আ’লীগে ভোটের হাওয়া শুরু!
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মাঠে বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ভোটের আগেই দলের জেলা উপজেলা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গণমুখী নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসা। আগামী নির্বাচনের আগেই সংগঠনের তৃণমূলকে শক্তিশালী করে দলের জনপ্রিয়তা বাড়ানো। তাই দল গোছাতে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন জেলার দায়িত্বশীল নেতারা। তৃণমূল নেতারাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংসদ নির্বাচনের। বলা হচ্ছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে ২০২৩ সালের শেষ অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলকে প্রস্তুত করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রথম পর্যায়ে কমিটি হালনাগাদ করতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সম্মেলন। ত্যাগী নেতাদের নেতৃত্বে এনে সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ তুলে ধরতে শুরু হবে পাড়া মহল্লায় সভা সমাবেশ। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ হাই বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যায়ে সক্রিয় থাকা ত্যাগী নেতাদের সামনে নিয়ে আসতে চাই। যারা দুঃসময়ে দলকে আঁকড়ে থেকেছেন। সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মধ্য দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তাদের মূল্যায়ন করতে চাই। এলক্ষ্যে জনসভা, প্রতিনিধি সভা, সম্মেলন এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছি। এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন শুরুর মধ্য দিয়ে দল গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে। মূলত এর মধ্যে দিয়েই আমরা আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগকে আরও শক্তিশালী ও গণমুখী করতে চাই। যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে তাদেরকে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আরও সামনে আনতে চাই। কারণ আগামীতে যে দুঃসময় আসছে তা মোকাবিলা করতে অভ্যন্তরীণভাবে দলকে আরও শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামীলীগ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন ওই নেতা। এদিকে বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের মধ্যে জোটগতভাবে ক্ষমতাসীনরা নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছিল ৫টি আসন আর জোটবদ্ধ দলগুলোর মধ্যে জাপা’র দুটি আসন। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে জোরেশোরে। প্রথমেই তৃণমূলকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন জেলার নেতারা। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমে পড়েছেন জেলার দায়িত্বশীল আওয়ামীলীগ নেতারা। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল। তিনি বলেন, প্রথমেই আমরা উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামীলীগের সম্মেলনগুলো শেষ করতে চাই। জেলা থেকে শুরু করে একেবারে ওয়ার্ড পর্যন্ত কাউন্সিল হবে। এরই মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগ থেকে এই ধরনের চিঠি সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে পৌঁছে গেছে। তাদেরকে দলীয় কাউন্সিলরে মধ্য দিয়ে প্রতিটি কমিটি ঠিক করে ফেলতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে দল গোছানোর কাজে অনেকটায় সফল হতে পেরেছি। আমরা মনে করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর সুফল মিলবে। নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে আওয়ামীলীগের ঘাঁটি। এখানকার সব আসনেই নিরষ্কুশ জয় আসবে। জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী বলেন, আওমামীলীগ গণমুখী ও সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক দল। তাই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা দলকে আরও সুসংগঠিত করতে চাই। এতে দল যেমন আরও শক্তিশালী হবে তেমনি জয়ের ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা যাবে। পরপর একটানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় অধিষ্ঠ থাকা দলটি সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিবাদ-মনোমালিন্য নিরসন, ত্যাগীদের সামনে আনার কাজই এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দলীয় হাই কমান্ড থেকে থেকে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যেগুলো সম্মেলন এখনও হয়নি বা যেখানে যেখানে সমস্যা রয়েছে সেগুলো দ্রুতই মিটিয়ে ফেলতে হবে। এজন্য প্রতিটি জেলায় আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে।