আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:৪৩

অসহযোগ আন্দোলনের পথে বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা | ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ | ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট হরতাল ও কয়েকদফা অবরোধে খুব বেশি সুবিধা করতে পারছে না বিএনপি। এদিকে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে চলতি সপ্তাহেই। হরতাল ও অবরোধ ডেকে বিএনপির প্রায় সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে ভুড়ি ভুড়ি। ঘর ছাড়া নেতাকর্মীরা। অবরোধ সফল করার মতো নেতাকর্মীও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে অবরোধে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে রাজপথে খুব বেশি সাফল্য দেখাতে পারছে না কর্মীরা। যদিও বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, সরকার বিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে এসে গ্রেফতার এড়াতেই তারা সাময়িকভাবে গা ঢাকা দেয়ার কৌশল অবলম্বন করেছেন। তফসিল কেন্দ্রিক আন্দোলনের দিকে নজর তাদের। তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকেই ‘অসহযোগ’ আন্দোলন দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করার কথা জানিয়েছে বিএনপির একাধিক সূত্র। তখন আন্দোলন সম্মিলিত হলে নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যাবে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষে এক পুলিশ কনষ্টেবল নিহতের পর বিভিন্ন মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ কারগারে আর অধিকাংশ আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর বিএনপির আন্দোলনের দৃশ্যপট অনেকটাই বদলে গেছে। বিশেষ করে প্রথমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপনসহ দলটির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর বিএনপির আন্দোলনে ভাটা পড়ে। নারায়ণগঞ্জে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু গ্রেফতার হয়ে কারগারে। তাছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনসহ জেলার সব বড় পদের বিএনপি নেতাদের নামেই একাধিক মামলা থাকায় তারা আত্মগোপনে। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলন জোরদারের জন্যই গ্রেফতার এড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিএনপি নেতারা। তারা অপেক্ষা করছেন, কখন তফসিল ঘোষণা করা হবে। তাই অবরোধে নেতাকর্মীরা মাঠে কম থাকলেও তফসিলের পর প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। তাদের চূড়ান্ত আন্দোলনে ইসলামী আন্দোলনসহ আরো বেশ কিছু দলকে পাশে চাইছে বিএনপি নেতারা। বিএনপি নেতাদের ধারণা, ১৪ নভেম্বর বা তার কাছাকাছি সময়ে তফসিল ঘোষণা হতে করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। রাষ্ট্রপতি তফসিল ঘোষণার জন্য সম্মতি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন সিইসি। অর্থাৎ তফসিল ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার। তফসিলকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের গতি বাড়াতে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছে দলটি। তফসিল ঘোষণা পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ জেলের বাইরে থাকা সিনিয়র নেতারা দলের কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা এমনকি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের নেতাদের পরামর্শ নিচ্ছেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, এলডিপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে বিএনপির হাইকমান্ডের। পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামী দলকে তফসিলকেন্দ্রিক আন্দোলনে পাশে চায় বিএনপি। এ বিষয়ে কাজ করছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি সূত্র বলছে, এবার কর্মসূচির ব্যাপারে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করা হচ্ছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপিতে নানা ধরনের আলোচনা রয়েছে। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইসির আওতায় থাকবে। তবে, তফসিল ঘোষণার মুহুর্ত থেকেই মাঠে নামতে প্রস্তুত বিএনপি। তফসিলের পরদিন ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের ঘোষণা দিতে পারে বিএনপি। এছাড়া সচিবালয় ঘেরাও, ইসি ঘেরাও কর্মসূচি আছে আলোচনায়। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলায় হরতাল-অবরোধ পালনে কঠোর নির্দেশনা দেবে দলটি। সারাদেশ থেকে রাজধানী বিচ্ছিন্ন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বিএনপি। ঘরে বসে গ্রেফতার না হয়ে তখন রাজপথে গ্রেফতার হওয়ার ব্যাপারেও নির্দেশনা আসবে দলের হাইকমান্ডের। এছাড়া বড় শোডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা নিতে পারে তারা।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা