আজ বুধবার | ১৩ আগস্ট ২০২৫ | ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৮ সফর ১৪৪৭ | রাত ৪:০১

রাজনীতিতে অনড় তিন দল

ডান্ডিবার্তা | ১১ নভেম্বর, ২০২৩ | ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট দেশে টানা অবরোধ চলছে। স্থানীয় পর্যায়ে কিছু যানবাহন চললেও জাতীয় পর্যায়ে যানবাহন চলছে খুবই কম। তাই প্রশ্ন উঠেছে দেশে নির্বাচনের দিন যদি হরতাল বা অবরোধ থাকে তাহলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কি করে? দেশে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল আছে মোট চারটি। আর এই চারটি দল হলো আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলন। এক সময় বৃহত্তর রংপুর এবং সিলেট সহ আরো কিছু এলাকায় জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা ছিলো। কিন্তু বিগত পনেরো বছর ধরে এই দলটি আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থাকায় এখন আর তাদের কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেখা গেছে জাতীয় পার্টি কোনো নির্বাচনেই তাদের জামানত রক্ষা করতে পারছে না। তাই জাতীয় পার্টি এখন আর দেশে বিদেশে কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই। তাই একটি অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামী ঐক্যজোটকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার সময় একেবারে ঘনিয়ে এলেও বড় তিনটি দলই নির্বাচন না করার ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তাদের মাঝে বিএনপি ও জামায়াত চায় একটি কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন আর ইসলামী ঐক্যজোট চায় জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য হলো নির্বাচনে কে এলো আর কে না এলো সেটা তারা দেখবে না। তারা সময় মতো নির্বাচন করে ফেলবে। আগামী জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেটা হলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা না হলেও টিকে থাকবে আওয়ামী লীগ সরকার। এদিকে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন মনে করেন এবার ২০১৪ আর ২০১৮ সালের মতোই একটি নির্বাচন করতে চাইছে সরকার। তবে এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ সহ গোটা গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের এবারের নির্বাচনের দিকে নজর রাখছেন। তাই এবার যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হয় তাহলে সার্বিক পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে পরবে। এবারই প্রথম বাংলাদেশে সারা বিশ্বের কাছে একটি অগনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত হয়ে পরবে। আর সেটা হলে অর্থনৈতিক ভাবে মোটেও এগুতে পারবে না বাংলাদেশ। এরই মাঝে এ দেশের অর্থনৈতিক সংকট বেশ জটিল হয়ে পরেছে। একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ব কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। অপরদিকে ডলারের মূল্য ৮৫ টাকা থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। ফলে সারা দেশে দ্রব্যমূল্য আরো আগেই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। তাই দেশে যদি এবারও কোনো গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে অর্থনৈতিক ভাবে দেশ একেবারে পঙ্গু হয়ে পরবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে। এদিকে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা মনে করেন বিগত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের অনুকুলে চলে এসেছে। বিরোধী দলের যে সকল কেন্দ্রীয় নেতা রাজপথে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতো তারা সকলেই এখন কারাগারে রয়েছে। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সহ গুরুত্বপূর্ণ সব নেতাই এখন কারাগারে রয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের আরো অন্তত দশ হাজার নেতাকর্মী এখন কারাগারে রয়েছে। তাই বিএনপি এবারের আন্দোলনেও তেমন কোনো সুবিধা করতে পারবে না। কিন্তু বিপরীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন, সরকার সারা দেশে ব্যাপক ধরপাকড় চালালেও এবার আর একতরফা একটি নির্বাচন করতে পারবে না। তাদের মতে বাংলাদেশ উত্তর কোরিয়া, কাম্বোডিয়া বা মিয়ানমার নয়। কারণ ওইসব দেশে জনসংখ্যা খুবই কম। কিন্তু বাংলাদেশের ছোট্ট ভুখন্ডে সতেরো কোটি মানুষের বাস। এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলির সাথে বাংলাদেশের জনগনের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এ দেশের ব্যবসা বাণিজ্যই পশ্চিমা দেশগুলির উপর নির্ভরশীল। তাই একদিকে জনগনের চাপ তার উপর শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বিশ্বের চাপ। তাই সরকার শেষ পর্যন্ত সামাল দিতে পারবে না। দেশের মানুষ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন পার্টনাররা এবার আর কোনো একতরফা নির্বাচন মেনে নেবে না। তারা আরো মনে করেন দেশের সাধারণ মানুষ এখন বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন দিচ্ছে। তাই যতো দিন যাবে ততোই এই আন্দোলন আরো জোড়ালো হবে বলে তারা মনে করেন। তবে যে যাই বলুক না কেনো দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মোটেও যে ভালো নয় এটা এখন মনে করেন দেশের প্রায় সব মানুষ। যতো দিন যাচ্ছে ততোই দেশের মানুষের মাঝে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা