আজ বুধবার | ১৩ আগস্ট ২০২৫ | ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৮ সফর ১৪৪৭ | রাত ৩:১১

বন্দর আ’লীগের বিরোধ চরমে!

ডান্ডিবার্তা | ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ | ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট বন্দরে আওয়ামীলীগের কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট বিভাজনকে ঘিরে নানা তথ্য উঠে আসতে শুরু করছে। স্থানীয় গণমাধমে এ ঘটনার মূল কারিগর হিসেবে ২/৩ জনের নাম প্রকাশ পেলেও মাস্টারমাইন্ড হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আলীনূরকে মনে করছেন। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা আক্তার শান্তা’র উপস্থিতিতে আলীনূর তার বক্তব্যে বিভিন্ন জনকে নিয়ে বেফাঁস কথা বললেও তারা কোন প্রতিবাদ করেননি। বরং নিজেরা উপস্থিত থেকে শান্তি সমাবেশে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে শেষ করেন। তাদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠলেও তার পরের দিনই পুনরায় মদনপুর দক্ষিণের মঞ্চে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান শেষতক থাকেন। তবে ইদানীং যে নামটি সর্বত্রই প্রচার পাচ্ছে সেটি হচ্ছে জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলীনূর হোসেন। আলীনূর হোসেন মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথা বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ সালামের ছোট ভাই। মূলতঃ সালামের নির্দেশেই আলীনূর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভা-মঞ্চে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এদিকে গত ৭ নভেম্বর দুপুরে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করছে। আলীনূরের ওই বক্তব্যের পর থেকেই উপজেলা আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়। এরপর থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের মূল ধারার নেতাদের শান্তি সমাবেশ হয় মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ প্রান্তে। উপজেলা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে একাতœতা প্রকাশ করে সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ। আলীনূরের বেফাঁস মন্তব্যের বিরুদ্ধে সংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক যুবলীগ নেতা জানান, আলীনূর একজন বেয়াদব। সে তার ভাইয়ের প্রভাবে যাচ্ছেতাই করে বেড়ায়। সে ওই বক্তব্যে এমপি সাহেবকে নিয়েও মন্তব্য করেছে। আবার সে বলেছে তাকে নাকি ষড়যন্ত্র করে এবার জেলা পরিষদে রাখা হয়নি। তার বিরুদ্ধে দলীয় ফোরাম থেকে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। অপরাপর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা একই শর্তে জানান,আলীনূর আমাদের অনেক পরেই রাজনীতিতে এসেছেন আমরা কখনো সিনিয়রদের কটাক্ষ করে কথা বলিনা আমরা সেটা শিখিনি। আলীনূরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সে আরো প্রশ্রয় পাবে। দলের বিভাজনের কারণ হিসেবে তার ওইদিনের বেফাঁস মন্তব্যই দায়ী বলে দাবি করেন। আমি মনে করে বন্দরের আওয়ামীলীগের বিভাজনের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার মাস্টার মাইন্ড এই আলীনূর। সে এমন কোন বড় নেতা হয়ে যায়নি রশীদ ভাইয়ের মতো একজন প্রবীণ ত্যাগী নেতাকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার সাহস রাখে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানাচ্ছি। রশিদ-সালামের দ্বন্দ্ব কি এবার প্রকাশ্যে? দ্বন্দ্ব সৃষ্টির নায়ক কে? বিএনপি-জামাতের অবরোধকে কেন্দ্র করে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ ও উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি তথা মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালাম গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ ও বিভাজন দৃশ্যমান হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। দুই গ্রুপের নেতৃত্বে তারা একই ব্যানারে পৃথক মঞ্চ তৈরী করে আলাদা আলাদা সমাবেশ করেছে। ফলে তৃনমুল আওয়ামীলীগ কর্মী ও সাধারন সমর্থকদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর রবিবার মদনপুর বাসষ্ট্যান্ডে উত্তর ও দক্ষিন পাশে উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে পৃথক মঞ্চে পৃথক ভাবে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রশিদ-সালামের দ্বন্দ্ব কি এবার প্রকাশ্যে? দ্বন্দ্ব সৃষ্টির নায়ক কে এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল সর্বত্র। ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। কাজিম উদ্দিন প্রধান, শান্তাদের মত নেতাদের উপস্থিত দেখে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আলীনূর এমন বেফাঁস মন্তব্য করতে সাহস পেয়েছে। তথ্যসুত্রে জানা গেছে, বিএনপি জামাতের আহবানে রবি ও সোমবার পূণরায় সারাদেশে অবরোধকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাশীন দল বন্দর উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ধারাবাহিকভাবে পাল্টাপাল্টি মদনপুর স্ট্যান্ডের উত্তর ও দক্ষিন পার্শে পৃথকভাবে আলাদা মঞ্চ বানিয়ে পৃথকভাবে শান্তি সমাবেশ করছে উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের নেতারা। মদনপুর ষ্ট্যান্ডের উত্তর পার্শে উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি গাজী এমএ সালাম শান্তি সমাবেশ করছে অপরদিকে একই ব্যাানারে দক্ষিন পার্শে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদের নেতৃত্বে শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এতে করে আ’লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মনে নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। আ’লীগের কেউ কেউ বলছে তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে দুই গ্রুপের দ্বন্দ এতদিন প্রকাশ্যে না এলেও মদনপুরে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে পৃথক মঞ্চের সমাবেশ এখন বরাবরই দৃশ্যমান হল। যা দলের জন্য কখনো কল্যান বয়ে আনবেনা। একই স্থানে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের পৃথক মঞ্চ নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীসমর্থকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে ক্রমেই উপজেলা আওয়ামীলীগে বিভাজনের সুর ঘনিভূত হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, বন্দর উপজেলা আ’লীগের আয়োজনে একই স্থানে পৃথক মঞ্চ সত্যিই ভাঙ্গনের একটি ইঙ্গিত। তবে দলের এমন সময়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করাই বাঞ্চনীয়। মদনপুরে একই স্থানে উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে পৃথক মঞ্চ তৈরী করে আলাদা আলাদা সমাবেশ করা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ তৈরী হচ্ছে। তবে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে অশান্তির সুর বাজছে। সালাম চেয়ারম্যানের কিছু কড়া বক্তব্যের কারনে কারো কারো গাত্রদাহ হয়েছে বলে যতটুকু শুনলাম। সম্ভবত এসব কারনেই তারা পৃথকভাবে মঞ্চ করেছে। তবে সামনে নির্বাচন। বিএনপি-জামাত দেশে নাশকতা করছে। এমন সময়ে দলের মধ্যে অর্ন্তদ্বন্দ শুভা পায় না। আমরা একই পতাকাতলে সকলে মিলে মিশে থাকতে চাই। তবে আলীনূর একজন ছাত্রলীগের নেতা হয়ে যে বেফাঁস মন্তব্য করেছে তা ঠিক না। তেমনি আবার যারা বসে থেকে চুপ থাকা মানে আস্ফালন দেয়া। আলীনুর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে খেলে গেছে, দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হলেই বা তার যেমন কিছু আসে যায় না। তেমনি কাজিম, শান্তা, নাজিম উদ্দিন, মূহিদ ভূইয়ারাও একই। দলের এমন সময়ে বিভাজন সৃষ্টি কারীদের সনাক্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তৃনমূল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা