকে পদত্যাগের দাবী জানিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ পালন করেছে। এর আগে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে হরতাল পালন করেছে বিএনপি। একই সাথে তাল মিলিয়ে পিছিয়ে নেই জামাত। তারাও একই সাথে হরতাল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। আগামী রোববার থেকে আবারও ৪৮ ঘন্টা অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণাা করেছে বিএনপি। এদিকে একের পর এক আন্দোলনকে প্রতিরোধ করার জন্য শান্তি সমাবেশ নিয়ে মাঠে রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের প্রবেশ মুখ নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় শান্তি মিছিল বের করে। সেই সাথে বিএনপির অবরোধকে প্রতিরোধের জন্য তারা মাঠে আছে বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। একই সাথে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দও রাস্তায় বসে থেকে পাহাড়া দিচ্ছে যাতে করে বিএনপি কোন ধরনের অরাজকতা তৈরী করতে না পারে। এছাড়া গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সমাবেশকে সফল করার জন্য নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান প্রস্তুতি সভা করেন। এই প্রস্তুতি সভায় তিনি আগামী ৮ নভেম্বরের পর থেকে প্রতিটি এলাকায় গিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের সাথে কথা বলবেন বলে জানান। সাংসদ শামীম ওসমান নির্বাচনী প্রচারনার কথা উল্লেখ্য না করলেও রাজনৈতিক নেতারা বলছেন তিনি প্রচারনার জন্যই এবার আগে থেকে মাঠে নামবেন। আর এজন্য ৮ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলবেন। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, আগামী ৮ নভেম্বর থেকে আমরা মানুষের সাথে কথা বলা শুরু করবো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। আমাকে শুধু একটু হাঁটার ব্যবস্থা করে দিবেন। নো সেলফি আমি শুধু মানুষের সাথে কথা বলবো। সেদিন যেন কোন হাই ব্রীড নেতা আমার সাথে না থাকে। যাদের সিএস এস এ আর এস পর্চা রয়েছে আমি সেই সকল নেতাদের নিয়ে মানুষের সাথে কথা বলতে চাই। তার এই মন্তব্যের পরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে তিনি কি তাহলে নির্বাচনের জন্য আগে থেকে প্রচারনার জন্য মানুষের কাছে গিয়ে কথা বলতে চাচ্ছেন। যদিও তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে বলেছেন তাকে যেন মনোনয়ন না দেয়া হয়। সাংসদ শামীম ওসমানকে যেন অন্য কোন জায়গায় কাজে লাগানো হয়। অথচ তিনি নির্বাচনের ঘোষনা না দিলেও নির্বাচনের প্রচারনার অংশ হিসেবে মাঠে নামছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্ধমহল। অপরদিকে কোনোভাবেই বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে রাজি নন বিএনপি। কিন্তু আওয়ামী লীগে বলে আসছে প্রয়োজনে বিএনপিকে বাদ দিয়েই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কথাই জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানও একই কথা বলছেন। নির্বাচন কমিশনের কথা, কে নির্বাচনে এলো আর কে এলো না সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল জানান, ‘দেশে বিএনপির আন্দোলনে মানুষ সাড়া দেয়নি। বিএনপি নিজেদের সন্ত্রাসের আগুনে নিজেরাই পুড়ছে। বিএনপি এখন ধোকাবাজ দলে পরিনত হয়েছে। যারা গণতান্ত্রিক দল, তারা নির্বাচনে আসবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই আমরা নৌকার প্রার্থী দেয়ার দাবী জানিয়েছি নেত্রীর কাছে। তিনি কাকে মনোনয়ন দিবেন না দিবেন তা নেত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন। এছাড়া যাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হবে সেই জয়ী হবে। কেননা আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বুধবার রাজনৈতিক সংলাপ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যারা আসবে, তাদের সঙ্গেই আমরা কথা বলবো। কিন্তু সংবিধানের কাঠামো মেনে কথা বলতে হবে। সংবিধানের বাইরে যদি কেউ কিছু বলে, তাহলে সেটি হবে না।’ উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী সংসদ মেয়াদ হচ্ছে প্রথম অধিবেশন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ওই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের ১২৩ (৩) (ক) অনুযায়ী মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সংবিধানে আগামী নির্বাচনের বিধানও আছে। তবে সে ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির অনেক আগেই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে (খ) মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। অর্থাৎ কোনো কারণে যে দিন সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে, তার পরবর্তী ৯০ দিন নির্বাচন আয়োজনের সময় পাবে ইসি। এ অবস্থায় প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য ৯০ দিনের সময় পায় নির্বাচন কমিশন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা