আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:০৩

অটো চালিয়ে জীবন চলে নাছিমার

ডান্ডিবার্তা | ১১ নভেম্বর, ২০২৩ | ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট জীবন তো আর থেমে থাকে না। চালিয়ে নিতে হয় শত কষ্টের মাঝেও। হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে তো আর পেট চলবে না। তাই স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরেন নাছিমা আক্তার (৪৫)। আর এ জন্য তাকে বেছে নিতে হয়েছে কঠিন কাজ। তিনি দিনে ব্যাটারি চালিত অটো চালক আর রাতে চায়ের দোকানী। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ব্যস্ততম পয়েন্ট শিমরাইল মোড় এলাকায় ডেমরা সড়কে অটো রিকশা চাালিয়ে এবং রাতে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এই নারী। ট্রাক এক্সিডেন্টে তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন দীর্ঘ ১৫ বছর আগে। বিধবা নাছিমার সংসারে তিন মেয়ে। অটো চালিয়ে বড় মেয়ে জোসনা (২০) এর বিয়ে দিয়েছেন। মেঝ মেয়ে ফারজানা (১৫) ও ছোট মেয়ে ফারিয়া (১০)কে একটি মাদরাসায় রেখে পড়াচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে কথা হয় নাছিমার। তিনি বলেন, সিলেটের কামারপাড়ায় আমার জন্ম। সেখান থেকে বাবা মার সাথে নারায়ণগঞ্জে চলে আসি। এক সময় আব্দুর বারেকের সাথে আমার বিবাহ হয়। আব্দুল বারেক ট্রাক ড্রাইভার ছিল। আমাদের সংসার সুখেরই ছিল। হঠাৎ করে একদিন আমার স্বামী রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। তখন আমার দুই মেয়ে এবং ছোট সন্তান পেটে ছিল। আমার পিতা-মাতাও নেই। কার কাছে গিয়ে দাঁড়াবো, কার কাছে হাত পাতবো। খাবো কি, বাড়ি ভাড়া দিব কিভাবে? কষ্টের দিন যাপন করার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ডেমরা সড়কের গলাকাটা পুলের পাশে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দেই। দীর্ঘদিন এই দোকানদারি করে সংসার চালাতাম। এখন মেয়েদের পড়াশোনার খরচ ঘর ভাড়া দিতে আমি খুব হিমশিম খাচ্ছিলাম। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একবেলা অটো চালাবো এবং এক বেলা চায়ের দোকানদারি করব। এখন মোটামুটি ভালো আছি, সংসার চলছে। অটো চালিয়ে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পাই। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গাড়ি চালাই। সন্ধ্যার পর থেকে রাত্র ২টা পর্যন্ত চায়ের দোকানদারি করি। বড় মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি সে ভালো আছে, সুখে আছে। আর ছোট দুই মেয়েকে ঢাকায় এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করাচ্ছি। নাছিমা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ গলাকাটা পুলস্থ এলাকায় নজরুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছি। এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে এই প্রথম একজন নারীকে অটোচালক হিসেবে দেখে অবাক যাত্রীরা। তবে অনেকে এ নারীকে কাজ করার সাহস যোগাচ্ছেন। অনেকে কৌতূহল বশত যাত্রী হয়ে তার রিকশায় উঠে পড়েন। আর যাত্রীদের সম্মান করে নাছিমা পৌচ্ছে দিচ্ছেন গন্তব্য স্থানে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা